আমরি-কাণ্ডের পর এ বার বেশি মূল্যের বিমার ঝুঁকি নতুন করে খতিয়ে দেখতে তৎপর হচ্ছে ন্যাশনাল ইনসিওরেন্স কোম্পানি (এনআইসি)। তাদের কাছে ১০০ কোটি টাকার বেশি বিমা করা সব সম্পত্তির ঝুঁকি বিশদে পরখ করতে দ্রুত সমীক্ষা শুরু করছে তারা। পরবর্তী পর্যায়ে এর আওতায় আসবে ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকার বিমা করা সম্পত্তিও।
তবে এর ফলে আখেরে কতটা লাভ হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিমা সংস্থাগুলিরই। কারণ এই শিল্পের মতে, এখন কম দামে বা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে প্রকল্প বিক্রি করে বাজার ধরার তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে সংস্থাগুলির মধ্যে। যে কারণে প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে ব্যবসা চলে যাওয়া আটকাতে হয় তারা অনেক ঝুঁকি ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না, নয়তো বাধ্য হয় তার প্রিমিয়াম কম করে ধরতে। এর ফলে সার্বিক ভাবে বিমা শিল্পই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান জে হরিনারায়ণের দাবি। উল্লেখ্য, আগে বিমার প্রিমিয়াম নির্ধারণ করত ‘ট্যারিফ অ্যাডভাইজরি কমিটি’। কিন্তু এখন নিয়ন্ত্রণ উঠে যাওয়ার পরে বিমা সংস্থাগুলিই তা নির্ধারণ করে।
শুক্রবার ইনসিওরেন্স ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া-র সভায় সার্বিক ভাবে বিমা শিল্পের এই সমস্যার কথা বলছিলেন হরিনারায়ণ। ওই সভার পরই বেশি মূল্যের বিমা করা সব সম্পত্তির ঝুঁকি খতিয়ে দেখার কথা জানান এনআইসি-র চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন এস আর চন্দ্রপ্রসাদ। এনআইসি-র কাছেই হাসপাতালের বিমা করিয়েছিলেন আমরি কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার পরের দিনই অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তাঁরা। এনআইসি সূত্রের খবর, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আগে সব কিছু খতিয়ে দেখতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থাটি। আপাতত এ জন্য পুলিশের অনুমতির অপেক্ষার রয়েছে তারা। কিন্তু আগে কেন এই তৎপরতা দেখায়নি এনআইসি? এই অভিযোগ অস্বীকার করে সংস্থা কর্তৃপক্ষের দাবি, অগ্নিবিধি বা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পৃথক দফতর রয়েছে। বিমা করা, কিস্তির টাকা নেওয়া বা বিমা পুনর্নবীকরণের সময় সব কিছু খতিয়ে দেখে তারা। কিন্তু তার মাঝে কোনও গাফিলতি হলে তার দায় বর্তায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্তৃপক্ষ ও সরকারি দফতরের উপর। |