আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ফেরার তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ২০ জানুয়ারির মধ্যে আলিপুর আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দিল আদালত। অভিযুক্ত তিন জন হলেন রাহুল তোদি, আদিত্যবর্ধন অগ্রবাল ও প্রীতি সুরেখা। শনিবার মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। একই সঙ্গে ওই আদেশ পুলিশ কার্যকর করতে পারল কি না, তা-ও সে দিন আদালতকে জানাতে বলেছেন বিচারক।
আমরি-কাণ্ডের তদন্ত করছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবারই কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) দময়ন্তী সেন বলেছিলেন, হাসপাতালে আগুন লেগে বহু রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় রাহুল তোদিও অন্যতম অভিযুক্ত। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, রাহুল দেশে নেই। আমরির একটি সূত্রের যদিও দাবি, রাহুল হাসপাতাল সংক্রান্ত কোনও বিষয়ই দেখতেন না। তা সত্ত্বেও কেন তাঁকে খোঁজা হচ্ছে? এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালের প্রশাসনিক দিকগুলো যাঁরা দেখতেন, তাঁদের সঙ্গে রাহুল তোদির পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরি-কাণ্ডে তদন্তের স্বার্থে রাহুল তোদিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
এ পর্যন্ত ওই ঘটনায় হাসপাতালের সাত ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই পদস্থ কর্তাকেও। তাঁদের এক জন হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তা দেখভাল করতেন, অন্য জন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিলেন। ধৃতদের মধ্যে আট জন লালবাজারে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। রাধেশ্যাম অগ্রবাল নামে এক ডিরেক্টর পুলিশি পাহারায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানায়, রাধেশ্যামবাবুর মেয়েই প্রীতি সুরেখা। তিনি আমরির অন্যতম ডিরেক্টর। হাসপাতাল পরিচালনার কাজে তাঁর কী ভূমিকা ছিল, তা জানতে বেশ কিছু নথি আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। |