হাত-পা বাঁধা যুবকের দেহ উদ্ধার পানাগড়ে |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সাইকেলে চড়ে পানাগড় থেকে মালপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আয়মা গ্রামের মুদিখানা দোকানের মালিক উত্তম মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। ডিভিসি ক্যানালের কাছে যেতেই একদল দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায় বলে অভিযোগ। তাঁর কাছ থেকে নগদ টাকা কেড়ে নেওয়ার পরে দুষ্কৃতীরা মোবাইলের দাবি করতে থাকে। তা দিতে না পারায় বাঁশ ও রড দিয়ে মারধর করা হয় উত্তমবাবুকে। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পরেই ওই রাস্তা দিয়ে পানাগড় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন পেশায় কলের মিস্ত্রি আনন্দপুরের আসরফ মিদ্যা। দুষ্কৃতীরা তাঁকেও হাত-পা বেঁধে লাঠি, রড দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। তা সহ্য করতে না পেরেই আসরফের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান। তবে দুষ্কৃতীরা শুধুই ছিনতাইকারী না কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হলেও তার সাইকেল ও সঙ্গের অন্যান্য মালপত্র নিয়ে যায়নি দুষ্কৃতীরা। তাই এর পিছনে অন্য কোনও কারণও থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের।
উত্তমবাবুর দাদা অশোকবাবু জানান, রাত ১১টা বেজে যাওয়ার পরেও ভাই বাড়ি না ফেরায় তাঁরা খোঁজ নিতে বের হন। ক্যানালের কাছে গিয়ে দেখেন উত্তমবাবু রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছেন। উত্তমবাবু বলেন, “জনা দশেকের এক দুষ্কৃতী দল আমার পথ আটকায়। মারের চোটে জ্ঞান হারাই। পরে কোনও রকমে উঠে রাস্তার ধারে আসি। তখন অন্য এক জনের আর্তনাদ শুনেছিলাম।” উত্তমবাবুকে উদ্ধার করে কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়। এর পরে তাঁর পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেন। সকালে তাঁর সাইকেলটিও পাওয়া যায় মাঠে। এ দিকে গভীর রাত পর্যন্ত আসরাফ মিদ্যা বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাঁর খোঁজে বেরোন। ভোর-রাতে উদ্ধার হয় আসরফ মিদ্যার দেহ। তাঁর ভাই জনাব আলি মিদ্যা বলেন, “দাদার হাত-পা বাঁধা ছিল। খুব নৃশংসভাবে পেটানো হয়েছে। অত্যচার সহ্য করতে না পেরে দাদার মৃত্যু হয় বলে আমাদের ধারণা।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই রাস্তায় পুলিশি টহল বাড়ানো হবে। দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। |