টুকরো খবর
এইমস-এর দাবি, আন্দোলন ছড়াচ্ছে উত্তর জুড়ে
রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির দাবিতে কংগ্রেসের আন্দোলন উত্তরবঙ্গ জুড়েই ছড়িয়ে পড়ছে। শুক্রবার শিলিগুড়িতে এই দাবিতে মিছিল করেন কংগ্রেসের ল’ইয়ার্স সেলের সদস্যরা। শিলিগুড়ি আদালত থেকে মিছিল করে বার হয়ে হাসমি চকে আইনজীবীরা প্রায় ঘণ্টা দেড়েক অবস্থান বিক্ষোভও করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা স্মারকলিপি সংগঠনের সভাপতি বিনয় সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক উদয়শঙ্কর মালাকারের নেতৃত্বে শিলিগুড়ি মহকুমা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কংগ্রেস ল’ইয়ার্স সেলের নেতা তথা শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুরেশ মিত্রুকা বলেন, “আমরি কাণ্ডে প্রমাণিত সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা জরুরি। উত্তরবঙ্গে সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও অপ্রতুল। রায়গঞ্জে এই ধরনের হাসপাতাল তৈরির হলে উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সামগ্রিক উন্নতি হবে।” এদিন কংগ্রেসের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটিরও সম্মেলনেজেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুজয় ঘটক বলেন, “রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা করেন প্রাক্তন সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। তাঁর স্বপ্ন পূরণের জন্য কংগ্রেস একজোট হয়ে লাগাতার আন্দোলন চালাবে।”

রোগিণীর মৃত্যুতে ভাঙচুর নার্সিংহোমে
রোগিণীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালানো হল। শুক্রবার সন্ধ্যায় বসিরহাটে এই ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসনাবাদের তকিপুরের সান্ডারা গ্রামের বাসিন্দা মৃত ওই রোগিণীর নাম রেশমা বিবি (২২)। অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলাকে বৃহস্পতিবার সকালে বদরতলার কাছে বসিরহাট নাসির্ংহোমে ভর্তি করানো হয়। দুপুরে অস্ত্রোপচারে তিনি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। বসিরহাট থানার আই সি অতনু মণ্ডল বলেন, “নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানান, হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন রেশমা। বিকেল তিনটে নাগাদ তিনি মারা যান। মৃত্যুর খবর পেয়েই রোগিণীর বাড়ির লোকেরা নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান। তবে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই রেশমা বিবি চিকিৎসক উৎপল ঘোষের কাছে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। এ দিন উৎপলবাবুই তাঁর অস্ত্রোপচার করেন। রেশমার পরিবারের অভিযোগ, অপারেশনের পর মা ও সন্তান দু’জনেই সুস্থ ছিলেন। দুপুরে বাবার সঙ্গে মোবাইলে রেশমা কথাও বলেন। এর কিছু পরেই নার্সিংহোম থেকে ফোনে জানানো হয় রেশমার অবস্থা ভাল নয়। খবর পেয়ে তাঁরা গিয়ে দেখেন রেশমা মারা গিয়েছেন। রেশমা বিবির বাবা মোকসেদ মণ্ডলের অভিযোগ, “চিকিৎসার গাফিলতিতেই মেয়ে মারা গিয়েছে।” নার্সিংহোমের তরফে গৌতম হালদার বলেন, “অপারেশনের পরে উৎপলবাবু চলে গেলে স্বপন নাগ নামে অন্য একজন চিকিৎসক রেশমার চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। অসুস্থতাজনিত কারণেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযগ ঠিক নয়।”

নিরাপত্তা নেই, তবু চালু কেন্দ্র
আমরি-কাণ্ডের পর সব হাসপাতালে দমকলের ছাড়পত্র নেওয়ার বিষয়ে কড়াকড়ির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। অথচ শুক্রবার দমকলের ছাড়পত্র ছাড়াই সদর হাসপাতালে সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট উদ্বোধন করলেন নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন দমকল দফতর। জেলা স্বাস্থ্য দফতর কর্তারা জানিয়েছেন, দমকল বিভাগের কাছে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে। দমকল বিভাগের উত্তরবঙ্গের ডেপুটি ডিরেক্টর উদয় নারায়ণ অধিকারী বলেন, “মালদহ সদর হাসপাতাল ছাড়পত্রের জন্য আবেদনই করেনি। ৩-৪ দিন আগে ফোন করে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেছিল ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করবেন। তাড়াতাড়ি করে তা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। আবেদন পাঠালে তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার চেষ্টা করব।” এই ঘটনায় বিব্রত রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। তিনি বলেন, “জেলা স্বাস্থ্য দফতর যে দমকলের ছাড়পত্র নেয়নি তা জানব কী করে? জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উচিত ছিল দমকলের ছাড়পত্র নিয়ে এসএনসিইউ চালু করা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে দ্রুত দমকলের ছাড়পত্র নেওয়ার জন্য বলেছি।” ঘটনা হল, উদ্বোধনের আগের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএনসিইউর জন্য আনা অটোক্লেভ মেশিনে বিস্ফোরণ হয়। তাতে দুজন টেকনিসিয়াসন তথা স্বাস্থ্যকর্মী জখম হন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন কুমার ঝরিয়াত বলেন, “স্বাস্থ্যসচিব ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এসএনসিইউ খোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। দমকল বিভাগের কাছে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তারা ছাড়পত্র না দিলে আমরা কি করব?”

ক্ষোভের মুখে সিএমওএইচ
৮০ শয্যার হাসপাতালের নতুন ঘরের নির্মাণ কাজের সূচনা করতে গিয়ে অব্যবস্থা নিয়ে রোগী ও আত্মীয়দের ক্ষোভের মুখে জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। রোগী ও আত্মীয়দের অভিযোগ, চরম অব্যবস্থার মধ্যে চলছে ধূপগুড়ি হাসপাতাল। একটি শয্যায় ২ জন থেকে ৩ জন রোগীকে রাখা হচ্ছে। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। রক্ত মাখা তুলো, ব্যান্ডেজ চারদিকে ছড়িয়ে। পরিস্থিতির কথা কয়েক বার জানানো হলেও লাভ হয়নি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার বলেন, “ওই ধরনের অব্যবস্থা মেনে নেওয়া হবে না। বিএমওএইচ-এর কাছে রিপোর্ট চেয়েছি।” ধূপগুড়ি হাসপাতালকে ৩০ শয্যা থেকে এক ধাপে ৮০ শয্যায় উন্নিত করার জন্য এক বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের ৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যে মেলে। কিন্তু ঘরের নকশা না-পৌছনোয় কাজ শুরু করতে পারছিলেন না কর্তৃপক্ষ। ধূপগুড়ির বিধায়ক মমতা রায় বলেন, “নকশা না-থাকার জন্য কাজ বন্ধ ছিল। দৌড়ঝাঁপ করে ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি আগামী ২ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।”

স্বাস্থ্য-পরীক্ষা শিবির
বিনামূল্যে স্বাস্থ্য-পরীক্ষা শিবির হল মেদিনীপুর শহরের গাঁধীঘাটে। শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত শিবিরে অন্তত ৪০০ জনের স্বাস্থ্য-পরীক্ষা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মৃণাল চৌধুরী বলেন, “এ ধরনের শিবিরের ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে পারেন।” কাল, রবিবার হবে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক সম্মেলন। দুঃস্থ পরীক্ষার্থীদের বিনামূল্যে টেস্ট পেপারও দেওয়া হবে।

শিশুস্বাস্থ্য আলোচনা
শিশু-স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক আলোচনাসভা হল মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হলে। অ্যাসোসিয়েশন অফ পেডিয়াট্রিক সার্জেনস অফ ইন্ডিয়া এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে শুক্রবারের এই সভা। ছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুকুমার মাইতি-সহ বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।

আগুন মার্সি হাসপাতালে
আগুন লাগল পার্ক স্ট্রিট এলাকার একটি হাসপাতালের বেসমেন্টে। দমকল জানায়, শুক্রবার রাত সওয়া ১০টা নাগাদ মিশন অফ মার্সি হাসপাতালের বেসমেন্টে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন কয়েক জন কর্মী। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কী ভাবে আগুন লাগল, তা পরীক্ষা করছে দমকল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বেসমেন্টে রান্নাঘর চলছিল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.