মুর্শিদাবাদ জেলায় ছাত্র রাজনীতি আজ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছিয়েছে যে, বাইরে থেকে দেখলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলে মনে হবে না। উত্তেজনাপ্রবণ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র বলে মনে হবে। দখলদারি বজায় রাখতে কলেজ প্রাঙ্গণে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে হাতাহাতি, লাঠালাঠি, বোমাবাজিকী না হচ্ছে সেখানে! অথচ অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই শান্তিপ্রিয়। তারা বহু আশা নিয়ে, বহু পরিশ্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে কলেজে ভর্তি হয়। তারা কলেজে ঢুকেই দেখে কী ভাবে রাজনীতির রংমশাল জ্বলছে। ত্রাসে, আতঙ্কে নিরীহ পড়ুয়ারা দিনের পর দিন কলেজে যেতে পারে না। ফলে তারা পিছিয়ে পড়ছে দৈনন্দিন পঠন-পাঠন থেকে। প্রাত্যহিক পাঠদিবসকে দলিত করে ছাত্রস্বার্থের নামে রাজনৈতিক দলগুলি গলা ফাটায়। কলেজ নির্বাচনের মূল উদ্দেশ্য কলেজে পাঠরত ছাত্রদের সমস্যা, অভিযোগ, শিক্ষার অধিকার সর্ম্পকিত বিষয় গুলি কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরার জন্য শ্রেণি প্রতিনিধি তৈরি করা। বিষয়য়টি সর্ম্পূণ কলেজের আভ্যন্তরীণ। সেখানে বাইরের জনতার মাথাব্যথা দেখে বিস্মিত হতে হয়। অভিভাবকদেরও কি কোনও বক্তব্য নেই এই অসহনীয় পরিস্থতিতে? তাঁরাও এগিয়ে আসুন। কলেজে রক্তক্ষয়ী নির্বাচনের বিরুদ্ধে তাঁরাও সোচ্চার হোন। ফলে নির্বাচন থাকবে না, অথচ শ্রেণি প্রতিনিধি থাকবে এমন কোনও উপায় বের করতে পারলে কলেজে শান্তি ফিরতে পারে। একটি পথ হতে পারে পরীক্ষার ফলাফলকে ভিত্তি করে শ্রেণি প্রতিনিধি মনোনয়ন। অর্থাৎ, প্রতিটি বর্ষের অব্যবহিত আগের বছরের ফলাফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হোক। ছাত্র প্রতিনিধি মনোনীত করা হোক ওই তলিকার প্রথম দিক থেকে। মেধা তালিকার প্রথম জন হতে না চাইলে পরের জনকে শ্রেণি প্রতিনিধি করা হোক। গণতন্ত্র বেঁচে থাক পঞ্চায়েতে, বিধানসভায় ও লোকসভায়। কলেজ শাসন করুক মেধাবী ছেলেমেয়েরা। |
সরকারি নিয়ম অনুসারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০ জন ছাত্র পিছু ১ জন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু তুঘলকি কায়দায় শিক্ষক বদলির ফলে নদিয়া জেলার শক্তিনগর ‘বি’ স্কুলে ১৭০ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৯ জন। অন্য দিকে হাঁসখালি ইস্ট সার্কেলের গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের কোনও বালাই নেই। সেখানে মাত্র ৩ জন শিক্ষক। ওই তিন জনের মধ্যে ফের প্রধানশিক্ষককে বদলি করা হল নতুনপাড়া গোয়ালদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আশ্চযের্র বিষয় নতুনপাড়া গোয়ালদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই একই পদে শান্তিপুর সার্কেল থেকে অন্য এক জন শিক্ষককেও বদলি করা হয়েছে। ফলে নতুনপাড়া গোয়ালদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক পদে ১৮ নভেম্বর এক জন শিক্ষককে ও ২৮ নভেম্বর আরও এক জন শিক্ষককে বদলি করা হয় কী ভাবে? |