হাজিপুরের একটি হোটেল থেকে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বক্সারের মৃতদেহ উদ্ধারের পরে পুলিশের অনুমান তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, তনুজা কান্নাল (২২) নামে ওই খেলোয়াড় শনিবার রাতে সশস্ত্র বাহিনীর এক জওয়ানের সঙ্গে হাজিপুরের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। পরের দিন হোটেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই খেলোয়াড়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে পাওয়া যায় একটি সুইসাইড নোটও। এরপর থেকে ওই জওয়ান ফেরার। পুলিশ তাকে খুঁজছে। বৈশালির পুলিশ সুপার উপেন্দ্র সিংহ বলেন, “ওই জওয়ানকে খোঁজা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ওই সুইসাইড নোটে যে হাতের লেখা পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে ওই মহিলার হাতের লেখার কোনও মিল নেই। তবুও তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।”
হাজিপুর টাউন থানা থেকে জানানো হয়েছে, রাকেশ কুমার নামে ওই জওয়ান উত্তরাখণ্ডের ১১ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত। তনুজা উত্তরাখণ্ডের দিদিহর থানার ভান্দে গ্রামের বাসিন্দা। সেই সূত্রেই কোনওভাবে দু’জনের পরিচয় হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই জওয়ান তনুজাকে হাজিপুরে নিয়ে আসে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ওই জওয়ানের বাড়ি পটনার মোকামা থানা এলাকার শিবনাথ গ্রামে। পুলিশ তাঁর বাড়িতে এসে জানতে পারে আগে আরও দু’টি বিয়ে করেছে ওই জওয়ান। তার মধ্যে একজন ভুপালের এক কনস্টেবলের মেয়ে। তার দু’টি সন্তানও আছে। বিহারে এসে ওই মহিলা দেখেন এখানেও তার আর একজন স্ত্রী আছে। তিনিও দুই সন্তানের মা। থানার ওসি কে এম গুপ্তা বলেন, “আমরা উত্তরাখণ্ডের ওই ব্যাটেলিয়নের সহকারি কম্যাডান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, ওই জওয়ান ১৫ নভেম্বর থেকে ছুটিতে আছে। এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও রাকেশ কাজে যোগ দেয়নি।” এ দিকে ওই খেলোয়াড়ের বাড়ি থেকে থানায় আগেই নিখোঁজের একটি অভিযোগ করা হয়েছিল। পুলিশ ওই খেলোয়াড়ের বাড়িতে যোগাযোগ করেছে। |