দলমার হাতিদের আসা-যাওয়ার পথে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরে এ বার বুনো শুয়োরের হামলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বন দফতরের বাঁকাদহ রেঞ্জ এলাকার চাষিরা। স্থানীয় আমডহরা, চাঁচর, বেলশুলিকা, মড়ার প্রভৃতি গ্রামের চাষিদের ক্ষোভ, দলবদ্ধ হয়ে শ’দেড়েক বুনো শুয়োর নেমে পড়েছে চাষের জমিতে। তুলে ফেলে খাচ্ছে আর নষ্ট করছে আলু, শসা, বেগুন, মটরশুঁটি। তবে হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আলুচাষিরা। আমডহরা গ্রামের চাষি আজিজুল খান, আসিরুদ্দিন খানদের দাবি, “বুনো শুয়োর তাড়ানোর জন্য গাছের উপরে মাচা বেঁধে টিন বাজিয়ে হল্লা করলেও দলবদ্ধ হয়ে ওদের চাষজমিতে নেমে পড়া ঠেকানো যাচ্ছে না। দাঁত দিয়ে চিরে ফেলার ভয়ে শ’দেড়েক বুনো শুয়োরের মুখোমুখি হতেও আমরা ভয় পাচ্ছি। চোখের সামনে বিঘের পর বিঘে জমির আলু, বেগুন, শসা নষ্ট হতে দেখেও কিছু করতে পারছি না।” তাঁদের আরও ক্ষোভ, “বন দফতরের কর্মীদের এ দিকে কোনও নজর নেই। বুনো শুয়োর তাড়াতে সার্চ লাইট চেয়েও পাচ্ছি না। মিলছে না ক্ষতিপূরণ।” তবে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়ে বাঁকাদহের রেঞ্জ অফিসার বলাই ঘোষ বলেন, “জঙ্গল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুনো শুয়োরও অনেক বেড়েছে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাচ্ছি। হাতি তাড়ানোর জন্য বিভিন্ন গ্রামে সার্চ লাইট দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও আলোচনাধীন।” তিনি জানান, বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের হাতির মতোই নজর রাখতে বলা হয়েছে, যাতে বুনো শুয়োরের দল কোনও ভাবে বাড়িতে না ঢুকতে পারে। ইতিমধ্যেই বুনো শুয়োরের হামলায় কয়েক জনের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
|
|
লাটাগুড়ি প্রকৃতি পরিচিতিকেন্দ্রে কার্শিয়াংয়ের একটি
স্কুলের খুদেরা। শুক্রবার দীপঙ্কর ঘটকের তোলা ছবি। |
|
দুই দাঁতালের লড়াইয়ে জখম হল গড়বেতার হুমগড় রেঞ্জের সাতবিঁধার জঙ্গলের একটি রেসিডেন্ট হাতি। সারা শরীরে ক্ষত নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে দাঁতালটি। তার চিকিৎসার জন্য বন দফতরের রূপনারায়াণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহার নেতৃত্বে একটি দল জঙ্গলে গিয়েছে। ডিএফও জানান, “বৃহস্পতিবার রাতে দীর্ঘক্ষণ দু’টি দাঁতালের মধ্যে লড়াই হয়। অবশেষে দলমার দাঁতালের কাছে পরাজিত হয় রেসিডেন্ট দাঁতালটি। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, দলমার কোনও হস্তিনীকে নিয়েই এই বিবাদ। আহত দাঁতালের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” আহত দাঁতালটি দীর্ঘদিন ধরেই সাতবিঁধার জঙ্গলে রয়েছে। কয়েক দিন ধরে সাতবিঁধা ও কুড়চিবনির জঙ্গলে হাজির হয়েছে দলমার দলটিও। বন দফতরের অনুমান, স্থানীয় হাতিটি দলমার দলে থাকা হস্তিনীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার চেষ্টা করে। তাই নিয়েই ওই দলের দাঁতালের সঙ্গে রেসিডেন্টটির বিবাদ বাধে। রাতে দীর্ঘক্ষণ লড়াই চলে বলে স্থানীয় মানুষ জানিয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত দুই দাঁতালের গর্জন শুনেছেন গ্রামবাসী। পরে বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকেরা গিয়ে দেখেন, লড়াইয়ের দাপটে জঙ্গলের ভিতরের ছোটছোট গাছগুলি ভেঙে গিয়েছে। কয়েক জায়গায় রক্তের দাগ। আর স্থানীয় হাতিটির ডান পা, পেট, কানে আঘাতের চিহ্ন। ক্ষতবিক্ষত হাতিটি দীর্ঘক্ষণ জঙ্গলের মধ্যে এক জায়গায় দাঁড়িয়েছিল। হাতিটিকে অজ্ঞান করে তার চিকিৎসার পরিকল্পনা করে বন দফতর। কিন্তু স্থানীয় উৎসাহী মানুষজন ভিড় জমানোয় ও আহত হাতিটিকে ইট, পাথর ছুড়ে উত্ত্যক্ত করায় সমস্যা হয়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত পর্যন্ত হাতিটিকে অজ্ঞান করা যায়নি। অন্য দিকে দলমার দল টানা কয়েক দিন একই জায়গায় থাকায় এলাকায় শস্যহানিও হয়েছে প্রচুর। শস্যহানি রুখতে দলটিকে অন্যত্র খেদানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বন দফতর।
|
|
কালনার জগন্নাথতলায় মিলল পাঁচটি পেঁচার দেহ। শুক্রবার সকালে একটি মন্দিরের
কাছে মৃত পেঁচাগুলিকে দেখতে পান বাসিন্দারা। কালনা ১ ব্লক প্রাণিসম্পদ
দফতরের অনুমান, বিষাক্ত কিছু খেয়েই মৃত্যু হয় পেঁচাগুলির। |
|
বাইসনের হামলায় গুরুতর জখম হলেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের মালবাজার ব্লকের কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতে। গরুমারা জঙ্গল লাগোয়া নেওড়া নদীর পাড়ে গরু চরাতে গেলে শুকরা উড়িয়া নামে ওই ব্যক্তিকে আচমকা একটি বাইসন হামলা করে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম ওই ব্যক্তিকে প্রথমে মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। |