স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে জেলায় মিশ্র প্রভাব পড়েছে। রবিবার জেলার ১০টি স্কুলে নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে চারটিতে জিতেছে তৃণমূল। দু’টিতে জিতেছে বামপন্থী প্রগতিশাল মোর্চা এবং ১টি স্কুলে জয়ী হয়েছে বিজেপি।
রাজনগর ব্লকের রাজনগর জুনিয়র গার্লস হাইস্কুল, সিউড়ি ১ ব্লকের বেণীমাধব উচ্চবিদ্যালয়, সিউড়ি ২ ব্লকের অজয়পুর হাইস্কুল, লাভপুর মহোদরী উচ্চ বিদ্যালয়, দুবরাজপুরের হেতমপুর গার্লস স্কুল, নলহাটির মধুরা হাইস্কুল ও হরিওকা হাইস্কুলে নির্বাচন হয়েছে। নলহাটির দু’টি স্কুলে বামপন্থী প্রগতিশাল মোর্চার প্রার্থীরা কংগ্রেস ও তৃণমূল প্রার্থীদের হারিয়ে শুধু জয়ী হয়নি, ৬টি আসনের মধ্যে ৬টি পেয়েছেন তাঁরা।
মধুরা হাইস্কুলে কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে জোট হয়েছিল। এর আগে ওই স্কুলের পরিচালন সমিতি কংগ্রেসের দখলে ছিল। মধুরা হাইস্কুলে পরাজয়ের ক্ষেত্রে নলহাটি ১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, “ওখানে আমাদের জোট হলেও নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব কাজ করেছে।” অন্য দিকে হরিওকা হাইস্কুলে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে জোট হয়নি। এখানে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বামপন্থী প্রগতিশীল প্রার্থীরা ৬-০ ফলে জয়ী হয়েছে। এখানেও পরিচালন সমিতি কংগ্রেসের দখলে ছিল। এই হারের জন্য নলহাটি ১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আসাদুজ্জামান জোট না হওয়াকে দায়ী করেছেন। তৃণমূলের নলহাটি ১ ব্লক সভাপতি মানস মণ্ডল অবশ্য বলেন, “স্কুল নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না। এ ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি।” এ ছাড়া, রামপুরহাট মহকুমার আরও তিনটি স্কুলে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
অন্য দিকে, রাজনগরের গার্লসে মোট তিনটি আসন পেয়েছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। গত নির্বাচনে বেশি আসন পেলেও জোট পরিচালন সমিতি গঠন করে পারেনি। এখানে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। সিউড়ি ২ ব্লকের অজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জোট না হওয়ায় ৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম। এই প্রথম ৬-০ ব্যবধানে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। সিউড়ি ১ ব্লকের বেণীমাধব উচ্চ বিদ্যালয়েও জোট হয়নি। এখানে দ্বিমুখী লড়াইয়ে কংগ্রেসকে ৬-০ ফলে হারিয়ে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। আর লাভপুরের স্কুলে গত ১৫ বছরে এই প্রথম সিপিএমকে ৬-০ ফলে হারিয়ে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এ ছাড়া হেতমপুরের স্কুলে ত্রিমুখী লড়াইয়ে ৬টির মধ্যে ৪টি আসন পেয়েছে বিজেপি। এই স্কুলেও গতবার ক্ষমতায় ছিল সিপিএম।
|