|
|
|
|
|
|
|
‘অরুন্ধতী রুমাল নেড়ে দুয়ো দিচ্ছিল’
শিবাজি চট্টোপাধ্যায় |
|
রবিবার বললেই মনে পড়ে যায় অরুন্ধতীর সঙ্গে গাড়ি নিয়ে রেষারেষি করে ইছাপুর যাওয়া। তখনও প্রেমটা ভাল করে জমেনি। ইচ্ছেটা ছিলই। কিন্তু প্রোপোজ করাটা হয়ে ওঠেনি। অরুন্ধতী এক জন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। আমি এক উঠতি গায়ক। এমনই একটা সময় ঠিক হল পিকনিক করতে যাব ইছাপুরে। ওখানে আমার বড়দা তখন মেকানাইজড ব্রিক ফ্যাক্টরিতে চাকরি করত। গঙ্গার ধারে তার সুন্দর বাংলো। অরুন্ধতী যাচ্ছে তার নিজের অ্যাম্বাসাডারে। ড্রাইভার চালাচ্ছে ওর গাড়ি। আর আমার বাহন পুরনো হিন্দুস্থান ফোর্টিন। তাতে আমিই ড্রাইভার, আমিই হেল্পার। গাড়িটা সুরকার অজয় দাসের কাছ থেকে সস্তায় কিনেছিলাম। পরে জেনেছিলাম ওটা এক সময় নির্মলেন্দু চৌধুরীর হেফাজতে ছিল। মনে প্রবল ইচ্ছে। মুখে বাধো বাধো। তারই জমি প্রস্তুত করছিলাম ইছাপুর যাওয়ার পথে। শুরু হল রেষারেষি। এক বার অরুন্ধতীর ড্রাইভার এগিয়ে নিয়ে যায় তো এক বার আমি এগিয়ে যাই আমার হিন্দুস্থান ফোর্টিনকে নিয়ে। যে এগিয়ে যায় সেই রুমাল নেড়ে-টেড়ে অন্যকে দুয়ো দেয়। সে এক দারুণ মজা। তার পর তো ১৯৮৬-তে বিয়ে, ‘ভালবাসা ভালবাসা’ ছবিতে হিট গান সবটাই স্বপ্নের মতো। |
|
তবে পিছন ফিরে তাকালে এখনও যে বাস্তবটা ভীষণ ভাবে চোখে পড়ে, তা হল বাবা মারা যাওয়ার পরের দিনগুলো। বড্ড কষ্টে কেটেছে সে সময়টা। যদিও ছোটবেলাটা দারুণ মজার ছিল, শ্যামবাজারে মোহনবাগান লেনের সেই বাড়িতে ছিল যৌথ পরিবার। বাবা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বড় ভাই। শিয়ালদহ কোর্টে প্র্যাক্টিস করতেন। রাশভারী। সাহিত্যরসিক। বাবার লেখা নাটক প্রতিবছর কোর্টে অভিনীত হত। ঠাকুরদা খোল বাজাতেন। মেজকাকা তিন তলার ঘরে বসে অরগানে সুর তুলতেন। বাবা বাজাতেন এসরাজ। বাড়িতে সব সময়ই বইত সংস্কৃতির আবহাওয়া। মা-কাকিমারা ব্যস্ত থাকতেন ঘর গেরস্থালিতে। আর আমরা সাত থেকে সতেরোর দল দিনভর খেলে বেড়াতাম। নানা রকম সিজনাল খেলা ছিল আমাদের। শীতকালে ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, গরম এলেই ধুলো উড়িয়ে কাদা মেখে ফুটবল। দিনের শেষে হাত-পা কেটেকুটে জামাকাপড় নোংরা করে যখন ঘরে ফিরতাম, তখন আর চেনা যেত না আমাদের। এরই মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল রবিবারটা। রবিবার এলেই মাংস ভাত। বাইশ-তেইশ জনের পরিবারে কতটুকুই বা মাংস পেতাম। বড় জোর দু’পিস। বাটি ভর্তি বড় বড় আলুর টুকরো আর অনেকটা ঝোল। তাতেই খুশি হয়ে উঠতাম। মজা হত ডিমের ডালনা হলে। কোনও দিনই গোটা ডিম পেতাম না। হাফ ডিম, তারই কুসুমখানাকে যত্ন করে রেখে দিতাম খাবার শেষে খাব বলে। মজা হত তেতো খাবার বেলাতেও। মা-কাকিমাদের আড়াল করে থালার তলায় চালান করতাম তেতোগুলো।
রবিবারের আর একটা বড় আকর্ষণ ছিল ‘অনুরোধের আসর’। সে সময় রবিবার দুপুরের দিকে রেডিয়োতে একটা অনুরোধের আসর বসত। বাড়িতে একটাই রেডিয়ো। সেটাই জোরে চালিয়ে দিয়ে সবাই মিলে শুনতাম। বাজি রাখতাম, আজ কার গান দিয়ে শেষ হবে। কখনও মিলত, কখনও মিলত না। অনুরোধের আসর শেষ হলে শুরু হত শরবত তৈরি। |
আমার প্রিয়
রং: সাদা
পোশাক: ধুতি-পাঞ্জাবি
খাবার: চিংড়িমাছের মালাইকারি
ভ্রমণের স্থান: হরিদ্বার
সঙ্গীতকার: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
রাগ: ভৈরবী
সময়: গভীর রাত
মুহূর্ত: হেমন্তদার আমার বাড়িতে আসা |
|
কোকাকোলা, বরফ-টরফ দিয়ে তৈরি হত দারুণ একটা শরবত। সেই শরবতের আসরে আমাদের ঘরোয়া একটা অনুরোধের আসর চলত। বেশ মনে পড়ে যায়, সে সময় দিদিদের কাছ থেকে আমার কাছে দুটো অনুরোধ খুব আসত। একটা হল ‘ও ভোমরা ফুলের বনে মধু খেতে’, আর একটা ‘কুহক’ ছবির ‘বিষ্ণুপ্রিয়া গো...’। পাড়ায় পাড়ায় তখন দারুণ জলসার রেওয়াজ। অখিলবন্ধু ঘোষ, ইলা বসু, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, বাণী ঘোষাল, গায়ত্রী বসু, শ্যামল মিত্র, কমিক শিল্পী শীতল বন্দ্যোপাধ্যায়, হাসির গানের গায়ক মিন্টু দাশগুপ্ত এঁরা আসতেন। মিন্টুদা আবার সে সময় ‘সপ্তপদী’ ছবিতে ‘এ বার কালী তোমায় খাব’ করে বেশ খানিকটা বিখ্যাত হয়েছেন। দারুণ ভাল লাগত এঁদের সাহচর্য। শুধু শিল্পী বলেই নয়, মানুষ হিসেবেও এরা যে কতটা বড় মাপের ছিলেন, তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আজকের নবীন শিল্পীদের জন্য আমার কষ্ট হয়। এরা এঁদের দেখতেই পেল না। পেলে জানত ‘শিল্পী’ শব্দটা কত বৃহৎ অর্থে ব্যবহৃত হয়। গান গাইব বা গানই হবে আমার পরবর্তী জীবনের একমাত্র পথ, তা তখনও ভাবিইনি। সেই সময়টা এল পরে। শ্যামবাজারের বাড়ি ছেড়ে আমরা চলে গেলাম গড়পারে। ও বাড়িতে যাওয়ার বছরখানেক পরেই বাবা মারা গেলেন। আমি তখন টাউন স্কুলে। ক্লাস এইট কী নাইন। সেই গড়পার থেকে স্কুল করে মাধ্যমিক দিলাম। তার পর উচ্চমাধ্যমিক পড়তে পড়তে বিরাটিতে চলে গেলাম। আজকের বিরাটি আর চল্লিশ বছর আগের বিরাটি এক নয়। সেখানে তখন ধু ধু করছে মাঠ, ঝোপঝাড়, জঙ্গল। মধ্যমগ্রাম কলেজে ভর্তি হলাম। আমার সঙ্গীত জীবনে আসার পিছনে এই বিরাটিবাসের একটা বড় ভূমিকা আছে। কলেজে তখন বিনোদনের কোনও মাধ্যমই নেই। কলেজ আর খেলার মাঠ। হাফ প্যান্ট পরে ফুটবল পেটানোর দিন শেষ। শুরু হল ক্যান্টিনের টেবিল বাজিয়ে গান গাওয়া। এই গান গাইতে গাইতেই এক দিন কলেজ কম্পিটিশনে নাম দিলাম। এবং অত্যন্ত বাজে গাইলাম। বুঝতে পারলাম নিয়মিত অভ্যাস ছাড়া এ জিনিস সম্ভব নয়। রোখ চেপে গেল। গানটা আমাকে গাইতেই হবে। সুশীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গান শেখা শুরু করলাম। আমার এক বন্ধু ছিল তার নাম কমলেশ। সম্পর্কে সে আরতি মুখোপাধ্যায়ের কাকা। সে-ই আমাকে সুশীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে যায়। ওখানে গান শিখতে শিখতেই শুরু করলাম সত্যিকার সঙ্গীতজীবন। রাধাকান্ত নন্দী ছিলেন সে সময়কার বিখ্যাত তবলা বাদক। মাস্টারমশাই ওঁর সঙ্গে আমাকে প্রোগ্রাম করতে পাঠাতেন। সেই শুরু। আমার মধ্যে উনি কী দেখেছিলেন জানি না, তবে মাকে প্রায়ই বলতেন, দেখো ও ঠিক সোনার থালায় ভাত খাবে। তার পর তো আকাশবাণীতে চান্স পাওয়া, সিনেমায় প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে জায়গা পাওয়া, সবটাই ঘটেছে নিজস্ব নিয়মে। তবে এ সব করতে গিয়ে আমার জীবনে রবিবারটা কখনওই হারিয়ে যায়নি। ব্যস্ততা যত বেড়েছে রবিবার ততটাই স্পেশাল হয়ে উঠেছে আমার কাছে। পুরো সপ্তাহটাই কাটিয়ে দিই ওই একটা দিনের দিকে তাকিয়ে। রবিবারের এই ছুটি ছুটি আমেজটা আমার বেশ লাগে।
|
সাক্ষাৎকার: সুতপা চক্রবর্তী
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
• ‘কোলাভেরি ডি’ শুনে জাভেদ আখতার বাঁকা মন্তব্য করেছেন। এটা ‘ধনুষ-টঙ্কার’-এর প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে! তবে আমাদের কোনও চিন্তা নেই। কারণ, আমাদের কানে ‘টুনির মা’র টিটেনাস নেওয়া আছে!
বাপী ঘোষাল। ব্যান্ডেল
• ক্রিসমাস সিজন অফার: নামমাত্র যন্ত্রণায়, আরামদায়ক ব্যবস্থায় অমৃতলোক যাত্রা প্যাকেজ। অভাবনীয় আর্থিক সহায়তা। ইতিহাসের পাতায় প্রবেশের অপূর্ব সুযোগ। পুরোটাই লাইভ টেলিকাস্ট। আসন সংখ্যা সীমিত। শীঘ্র বুকিং করুন। কেবলমাত্র সল্ট লেক ও মুকুন্দপুর কাউন্টার খোলা আছে! যোগাযোগ
আ(য়)মরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
• রাজ্যের মানুষ রামায়ণের সপ্তকাণ্ডের মতো এ যাবৎ সাতটি কাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী! যেমন, সাঁই কাণ্ড, আনন্দমার্গী কাণ্ড, তাপসী কাণ্ড, নেতাই কাণ্ড, স্টিফেন কাণ্ড, কঙ্কাল কাণ্ড এবং আমরি কাণ্ড!
শাশ্বত গুপ্ত। ইব্রাহিমপুর রোড
• সকলের অপেক্ষা ছিল আকাশে আরও একটা চন্দ্রগ্রহণ দেখার। কিন্তু তার আগেই মর্তে (মরতে) হাজির হল অনাহুত পূর্ণগ্রাস স্বাস্থ্যগ্রহণ!
রতন দত্ত। বাঘাযতীন
• ¨ এত দিনে বুঝলাম সত্যিই আমাদের রাজ্যে পরিবর্তন হয়েছে। এত বড় কাণ্ড ঘটে গেলেও দিদি কিন্তু এক বারও বলেননি আমরিতে সিপিএমের অন্তর্ঘাত!
সুদীপ। হলদিয়া
• ‘সাফ কাপ’ জিতে ভারত দেখিয়ে দিল বিশ্ব ফুটবলে তারা সাফ হয়ে যায়নি!
উজ্জ্বল গুপ্ত।
• উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এখনও দেখা না গেলেও সাফ ফুটবলে সাফল্য ভারত কিন্তু এ বারও ‘নবি’করণ করে রাখল!
রণদীপ দত্ত। নৈহাটি
• বন্ধ-এ ‘ইতিহাস’ বন্ধ হবে না শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা। দেখা যাক, ব্রাত্যবাবু বন্ধের নতুন ইতিহাস গড়তে পারেন কি না!
অমরনাথ কর্মকার। সোনারপুর
• নাসা আবিষ্কৃত দ্বিতীয় পৃথিবীতে চাকরি করার জন্য চার দিকে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। ওই গ্রহটিতে বছর মাত্র ২৯০ দিনেই শেষ, মাইনে বারো মাসের!
অতীশচন্দ্র ভাওয়াল। কোন্নগর
• মানুষের তিনটি হাত ডান, বাঁ ও অজুহাত!
নীতিশ চৌধুরী। কুলটি |
|
|
|
গায়ের জোর বেশি তাই, চালাও হালুমহুলুম।
বেআইনি টাকা চাই, আর তা নইলে জুলুম।
সরকারি থানা হায় রে ঠুঁটো জগন্নাথ,
সত্যিই লম্বা তোমাদের হাত!
মেট্রো রেল থমকে থেমে, রাজ্য মাথা হেঁট।
ঘুঁটে মালা নাও দুষ্টচক্র সিন্ডিকেট |
|
|
ঘিরে থাকা রূপকথারা ... |
|
শিপ্রা মুখোপাধ্যায় |
প্রথম দেখা ১৯৯৪-এর ১৭ এপ্রিল। মামা-কাকার মাধ্যমে সম্বন্ধ। তখন কালো-কুলো একটা মেয়ে দেখার থেকে মিষ্টির প্লেটের দিকেই তার নজর ছিল বেশি। আমিও বোকা। এক ঘর লোকের সামনে গেয়ে উঠলাম, ‘তুমি রবে নীরবে, হৃদয়ে মম’। ঘষটাতে ঘষটাতে ২৬ জানুয়ারি ১৯৯৫-এ বিয়ে। পরের দিন শ্বশুরবাড়ি আসছি। পাশে ফর্সা সুন্দরী বোন। গাড়ির বাইরে, জানলা দিয়ে একটি ছেলের সরাসরি মন্তব্য, ‘বউদি কালো’। আর ভেতর থেকে আর এক জনের মন্তব্য, ‘এখানেই প্যাঁক খাচ্ছি, বাড়িতে কী অবস্থা হবে?’ সেই প্রথম বন্ধুত্বের সূচনা হল। বুঝলাম কঠিন পরিস্থিতিকে মজাদার করে নেওয়াই ওর গুণ। রান্নার ‘র’ও জানতাম না। আমার দাদা এসে জিজ্ঞাসা করত ওকে, তোমাদের আজকের এটাই মেনু? সঙ্গে সঙ্গে মজার উত্তর ক্ষতি কী? জুটছে তো।
চাকরি সূত্রে মাঝে মাঝেই বাইরে যেতে হয়। এক বার গিয়েছিল চার মাসের জন্য। দায়িত্ব রেখে গিয়েছিল ছেলে, মেয়ে ও অসুস্থ মায়ের। তখন আমার সঙ্গী হয়েছিল, ‘সখীরে, মরম পরশে তব গান। অধীর আকুল করে প্রাণ। হৃদয় দিয়েছি প্রতিদান’ গাইতে গাইতে কেঁদে ফেলতাম, আর বুঝতাম, স্বামীর নয় বন্ধুর অভাব।
ছেলের পৈতের নিমন্ত্রণ করতে গিয়ে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছিলাম নিজের বাবার বাড়িতেই। আঘাত করার বদলে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছিল। বলেছিল, ‘আমি তো আছি।’ এখনও প্রত্যেক সপ্তাহে মায়ের ডায়াপার নিয়ে আসে। আর সকালবেলায় নোংরা ফেলার গাড়িতে সেই ব্যবহার করা ডায়াপার আমি নিজের হাতে ফেলি। স্ত্রীর কর্তব্যে নয়, বন্ধুত্বের তাগিদে। মাঝে মাঝে মজা করে বলি, ‘আমাদের শ্যাওলা ধরা কপাল’। ও বলে, ‘শ্যাওলা উঠিয়ে দিলেই ইটটা বেরোবে।’ সূর্যোদয়টা হয় আমার আতঙ্কে আবার একটা দিন শুরু হল। কিন্তু সূর্যাস্তটা আনন্দের। আবার বাড়ি আসবে, আবার মজা, আবার খুনসুটি। বিয়ের ষোলো বছর পরে কেউ নিজের স্ত্রীকে, অনুপ ঘোষালের ‘পৃথিবী আমারে চায়’ উপহার দেয়, না জানিয়ে ভ্যালেন্টাইনস ডে তে? বন্ধু না হলে? |
|
কখনও গণধোলাই কখনও
গণচোলাই সস্তায় মৃত্যুর বিকল্প নাই!
অমৃতানন্দ পাল, মগরাহাট |
|
|
|
|
ক্ষমা করিনি |
|
প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে হাই স্কুলে ভর্তি হয়েছি। তখন প্রতিটি ক্লাসে এক জন মনিটর থাকত। যার কাজ দু’টি পিরিয়ডের মধ্যবর্তী সময়ে স্যর না আসা পর্যন্ত ক্লাসে শান্তিরক্ষা। কেউ দুষ্টুমি করলে ব্ল্যাকবোর্ডে নাম টুকে রাখা। স্যর এসেই বোর্ড দেখে নাম ডাকতেন আর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতেন। এক দিন টিফিন পিরিয়ডনে খেলার সময় মনিটর আমার কাছে হেরে গেল। বললে, দাঁড়া আজ তোকে মজা দেখাচ্ছি। টিফিন পিরিয়ড শেষ। ক্লাসে এসে দেখি, বোর্ডে আমার নাম। আমি তো অবাক। স্যর এলেন। বোর্ডে নাম দেখে আমাকে ডাকলেন। বললেন, হাত পাত। হাত পাততেই কঞ্চি ছড়ির সপাসপ ঘা। হাতে রক্ত জমে কালশিটে পড়ে গেল। স্যরকে কত করে বোঝাবার চেষ্টা করেছিলাম যে, আমি কোনও অপরাধ করিনি। মনিটর খেলায় হারার শোধ নিতেই আমার নাম লিখেছিল। কালশিটে দাগটা আজ আর নেই, ব্যথাও না। তবু আজও সে কথা মনে পড়ে। রাগ হয় খুব।
বসন্ত মল্লিক,
হুগলি |
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের। ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান। ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
নিজের বা আশেপাশের মানুষের জীবন
থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ভালবাসার বাস্তব
কাহিনি আমাদের পাঠান, যে কাহিনি এই
কঠিন সময়েও ভরসা জোগাতে পারে।
২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন।
চিঠি পাঠান এই ঠিকানায়:
যদিদং, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|
|