গুরুত্বপূর্ণ বরোদা ম্যাচের আগে রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার পনেরো জনের দল থেকে বাদ পড়লেন রণদেব বসু। দিল্লি ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়া রণদেব শনিবার সকালেই বাংলা নির্বাচকদের চেয়ারম্যান দীপ দাশগুপ্ত এবং অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেন, প্রথম এগারোয় তিনি না থাকলে বরোদা ম্যাচে তাঁকে যেন পনেরো জনের দলে বিবেচনা না করা হয়। শনিবারের নির্বাচনী বৈঠকের শেষে সরকারি ভাবে দীপ বললেন, “রণদেব এখন নিজের সেরা পারফরম্যান্সের মধ্যে নেই। তা ছাড়া সিনিয়র হিসেবে ওর কিছুটা বিশ্রামও দরকার। তবে আমি মনে করি বাংলাকে রণদেবের আরও অনেক কিছু দেওয়ার আছে।” সঙ্গে যোগ করেন, “রণদেবের মতো সিনিয়রকে প্রথম এগারোয় না রেখে পনেরো জনের দলে রাখা ঠিক নয়।”
বাদ পড়ে রণদেব মোটেই অবসর নিচ্ছেন না। বরং ক্লাব ক্রিকেট খেলে ফের দলে ফিরতে চান বাংলার পেসার। সন্ধেয় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রণদেব বললেন, “আজ সকালে আমি দীপ এবং দাদিকে ফোন করে অনুরোধ করেছিলাম, যদি আমি প্রথম এগারোয় না থাকি তা হলে যেন আমাকে বরোদা ম্যাচের পনেরো জনের দলে না ভাবা হয়। নির্বাচক কমিটিকে ধন্যবাদ, ওরা আমার অনুরোধ রেখেছে।” তবে দলে না থাকা নিয়ে দুঃখ তো থাকছেই। “হ্যাঁ, যে টিমটা বডোদরা যাচ্ছে তাতে না থাকায় খারাপ লাগছে। এত বছর বাংলার হয়ে খেলেছি। কিন্তু আমি সব সময়ই বাংলা টিমের ভাল চাইব। যে টিমটা বডোদরা যাচ্ছে তার জন্য আমার শুভেচ্ছা।” বাংলা টিমে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দেখছেন? “নিয়মিত ক্লাব ক্রিকেট খেলে আমি ফর্ম ফিরে পেতে চাই। যদি ভাল খেলতে পারি, আমি নিশ্চিত ওরাই আবার আমাকে টিমে ডেকে নেবে।”
২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জিতে বাংলার শেষ যুদ্ধ। অবনমন বাঁচাতে এখনও দরকার অন্তত তিন পয়েন্ট। পাঁচ বা ছয় পয়েন্ট এলে অবশ্য কোয়ার্টার ফাইনালেও চলে যেতে পারে বাংলা। সেই ম্যাচে দলে থাকছেন না শুভময় দাস। দিল্লি ম্যাচে স্লিপে ফিল্ডিংয়ের সময় ডান হাতে চোট পেয়েছিলেন শুভময়। তাঁর হাতের হাড় ভেঙে যাওয়ায় তিন থেকে চার সপ্তাহ মাঠের বাইরে চলে গেলেন। শেষ তিন-চারটে ম্যাচে রান না পাওয়া ঋতম পোড়েলও শেষ ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়লেন। দলে ঢুকেছেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় এবং জয়জিৎ বসু। অনূর্ধ্ব বাইশ দলে খেলে ভাল রান পেয়েছেন দু’জনেই। শ্রীবৎস গোস্বামীর পাশাপাশি দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গীতিময় বসুকে। |