টুকরো খবর
প্রণবকে চ্যালেঞ্জ করলেন নীতীশ
পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া এলাকার জন্য বিশেষ কেন্দ্রীয় অনুদান দেওয়া প্রসঙ্গে বিহারের তুলনা টানায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখে নীতীশ তাঁর সরকারের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। পিছিয়ে পড়া এলাকা তহবিল (ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট ফান্ড) অর্থাৎ বিআইএফআর থেকে পশ্চিমবঙ্গকে ৮ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করেছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রথম ইউপিএ সরকারের সময় বিহারকে এই প্রকল্পে যে ভাবে টাকা দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গকেও সেই একই ভাবে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে। নীতীশের আপত্তির কারণ এটাই। নীতীশ প্রণববাবুর এর এই ‘তুলনা টানার’ প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, “প্রথম ইউপিএ সরকারের সময় বিহারকে ৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল অন্য কারণে। সেই সময় বিহার রাজ্য ভাগ হওয়ার ফলে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য যোজনা কমিশন ওই টাকা বরাদ্দ করে।” মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “যে কোনও রাজ্যকে কেন্দ্র টাকা দিতে পারে। এটা কেন্দ্রের এক্তিয়ারের বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যদি কেন্দ্র থেকে বিশেষ অনুদান পেয়ে থাকে তা নিয়ে বিহারের বলার কিছু নেই। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক।” পশ্চিমবঙ্গকে অনুদান দেওয়া প্রসঙ্গে বিহারের তুলনা টানা যে অপ্রসঙ্গিক তা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আরও বলেন, “কোনও ঘটনাকে যুক্তিগ্রাহ্য করে তুলতে বিকৃত তথ্য পরিবেশন করা ঠিক না। বিহার কখনও এই ধরনের অনুদান পায়নি।”

ভাঙল লোহার সেতু মৃত ৩ শ্রমিক
লোহার সেতু ভেঙে ৫৮ চাকার ট্রেলার নদীতে পড়ায় ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ৫ শ্রমিক এখনও নিখোঁজ। সোমবার বিকালে পূর্ব সিকিমের রংচেনখোলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সিকিম পুলিশ এবং প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব সিকিমের মঙ্গন থেকে সিংতাম দিকচু রোডে ওই লোহার সেতুটি রয়েছে। ৭০ টন বহনক্ষমতাসম্পন্ন সেতুটি ১৯৯৭ সালে তৈরি হয়। এদিন বিকাল নাগাদ তিস্তা জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের জিনিসপত্র নিয়ে সেতুতে ওঠার কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রেলারটি ভেঙে তিস্তায় পড়ে। ট্রাকটির ওজন সেতুর বহনক্ষমতার থেকে বেশি ছিল।
পূর্ব সিকিমের রং চেনখোলায় ভেঙে পড়া সেতু। —নিজস্ব চিত্র
খবর পেয়ে পুলিশ, দমকল, প্রশাসনের তরফে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। সন্ধ্যা অবধি তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন স্থানীয় বাসিন্দা। বাকি দু’জনের পরিচয় উদ্ধার হয়নি। বাকিরা ট্রেলারের তলায় চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে পুলিশের একাংশ মনে করছে। ট্রাকটি সিংতাম থেকে মঙ্গনের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটিতে ৮ জন শ্রমিক ছিলেন। পূর্ব সিকিমের পুলিশ সুপার মনদীপ সিংহ টুলি বলেন, “ট্রেলারটি সেতুতে ওঠায় পরেই সেটি ভেঙে পড়েছে। উদ্ধার কাজ চলছে। এখনও তিনটি দেহ পাওয়া গিয়েছে।”

দুই নাগা জঙ্গি গোষ্ঠীর লড়াইয়ে উত্তপ্ত ডিমাপুর
জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে আজ ভোর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ডিমাপুরের নাহারবাড়ি ও পদুমপুখুরি এলাকা। জুলাই মাসে খাপলাং বাহিনী ভেঙে দুভাগ হওয়ার পর এই প্রথম, প্রকাশ্যে এনএসসিএন (খাপলাং) ও এনএসসিএন (খুলে-কিতোভি) গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই হল। বিভাজনের পরে নাগাল্যান্ডের বাণিজ্যিক রাজধানী ডিমাপুরের দখল খুলে-কিতোভির হাতেই রয়েছে। তারা জানিয়েই দিয়েছে, খাপলাং বাহিনীকে ডিমাপুরের ঘাঁটি মজবুত করতে তারা দেবে না। কিন্তু খাপলাং বাহিনীও ছাড়ার পাত্র নয়। গত রাতে খাপলাংদের একটি বাহিনী ১৭টি গাড়ির ‘কনভয়’ নিয়ে ডিমাপুরে আসে। খবর পেয়ে খুলে-কিতোভি বাহিনীও সশস্ত্র সদস্যদের ডিমাপুরে পাঠায়। রাতভর দুই দলে চাপান-উতোর চলে। বেশ কিছু নাগা সংগঠনও বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। আজ ভোর পাঁচটা থেকে দুই পক্ষে গুলির লড়াই শুরু হয়। পুলিশ জানায়, প্রায় আধঘণ্টা গুলি চললেও কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনার পর ডিমাপুরে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন, আসাম রাইফেল্স-এর জওয়ানরাও এলাকাজুড়ে ‘ফ্ল্যাগ মার্চ’ করছে।

পরিবহণ ধর্মঘটে অচল ঝাড়খণ্ড
বেসরকারি সড়ক পরিবহণে ধর্মঘটের ডাকে আজ ঝাড়খণ্ডের স্বাভাবিক জনজীবন পুরোপুরি ব্যাহত হয়। রাজধানী শহর রাঁচি-সহ রাজ্যের সর্বত্রই আজ বেসরকারি বাস চলেনি। বন্ধ ছিল অটো। ট্রাকের চাক্কা জ্যাম তো ছিলই। ফলে যাত্রী পরিষেবার সঙ্গে মার খেয়েছে বেসরকারি পণ্য পরিষেবা ব্যবস্থাও। রাস্তায় বেরিয়ে নাকাল হন যাত্রীরা।
ধর্মঘটের জেরে ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গ সীমানায়, বরাকর সেতুর উপর। ছবি: চন্দন পাল।
পুলিশ জানায়, কয়েকটি জায়গায় ধর্মঘটীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ বিক্ষোভ করে। ফলে থমকে যায় অ্যাম্বুলান্স এবং স্কুল গাড়িও। বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থায় ‘অস্বাভাবিক’ হারে শুল্ক বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল রাজ্যের ন’টি বেসরকারি সড়ক পরিবহণ সংস্থার মালিক সংগঠন।

৬ লস্কর জঙ্গিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স চত্বরে গুলি চালনার ঘটনায় লস্কর-ই-তইবার ছয় সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল বেঙ্গালুরু আদালত। ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সম্মেলন শেষে প্রতিনিধিরা বেরনোর সময় গুলি চালায় জঙ্গিরা। নিহত হন এক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। জখম হন চার জন। এই ঘটনায় ছয় জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে ধৃত ছ’জনের সঙ্গে লস্কর-ই-ইবার যোগাযোগের ব্যাপারটি সামনে আসে। শনিবারই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় ছ’জন।

নির্মাণস্থলে হামলা চালাল মাওবাদীরা
জামুইয়ে ফের রাস্তা সারাইয়ের যন্ত্রপাতি পুড়িয়ে দিল মাওবাদীরা। পুলিশ জানিয়েছে, গত কাল, রাত ১২টা নাগাদ জঙ্গিদের একটি দল বারহাট থানা এলাকার বিশালপুরে এই ঘটনা ঘটায়। বিশালপুর ও মল্লাইপুরে রাস্তা সারনোর কাজ চলছিল। রাস্তার উপর তিনটি মেশিন রাখা ছিল। তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। যাওয়ার সময় তারা মাওবাদী স্লোগান দেয়। দু’জন শ্রমিককে অপহরণ করলেও পরে জঙ্গিরা তাদের ছেড়ে দেয়।

জাল নোট, ধৃত ২
৮১ হাজার টাকা মূল্যের জাল ভারতীয় নোট-সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার দুপুরে অসমের ধুবুরি জেলার আগমণী পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার ঝাপসুবাড়ি থেকে পুলিশ ওই দু’জনকে ধরে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম জিন্নত আলি এবং আবু বক্কর সিদ্দিকি। বাড়ি তুফানগঞ্জের চর বালাভূত গ্রামে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.