এক সময়ের ছায়াসঙ্গী শশীকলাকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন এডিএমকে প্রধান জয়ললিতা। সেই সঙ্গে বহিষ্কার করা হয়েছে দলের ১৩ জন শীর্ষ নেতাকেও। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শশীকলার স্বামী এম নটরাজন, তাঁদের আত্মীয় টি টি ভি দিনকরন ও শশীকলার ভাইপো তথা জয়ললিতার পালিত পুত্র ভি এন সুধাকরনও। শুধু বহিষ্কারই নয়, তাঁদের সঙ্গে বিশেষত শশীকলার সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার জন্যও দলীয় কর্মীদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন জয়লললিতা।
সোমবার এই কথা ঘোষণা করে জয়ললিতা বলেন, “দলীয় পদ থেকে সরানোর পাশাপাশি তাঁদের সদস্যপদও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।” মনে করা হচ্ছে, শশীকলা যে ভাবে প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করছিলেন, তা ভাল চোখে নেননি জয়ললিতা। তা ছাড়া শশীকলা বেশ কিছু বিধায়কের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জয়ললিতার নেতৃত্ব খর্ব করতে চাইছিলেন বলেও খবর। সেই কারণেই দীর্ঘদিনের বন্ধুকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জয়ললিতা। |
বন্ধুত্বের সময়ে পাশাপাশি শশী-জয়া। —ফাইল চিত্র |
শশীকলার বহিষ্কার তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে ব্যাপক হইচই ফেলেছে। কারণ দলের প্রাক্তন কর্মসমিতির সদস্য শশীকলার সঙ্গে জয়ললিতার ঘনিষ্ঠতা কারও অজানা নয়। রাজ্য রাজনীতিতে এটি অন্যতম একটি চর্চার বিষয়ও। দু’জনের বন্ধুত্ব আজকের নয়। ১৯৮০ সালেরও আগে থেকে তাঁরা বন্ধু। ১৯৯৬ সালে ডিএমকে আমলে জয়ললিতার আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়। তার পরই সাময়িক ভাবে দূরত্ব তৈরি হয় দু’জনের। পরে অবশ্য সেই দূরত্ব ঘুচে যায়। জয়ললিতার ঘরোয়া অনুষ্ঠান হোক বা প্রকাশ্য অনুষ্ঠান, শশীকলাকে দেখা যেত সর্বত্রই। আগামী ৩০ ডিসেম্বর এডিএমকে-র গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সেই বৈঠকের আগেই শশীকলার মতো ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে দল থেকে বহিষ্কার করার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই হতভম্ব তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহল।
জয়ার আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি মামলাতেও সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর আদালতে হাজিরা দেন দল থেকে বহিষ্কৃত এই সদস্য। আজ শশীকলার বিরুদ্ধে তদন্তে ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। |