|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
স্তুতি নহে, সরল স্বীকারোক্তি |
বইপোকা |
‘বুদ্ধিমান রুচিশীল পাঠক মনস্থির করে বই কেনার সময় লেখক কিংবা বই সম্পর্কে একগাদা স্তব স্তুতি শুনতে চান না, নির্ভরযোগ্য পরিচয় জানতে চান।’ অদ্য আনন্দ-র উদ্যোগে সিগনেট বুক শপের নবজন্ম ঘটিবে, তৎপূর্বে পড়িতেছিলাম ‘নতুন পাণ্ডুলিপি’। ইহা সিগনেটের সুবিখ্যাত ‘টুকরো কথা’রও পূর্বের প্রচারপুস্তিকা, রূপকার কিংবদন্তি দিলীপকুমার গুপ্ত, ডিকে। কিন্তু সিগনেট প্রেসের ক্যাটালগ প্রকাশ উপলক্ষে ওই যে কথা-কয়টি লিখিত হইয়াছিল একষট্টি বৎসর পূর্বে, তাহার অনুসরণ অদ্যাবধি কই? এখনও প্রকাশকের পুস্তক পরিচয়ে স্তব স্তুতি-র ছড়াছড়ি। এই ঢক্কানিনাদের মাঝে সম্প্রতি দুইটি গ্রন্থে সরল স্বীকারোক্তি বড়ই প্রীত করিল। কবিকঙ্কণ-চণ্ডী: বৈচিত্রের অনুসন্ধান (কোডেক্স, ৩০০.০০) গ্রন্থে পরিচিতিমূলক ব্লার্ব নাই। গ্রন্থটি বস্তুত নানা গবেষণার সারাৎসার। লেখক মোহিনীমোহন সরদার সে কথা গোপন করেন নাই, ‘কৃতজ্ঞতা স্বীকার’-এ লিখিয়াছেন, ‘দীর্ঘদিনের নিরলস মুটে-মজুরের কাজের ফল এই গ্রন্থ’। ৪৭১ পৃষ্ঠার গ্রন্থে প্রায় সমসংখ্যক সূত্রনির্দেশ বিস্মিত করিলেও নূতন গবেষণার অ-সার দাবি না করার সংযমটি সাধুবাদযোগ্য। অপর গ্রন্থটি মুক্তধারা: একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা-গ্রন্থ (সম্পাদক ও সংকলক মলয় রক্ষিত, কল্যাণী পাবলিকেশন, ১৮০.০০)। ‘ভাবে-অভাবে’, ‘বীক্ষায় শিক্ষায়’ জাতীয় যে সকল গালভরা বিশেষণ ছাত্রপাঠ্য আলোচনাগ্রন্থসকলে দেখা যায়, মলয় সে পথ মাড়ান নাই। ঠিকই করিয়াছেন। ইহাকেই বলে গ্রন্থের স্পষ্ট, নির্ভরযোগ্য পরিচয়! |
|
|
|
|
|