সরকারি কৌঁসুলি নিয়োগ নিয়ে মামলা, জড়াল মন্ত্রীর নামও
জেলার বিভিন্ন আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও গভর্নমেন্ট প্রসিকিউটর (জিপি) নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। আর তার সঙ্গে জড়িয়ে গেল রাজ্যের আইন ও বিচার মন্ত্রী মলয় ঘটকের নাম। মামলাটির নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জন্য নিযুক্ত জিপি এবং পিপি-রা সরকারের কাছ থেকে কোনও সাম্মানিক নিতে পারবেন না বলে শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস।
আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী উত্তম মজুমদার অভিযোগ করেন, মন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী সরকারি আইনজীবীদের নাম সুপারিশ করা হয়েছে বলে রাজ্যের লিগাল রিমেমব্রান্সার (এলআর) ইন্দ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী পিপি এবং জিপি নিয়োগ করার ক্ষেত্রে মন্ত্রীর কোনও ভূমিকাই নেই।
সরকারি উকিল নিয়োগের নিয়মবিধি বা পদ্ধতিটা কী? পিপি এবং জিপি হওয়ার জন্য আইনজীবীরা জেলাশাসকের কাছে আবেদন করেন। জেলাশাসক আবেদনপত্র নিয়ে জেলার মুখ্য দায়রা বিচারকের সঙ্গে আলোচনা করে তালিকা প্রস্তুত করেন। তার পরে তালিকা পাঠান মহাকরণে, এলআর-এর কাছে। সরকারি উকিল হিসেবে তাঁদের কাছে নিয়োগের চিঠি পাঠিয়ে দেন এলআর। উত্তমবাবু এ দিন হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে জেলাশাসক ওই জেলার মুখ্য দায়রা বিচারকের সঙ্গে আলোচনা করে এলআর-এর কাছে যে-তালিকা পাঠান, তা বদলে দেওয়া হয়। সেই তালিকায় যে-সব নাম ছিল, তার থেকে সাত জনের নাম বাদ দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নতুন পাঁচ জনের নাম। উত্তমবাবু জানান, পিপি এবং জিপি নিয়োগ নিয়ে জেলাশাসকের কাছে একটি তালিকা পাঠান আইন ও বিচার মন্ত্রী। কিন্তু জেলাশাসক ও জেলার মুখ্য দায়রা বিচারক সেই তালিকায় থাকা সব নাম এলআর-এর কাছে পাঠাননি। নিয়োগে সম্মতি জানিয়ে এলআর-এর কাছ থেকে জেলাশাসকের কাছে তালিকা ফেরত যাওয়ার পরে জানা যায়, তালিকায় নাম বদলানো হয়েছে। এবং সেই পরিবর্তনটা যে খোদ আইন ও বিচার মন্ত্রীর ইচ্ছাতেই হয়েছে, তা-ও চিঠিতে লিখে দিয়েছেন এলআর। উত্তমবাবুর অভিযোগ, জিপি-র বয়স কখনওই ৬৫ বছরের বেশি হতে পারে না। কিন্তু এখানে ৬৯ বছরের এক আইনজীবীকে জিপি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দে বলেন, সরকারের মতামত জেনে তিনি হাইকোর্টকে জানাবেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি বিশ্বাস এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরের পিপি এবং জিপি-দের তালিকা বাতিল করেননি। শুধু নির্দেশ দেন, মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সরকারের কাছ থেকে কোনও সাম্মানিক নিতে পারবেন না।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.