তারাতলার ব্রেসব্রিজ এলাকায় সোমবার রাতে মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে একটি মারুতি ভ্যানের খালাসি আহত হন এবং চালক ভিতরে আটকে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করতে গভীর রাত হয়ে যায়।
বিপণন সংস্থার দু’টি গুদামের মাঝখান দিয়ে মালগাড়ি চলাচলের লাইন। গুদাম থেকে মারুতি ভ্যান নিয়ে বেরোচ্ছিলেন ওই সংস্থার দুই কর্মী। মারুতি ভ্যানটি রেললাইন পেরোতে গিয়েই পড়ে যায় মালগাড়ির মুখে। মালগাড়ির ইঞ্জিন দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়িটিকে বেশ খানিকটা দূরে ঠেলে নিয়ে যায়। সোমবার রাত ৭টা নাগাদ ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ভ্যানের খালাসি বাপি ঘোষকে উদ্ধার করা গেলেও চালক প্রকাশ যাদবকে বার করে আনতে রাত ১২টা গড়িয়ে যায়। বাপির পায়ে আঘাত লেগেছে। |
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ভ্যানে চলছে উদ্ধারকাজ। সোমবার তারাতলায়। ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ |
রেল পুলিশ জানায়, ব্রেসব্রিজ এলাকার ওই রেললাইন দিয়ে কলকাতা বন্দর এর মালবাহী ওয়াগন যাতায়াত করে। বাপি রাতে বলেন, ‘‘আমরা গাড়ি নিয়ে বেরোচ্ছিলাম। মালগাড়িটি হর্ন দেয়নি। তাই আমরা বুঝতে পারিনি। আচমকাই দেখি, সামনে মালগাড়ির ইঞ্জিন। তার ধাক্কায় আমাদের গাড়িটি কয়েক পাক চক্কর খেয়ে দুমড়ে গেল।”
রেল পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় তারাতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। চলে আসে কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ বিপর্যয় মোকাবিলা গোষ্ঠী। দমকল এবং সিআইএসএফ-কেও ডেকে পাঠানো হয়। ভ্যানচালককে গাড়ি কেটে বার করার জন্য আনা হয় গ্যাস-কাটারও।
রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিপণন সংস্থার দেওয়াল এবং ওয়াগনের মাঝখানে গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে পড়ে রয়েছে। ভ্যানচালক প্রকাশকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আটকে পড়া অবস্থাতেই প্রকাশ বলেন, ‘‘কোনও ভাবে বেঁচে গিয়েছি। শেষ পর্যন্ত পা বাঁচলে হয়!” গাড়ির ইঞ্জিন এবং ওয়াগনের মধ্যেই পা আটকে যায় প্রকাশের। তাঁকে উদ্ধার করার জন্য ভাঙা হয় গুদামের দেওয়াল। গ্যাস-কাটার দিয়ে ভ্যানটিকে কাটার চেষ্টাও চালানো হয়। চালকের পা বাঁচাতে সতর্ক ভাবে কাজ করতে হচ্ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা গোষ্ঠীকে। তাতেই সময় লেগে যায়। |