|
|
|
|
সংস্কৃতি যেখানে যেমন... |
সংস্কৃতি উৎসব |
আটের দশকে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগতে ব্যপক উন্মাদনা ছিল নলহাটিতে। পরে তা প্রায় স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রতিভার তো কোনও অবসর নেই। তাই কিছু প্রবীণ-নবীন উৎসাহী মানুষজনদের উদ্যোগে গত ৯ বছর আগে নলহাটিতে গড়ে ওঠে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংস্থা ‘উন্মেষ’। ওই সংস্থা গত ৯ বছর ধরে নানা কর্মকাণ্ড করে এলাকায় সমাদৃত হয়েছে। বছরে ১টি করে সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত করে আসছে ‘উন্মেষ কথা’ নামে। বছর ভর নাটক, যাত্রা, লোক সংস্কৃতি ইত্যাদি নানা অনুষ্ঠান হয়। জেলার বিশিষ্ট মানুষদের সম্বর্ধনাও জানানো হয়। গত ১১ ডিসেম্বর নলহাটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সম্বর্ধনাসভা, সাহিত্যসভা ও নজরুল ইসলাম বিষয়ক গীতি ও নৃত্য আলখ্যে মেতেছিল উন্মেষ। ওই দিন পাঁচ বিশিষ্ট জনকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন সিউড়ির সেহেরাপাড়া চেতনা গোষ্ঠীর কর্ণধার নাট্যকার এবং পরিচালক পান্না বেগম। তাঁর পরিচালিত নাট্য সংস্থা ২৫ বছরে পড়ল। সেখানে পান্না বেগমের লেখা ৯০টি ছোটবড় নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের চমক ছিল কেক কেটে পান্না বেগমের জন্মদিন পালন। ওই দিন যে তাঁর জন্মদিন ছিল ভুলেই গিয়েছিলেন। কিন্তু উদ্যোক্তারা মনে রেখেছিলেন। তিনি তাঁর অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে কেঁদেফেলেন। চোখেল জল বাঁধ মানেনি উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতাদেরও।
|
উঠতি প্রতিভা |
বললে পাখি আমায় ডেকে
এই নে আমার ডানা
আমি বললাম না ভাই না
উড়তে আমার মানা
পাখি ফিরে আবার বলে এই নে আমার গান
আমি বললাম এই উপহার করতে পার দান।
পাখি বলল আবার ফিরে, কী চাই আরও তোর?
আমি বললাম, চাই একটা
কিচির মিচির ভোর।
ছড়াটি প্রকাশিত হয়েছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘চির সবুজ লেখা’ পত্রিকায়। ওই ছড়ার রচয়িতা দুবরাজপুর ব্লকের গুনডোবা গ্রামের স্কুল ছাত্রী স্বাগতা রানু। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়ে ওই ছড়াটি লিখেছিল সে। বর্তমানে সে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তার ছড়া প্রকাশিত হয়েছে ‘শুকতারা’, ‘কিশোর ভারতী’-সহ কলকাতার বহু পত্রিকায়। ফলে বাংলার শিশু সাহিত্য মহলে যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছে স্বাগতা বলে জানালেন বিশিষ্ট ছড়াকার স্বাগতার প্রধান গাইড আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়। শুধু ছড়াই নয়, ছোট গল্পের হাতও খুব মিষ্টি বলে জানিয়েছেন কলকাতা থেকে প্রকাশিত শিশু সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ও গবেষক বাদলচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। গত বছরে প্রকাশিত ছোটগল্পে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছে সে। গত ১১ ডিসেম্বর কলকাতার বেহালাতে এক অনুষ্ঠানে শিশু সাহিত্যের ১২ জনকে পুরস্কৃত করেছে ‘মুক্ত আলো পত্রিকা।’ ওই ১২ জনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ স্বাগতা। আগামী দিনে সে লেখিকা হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করেন বিশিষ্ট ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। তাঁর কথায়, “যে কোনও লেখায় স্বাগতার শব্দচয়ন চমকে দেওয়ার মতো।”
|
একতা শিবির |
|
নেহেরু যুবকেন্দ্র আয়োজিত ‘একতা শিবির’ এ বার অনুষ্ঠিত হল বীরভূমে। সপ্তাহব্যাপী ধরে চলা ওই শিবির শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। মূলত লোক সংস্কৃতির আদানপ্রদানের উদ্দেশ্যে ওই শিবির প্রতি বছর কোনও না কোনও রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বীরভূমে শিবিরে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, অসম প্রমুখ রাজ্যের ১৫০ জন তরুণতরুণী। কীর্ণাহার, নানুর, দাশকলগ্রাম, লাভপুর, প্রভৃতি জায়গার লোক সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে।
• দুবরাজপুরের অভেদানন্দ মেলা এ বার ৪৯ বছরে পড়ল। গত ১২ ডিসেম্বর এই মেলা শুরু হয়েছে। কাল রবিবার শেষ হবে। প্রতি দিনই সন্ধ্যায় সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি প্রভৃতি প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ছাড়াও নাটক, যাত্রা, কীর্তন, বাউল গানের অনুষ্ঠান হয়েছে।
• সম্প্রতি সোনামুখীর ইছারিয়া নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশিষ্ট সমাজসেবী গোবিন্দদাস মুখোপাধ্যায়কে একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় সম্বর্ধনা জানাল গ্রামশিক্ষা কমিটি এবং ওই স্কুলের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীরা। সঙ্গীত পরিবেশন করেন ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী শিল্পী বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সোনামুখী সার্কেলের বিদ্যালয় পরিদর্শক অনুপম আচার্য। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিধান মুখোপাধ্যায়।
|
|
পুরুলিয়া জেলা ছাত্রযুব উৎসব। |
• শুক্রবার পুরুলিয়া শহরের চিত্তরঞ্জন বয়েজ হাইস্কুলে শুরু হল জেলা ছাত্র যুব উৎসব। এই অনুষ্ঠানে নাটক পরিবেশন করেছে জয়পুর, রঘুনাথপুর-২, সাঁতুড়ি ব্লকের তিনটি নাট্যদল। আজ এবং কাল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হবে। অন্য দিকে, কাশীপুরের পঞ্চকোট রাজ বিদ্যালয়ে হয়েছে ব্লক স্তরের ছাত্র যুব উৎসব। এই উৎসবে ব্লকের ১০৬ জন প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিল। দলগত ভাবে প্রতিযোগিতায় সেরা নির্বাচিত হয়েছে বেকো অঞ্চল হাইস্কুল।
• ‘রবীন্দ্রনাথ-নানা চোখে’ শীর্ষক আলোচনাসভা হয়েছে পুরুলিয়ার নিস্তারিনী করেজে। রাজ্য বাংলা অ্যাকাডেমি ও কলেজের বাংলা বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় স্তরের ওই আলোচনাসভা হয়। বুধবার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিদহো-কানহু বীরসা বিদ্যালয়ের উপাচার্য তপতী মুখোপাধ্যায়। যোগ দিয়েছিলেন জেলার কলেজগুলির ২৫০ জন ছাত্রছাত্রী।
• সম্প্রতি প্রাক্ ২৪তম বিষ্ণুপুর মেলা যাত্রা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল বিষ্ণুপুর যদুভট্ট মঞ্চে। উদ্বোধন করেন বিষ্ণুপুর পুরসভার উপপুরপ্রধান তথা মেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়। মেলা কমিটির সদস্য তথা বিষ্ণুপুর মহকুমা তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিক আজিজুর রহমান বলেন, “মেলায় মোট ২২টি যাত্রাদল যোগ দিয়েছে প্রতিযোগিতায়।”
• আন্তর্জাতিক রসায়ন বিদ্যাবর্ষ উপলক্ষে একটি আলোচনাসভা হয়েছে বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজে। ওই কলেজের রসায়ন বিদ্যা বিভাগের সঙ্গে এই আলোচনাসভার আয়োজক ছিল ‘সায়েন্স সেন্টার মেদিনীপুর’। বক্তা হিসেবে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুরজিৎ ঘোষ, রামানন্দ কলেজের অধ্যাপক কার্তিক গুপ্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
• বিষ্ণুপুর কৃত্তিবাস মুখোপাধ্যায় উচ্চ বিদ্যালয় সভাগৃহে সম্প্রতি নিখিল ভারত বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের বিষ্ণুপুর শাখা অতুলপ্রসাদ সেন স্মরণসভা ও হৈমন্তিক সাহিত্য বাসরের আয়োজন করেছিল। সভায় সংস্থার সদস্য সমিত চক্রবর্তীর কবিতা ও ছড়া সংকলন ‘কবিতা মঞ্জুরি ও শিশু ছড়া’ প্রকাশের জন্য হার্দিক অভিনন্দন জানানো হয়।
|
|
বিষ্ণুপুরে ছাত্রযুব উৎসব। |
• বিষ্ণুপুর পুর ছাত্র-যুব উৎসব সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল বিষ্ণুপুর রামশরণ সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের হলে। রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি, আবৃত্তি, বসে আঁকো-সহ ২৯টি বিভাগে ৩০০ জন প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিলেন। |
|
|
|
|
|