বোমাবাজি ও ক্লাব ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়াল বর্ধমানের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। রবিবার রাত থেকে শুরু হওয়া গণ্ডগোলের রেশ চলে সোমবার সকাল পর্যন্ত। এলাকায় চলছে র্যাফের টহলদারি। বর্ধমান থানার তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় মোট তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা সিপিএমের সমর্থক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। অভিযোগ, নতুনপল্লি কবরখানা এলাকায় কাছারি রোডের এক বাসিন্দার থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় ধাঙরপাড়ার সিপিএমের লোকজন জড়িত, এমন দাবি করে কাছারি রোড এলাকার মহিলারা এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে সেখানে যান। স্থানীয় কয়েক জন সিপিএম নেতা-কর্মী ছুরি, রড, লাঠি নিয়ে তেড়ে এসে তাঁদের মারধর ও গালিগালাজ করেন, এমনকী ঘরছাড়া করার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। হামলার মুখে পড়ে ওই মহিলারা পালিয়ে আসেন। পরে কাছারি রোড এলাকায় এসে কয়েক জন বোমাবাজি করে যায় বলে অভিযোগ। |
কাছারি রোডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সোমবার সকালে নতুনপল্লি এলাকায় দোকান খুলতে গিয়ে সিপিএমের লোকেদের হাতে প্রহৃত হন তাঁদের পাড়ার এক বাসিন্দা। তাঁরা ওই এলাকায় গিয়ে সিপিএমের নেতা-কর্মীদের এমন আচরণের প্রতিবাদ জানাতে গেলে ফের তাঁদের উপরে হামলা হয়, বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় একটি ক্লাব ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
পুলিশ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ধাঙর পাড়ার তিন জনকে গ্রেফতার করে। প্রতিবাদে এক দল স্থানীয় বাসিন্দা বর্ধমান থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন মহিলা। পুলিশ তাঁদের ফেরত পাঠায়।
কাছারি রোড এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এই ঘটনায় সিপিএমের বর্ধমান ১ লোকাল কমিটির এক সদস্যের মদত রয়েছে। ওই লোকাল কমিটির আর এক সদস্য সুবীর শ্যাম অবশ্য দাবি করেন, “এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। দুই পাড়ার মধ্যে গোলমালের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আমাদের অনেকে গণ্ডগোল মেটাতে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের এক বহিষ্কৃত নেতার পরামর্শে আমাদের লোকজনের নাম জড়িয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা জগন্নাথ মণ্ডল অবশ্য বলেন, “এই আক্রমণের পিছনে সিপিএমের হাত রয়েছে বলেই শুনেছি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
বর্ধমান থানার আইসি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, “ধাঙর পাড়ার কয়েক জন বাসিন্দা তৃণমূলের সমর্থকদের লক্ষ করে বোমা ছোড়ে। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কয়েক জনের খোঁজ চলছে।” |