এক ঝলকে...
পৃথিবী
বাগদাদ দ্য হেগ টরন্টো ত্রিপোলি ম্যানিলা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ২০ মার্চ, ২০০৩ শুরু হয়েছিল ইরাক অভিযান। তার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটল ১৫ ডিসেম্বর। বাগদাদে মার্কিন বাহিনী পতাকা নামিয়ে নিল, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লিয়ন প্যানেটা এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সেনাদের জানালেন, তাঁদের অভিযান সফল হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওবামা ঘোষণা করেছেন, তাঁরা ‘একটি সার্বভৌম, সুস্থিত এবং স্বনির্ভর’ ইরাককে রেখে আসছেন। এই দাবি নিয়ে তর্ক বিপুল, তবে এই যুদ্ধে মার্কিন কোষাগার থেকে খরচ হয়েছে অন্তত এক লক্ষ কোটি টাকা, প্রাণ দিয়েছেন সাড়ে চার হাজার মার্কিন সেনা। ন’বছরে মৃত ইরাকির সংখ্যা আনুমানিক এক লক্ষ।
• কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার জানিয়ে দিলেন, তাঁরা আর কিয়োটো প্রোটোকল মানবেন না। কানাডা দীর্ঘ দিন ধরেই এই পরিবেশ চুক্তিটির ‘মৃত্যুকামনা’ করছিল। সেই ইচ্ছা ডারবানেও পূরণ না হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত।

• মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়ন প্যানেটা লিবিয়া গেলেন। গদ্দাফির অপসারণের পর লিবিয়ায় এই প্রথম মার্কিন সফর। লিবিয়ার প্রধান দুটি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের ওপর এত দিন ধরে যে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা তুলে নেওয়া হল।

• ফিলিপিনস দ্বীপপুঞ্জে সমুদ্রের হড়কা-বানে ভেসে গেল বিস্তীর্ণ অঞ্চল। মৃত প্রায় দুশো জন। নিখোঁজ ও বিপন্ন অসংখ্য। এই ধরনের ‘ট্রপিক্যাল ফ্লাড’ ওই অঞ্চলে সাধারণ ঘটনা হলেও এত বড় আকারের বিপর্যয় ঘটে না প্রতি বার।

• মুয়াম্মর গদ্দাফির মৃত্যুকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে গণ্য করার দাবি উঠছে নানা মহল থেকে। তাঁর মেয়ে আয়শা বাবার ‘হত্যা’র তদন্তের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিন্যাল কোর্ট-এর দ্বারস্থ হলেন। তাঁর প্রশ্ন, গদ্দাফি এবং তাঁর ছেলে মুয়াতাসিন ধরা পড়েছিলেন, তাঁরা কারও কোনও ক্ষতি করার মতো অবস্থায় ছিলেন না, তা সত্ত্বেও তাঁদের হত্যা করা হল কেন?
ডারবান
রাষ্ট্রপুঞ্জের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর সপ্তদশ বৈঠক শেষ হল ডারবানে। প্রতি বারের মতোই এই বৈঠকেও উন্নত দেশগুলি উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণে নিজেদের ঐতিহাসিক দায়টিকে বেমালুম ঝেড়ে ফেলার চেষ্টায় ছিল। রুখে দাঁড়াল ভারত। আর, ভারতের সমর্থনে এগিয়ে এল চিন। এই দুই বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশের চাপেই কিয়োটো প্রোটোকলের দ্বিতীয় দফা স্বীকৃতি পেল। চিন আর ভারতের মিলিত লড়াইয়ে মর্মান্তিক চটেছে পশ্চিমের দেশগুলি। সেই দেশের সংবাদমাধ্যম ভারতকে ‘পরিবেশ রাজনীতির খলনায়ক’ আখ্যা দিয়েই ফেলেছে। সামরিক বৈঠকের প্রতিশ্রুতি থেকে পরিবেশ রাজনীতিতে সহযোদ্ধার ভূমিকা বেজিং আর নয়াদিল্লির মধ্যে দূরত্ব কি ক্রমেই কমছে?
ইসলামাবাদ
এ বার খোদ গিলানি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মুখের উপর জানালেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ‘রেড লাইন’ যেন তারা লঙ্ঘন না করে। কিছু দিন আগেই পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি এই ধরনের হুমকি দিয়েছিলেন ওয়াশিংটনকে। ওসামা বিন লাদেন নিধন এবং তার পর ‘ভুলক্রমে’ মার্কিন হানায় এক দল পাক সেনার নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকেই এই হুঁশিয়ারি শুরু হয়ে গেছে। গিলানি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন, যদি আমেরিকা এই মৌলিক সীমারেখা না মানে, তা হলে সন্ত্রাস-যুদ্ধে ইসলামাবাদের সহায়তার আশা তাদের ছেড়ে দিতে হবে।
মস্কো
রাশিয়ার এক নিউজ ম্যাগাজিনের সম্পাদকের চাকরি গেল। সোমবার ম্যাগাজিনের যে সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়, তার বিষয় ছিল পুতিনের বিরুদ্ধে নির্বাচনে দুর্নীতির অভিযোগ। সম্পাদকের সমর্থন, দৃশ্যতই, ছিল পুতিন-বিরোধীদের দিকে। যে ছবিগুলি ছাপা হয়েছিল, তার একটা নাকি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অপমানজনক। মঙ্গলবারই সম্পাদক ম্যাক্সিম কোভালস্কি জানালেন, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। লক্ষণীয়, পত্রিকাটি বেসরকারি। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের ওপর প্রধানমন্ত্রী পুতিনের যে অশুভ নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ বার বার উঠেছে, কোভালস্কিকে বরখাস্ত করায় সেই অভিযোগ প্রমাণিত হল বলে দাবি করছেন অনেকে।
টমস্ক সিটি, সাইবেরিয়া
সোমবারের পর রাশিয়ায় বসে ভগবদ্গীতা পড়লে পুলিশ গ্রেফতার করতেই পারে। অবশ্য, যদি টমস্ক সিটির আদালত হিন্দুদের এই ধর্মগ্রন্থটিকে ‘চরমপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, তবেই। আদালতে এই মর্মে মামলা চলছে। রাশিয়ার প্রায় ১৫,০০০ অনাবাসী ভারতীয় এবং ধর্মীয় সংগঠন ‘ইসকন’ এই দাবির বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপের জন্য নয়াদিল্লির কাছে দরবার করেছে।
শেষ পাত
প্রধানমন্ত্রী মারিয়ো মন্তির নামে প্রেরিত একটি খাম আটক করেছে ইতালির পুলিশ। খামের মধ্যে আছে বিস্তর গালিগালাজ, হুমকি, এবং একটি তাজা বুলেট। একই ‘চিঠি’ পাঠানো হয়েছে আরও কয়েক জন রাজনৈতিক নেতা এবং সংবাদপত্র সম্পাদকের কাছে। পাঠিয়েছে ‘সশস্ত্র সর্বহারা আন্দোলন’ নামক একটি অখ্যাত গোষ্ঠী। তীব্র আর্থিক সংকটের ধাক্কায় সিলভিয়ো বের্লুস্কোনির পতনের পরে মারিয়ো মন্তি সরকার গড়েছেন এবং কঠোর ব্যয়সংকোচের নীতি নিয়েছেন। পার্লামেন্টে সেই নীতি অনুমোদন পেয়েছে, কিন্তু বহু মানুষ ক্ষুব্ধ। অতএব পত্রাঘাত। ও হ্যাঁ, একটি লেফাফায় বের্লুস্কোনির নামও লেখা ছিল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.