আরএসএস-এর চাপে জনতা পার্টির নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে এনডিএ-তে সামিল করা নিয়ে প্রবল অসন্তোষ বিজেপি শিবিরে।
খুব শীঘ্রই স্বামীকে এনডিএতে নিয়ে আসার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী। লালকৃষ্ণ আডবাণী-সহ দলের সব শীর্ষ নেতার সঙ্গেই এই বিষয়টি নিয়ে এক প্রস্ত আলোচনা করেছেন তিনি। খোদ স্বামীও আজ এনডিএ-তে খুব শীঘ্রই সামিল হওয়ার কথা কবুল করেন। কিন্তু বিজেপির অনেক নেতাই এই উদ্যোগে খুশি নন। তাঁরা মনে করেন, যে জনতা পার্টির একজনও বিধায়ক বা সাংসদ নেই, তাঁকে এনডিএতে সামিল করে বিজেপির রাজনৈতিক লাভ হবে না। তার উপর যে ভাবে গাঁধী পরিবার বা চিদম্বরমের বিরুদ্ধে একা লড়ছেন স্বামী, তিনি এনডিএ-তে সামিল হলে কংগ্রেসও বলার সুযোগ পাবে, গোটা কাণ্ডের পিছনে বিজেপিই রয়েছে। ফলে রাজনৈতিক লাভ তো হবেই না, উল্টে বদনাম হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
কিন্তু স্বামী দাবি করেন, এনডিএতে যোগ দেওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। অতীতে ব্যক্তিত্বের যে সংঘাত ছিল, সেটি অনেকটাই মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। নিতিন গডকড়ীর সঙ্গেও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁর দিক থেকে এনডিএতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে শর্ত আরোপ করা হয়নি। কিন্তু বিজেপির নেতারা মনে করছেন, গোটা উদ্যোগটিই সঙ্ঘের চাপে হচ্ছে। স্বামী সঙ্ঘের নেতাদের সঙ্গে বরাবরই ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখেছেন। সাম্প্রতিক অতীতে তাঁর বই প্রকাশ অনুষ্ঠানেও সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, তাঁর পূবর্সূরি সুদর্শন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অশোক সিঙ্ঘলের মতো তাবড় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজেপির এক শীর্ষ নেতা আজ জানান, বিহার নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি এনডিএর বিস্তার চাইছে। মহারাষ্ট্রে রামদাস আটাওয়ালের আরপিআই, হরিয়ানায় কুলদীপ বিশনোই-এর জনহিত কংগ্রেসকে এনডিএ-তে সামিল করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “সামান্য হলেও আঞ্চলিক স্তরে এঁদের রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। জয়ললিতা এখনও এনডিএতে না এলেও বিজেপির রাজনৈতিক মঞ্চে হাজির থেকে ঘনিষ্ঠতার বার্তা দিচ্ছেন। কিন্তু এঁদের তুলনায় সুব্রহ্মণ্যম স্বামী কার্যত ‘ওয়ান-ম্যান-পার্টি। ফলে তিনি এলে বিজেপির কতটা মঙ্গল হবে, সেই নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।” |