আই লিগে শনিবার দুটো চমকপ্রদ ঘটনা ঘটল। লাজং এফ সিকে হাফ ডজন গোল দিয়ে ম্যানুয়েল গোমসের চার্চিল ব্রাদার্স টুর্নামেন্টে প্রথম বার লিগ শীর্ষে চলে গেল। হ্যাটট্রিক করলেন তাদের স্ট্রাইকার হেনরি অ্যান্টচোয়েট। অঘটন ঘটাল চিরাগ ইউনাইটেড কেরলও। ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে তারা তো জিতলই, হারাল এমন একটা দলকে টুর্নামেন্টে যাঁরা এত দিন অপরাজিত ছিল। কেরল জিতল ২-১ গোলে প্রয়াগ ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে।
ফেড কাপে বেটো-ওপারাদের সেমিফাইনালে যেতে দেয়নি লাজং। সেই রাগ থেকেই সম্ভবত এ দিন শুরু থেকেই প্রদ্যুম রেড্ডির দলকে চেপে ধরেছিল চার্চিল। শুরু করেন বেটো। বিরতির আগে তা ২-০ করে দেন লালরিন্ডিকা। চার্চিল আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে দ্বিতীয়ার্ধে। দুই স্ট্রাইকারের দৌলতে শেষ পর্যন্ত ৬-০ হয়ে যায়। তিনটি গোল করেন হেনরি। একটি এন ডি ওপারার। ফলে ডেম্পোকে দু’নম্বরে ঠেলে দিয়ে লিগ শীর্ষে চলে গেল চার্চিল। যদিও র্যান্টি-কোকোরা একটি ম্যাচ কম খেলেছে। চার্চিলের ১০ ম্যাচে পয়েন্ট হল ২৩। ডেম্পোর ৯ ম্যাচে ২১।
চিরাগ কেরল এ বার আই লিগে একেবারেই ভাল খেলতে পারছে না। জিততেও পারছে না। এ দিনের ম্যাচটি ধরে ১০ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটি ম্যাচ জিতেছে কেরল। তা সত্ত্বেও অবনমনের আওতায় চলে যাওয়া দলকে টেনে তুলতে প্রয়াগ ইউনাইটেডের মতো টিমের বিরুদ্ধে পাকির আলির দল ঝাঁপিয়েছিল শুরু থেকেই। তাদের চেষ্টা সফল। ম্যাচটি ১-১ হওয়ার পরও হাল ছাড়েননি অনিলকুমাররা। বিরতির ঠিক আগের মুহূর্তে অর্ণব মণ্ডলের ব্যাক পাস ধরে গোল করে যান ডেভিড সানডে। ইউনাইটেডকে দ্রুত সমতায় ফেরান ইয়াকুবু। তাতেও দমে যাননি সানডে-অনিলকুমাররা। লড়াই চালিয়ে যেতে যেতেই পুরস্কারও পেয়ে যান সানডেই। ইউনাইটেড স্টপার অর্ণব মণ্ডল ফের ভুল করেন। গোল করে যান সানডে। ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চিরাগ এখন লিগ টেবিলে ১১ নম্বরেই থাকল। ইউনাইটেড রয়ে গেল পাঁচেই। চার্চিলের হেনরি এবং স্পোর্টিংয়ের জেমস মোগার সঙ্গে গোলের লড়াইতে ঢুকে পড়লেন ইয়াকুবুরও (৭)। |