নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সিঙ্গুরের অধিগৃহীত জমিতে শিল্পস্থাপনের কোনও উদ্যোগ এখনও রাজ্য সরকারের তরফে শুরু হয়নি বলে শুক্রবার বিধানসভায় জানালেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানার জন্য বাম জমানায় অধিগৃহীত জমির মধ্যে ৪০০ একর ‘অনিচ্ছুক’ কৃষকদের ফিরিয়ে দিয়ে বাকি ৬০০ একরে শিল্প গড়ার কথা বার বার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন তৎকালীন বাম সরকারের কাছে এটাই ছিল মমতার মূল দাবি।
এ দিন বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে শান্তিপুরের কংগ্রেস বিধায়ক অজয় দে শিল্পমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, সিঙ্গুরে কোনও শিল্পের প্রস্তাব এসেছে কি না? জবাবে পার্থবাবু বলেন, “সিঙ্গুরের জমির বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই ওই ৬০০ একরে শিল্প স্থাপনের কাজ এখনও করা যাচ্ছে না।” পার্থবাবুর কাছে অজয়বাবুর আরও প্রশ্ন ছিল, নতুন সরকারের আমলে রাজ্যে নতুন শিল্প স্থাপনের প্রস্তাব এসেছে কি এবং এসে থাকলে তার সংখ্যা কত ও সেগুলি কী ধরনের? পার্থবাবু জানান, এখনও পর্যন্ত ৮৪টি শিল্পের প্রস্তাব পেয়েছে রাজ্য সরকার।
জঙ্গলমহলে শিল্প স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে কি না এবং ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কত জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তা প্রশ্নোত্তর পর্বে জানতে চান বাঁকুড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্র। পার্থবাবু জানান, শালবনিতে জিন্দলদের ইস্পাত কারখানার জন্য ১৮৯.৫২ একর জমি পূর্বতন সরকারের আমলে অধিগৃহীত হয়েছিল। ৪৩০০ একর খাস জমি জিন্দলদের ‘লিজ’ দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন ওই কারখানার কাজ শুরু হয়নি, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পার্থবাবুর অভিযোগ, “বিগত সরকারের আমলে ওই কারখানার কাজে জল, কয়লা, লৌহ আকরিক ব্যবহারের চুক্তি করা হয়নি। কারখানা সংক্রান্ত দলিল-দস্তাবেজও তৈরি নেই ঠিকমতো। এ জন্যই এত দিন কাজ এগোয়নি।”
সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমানের প্রশ্ন ছিল, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে শিল্পের অগ্রগতির ক্ষেত্রে দেরির কারণ কি মাওবাদী সমস্যাই? জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, “তখন আপনি মন্ত্রী ছিলেন। আপনিই ভাল বলতে পারবেন। কোনও কাজ যোগ্যতার সঙ্গে হয়নি। যে দস্তাবেজ সই করার কথা ছিল, তা আপনারা করেননি। দ্রুত কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টা করছি।” |