সংস্কার করা হবে বর্ধমান জেলায় ডিভিসি-র জলাধারের। এ কারণে সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের জল সম্পদ মন্ত্রকের অফিসারেরা এসে পরিদর্শন করে গিয়েছেন সেই জলাধার। সংস্কারের জন্য ঠিক কী কী করা প্রয়োজন, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট যে কোনও দিন এসে পৌঁছবে রাজ্য সরকারের কাছে। তার পরে কেন্দ্র সরকারকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হবে জলাধার মেরামতির কাজ। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন রাজ্যের সেচ ও জলপথ বিভাগের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মানসবাবু এ দিন বলেন, “১৯৫৫ সালে তৈরি এই জলাধার এখন বয়সের ভারে নুব্জ। পলি জমে জমে তার জল ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। তাই দুর্গাপুরের বাঁধ ও ডিভিসি-র এই জলাধারের আশু সংস্কারের প্রয়োজন। এ নিয়ে দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন।” কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্ট পাওয়ার পরে ম্যাসাঞ্জোর এবং কংসাবতী বাঁধের সংস্কারের জন্যও কেন্দ্রকে অনুরোধ করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। তিস্তা জল প্রকল্পের কাজ এত দিন ধরে কলকাতায় বসে হতো বলেও অভিযোগ করেন মানসবাবু। তাঁর কথায়, “প্রকল্প দেখভালের জন্য শিলিগুড়িতে ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠানো হয়েছে। তাতে লাভ হয়েছে প্রকল্পের।” রাজ্য সরকারের আর্থিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে গ্রামের ছোট নদী, জলাধারের সংস্কারের কাজে পঞ্চায়েত, স্থানীয় বিধায়ক ও সাংসদদেরও যুক্ত করা হচ্ছে বলে এ দিন মন্ত্রী জানিয়েছেন। গঙ্গা, ভাগীরথী, পদ্মা, ফুলহার, মহানন্দা-র ভাঙন রোধেও কেন্দ্রের সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলেও এ দিন মানসবাবু বিধানসভায় উল্লেখ করেন।
|
স্কুলে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের জন্য বাম আমলে নেওয়া লিখিত পরীক্ষার মূল্যায়নে প্রায় ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে ত্রুটি ছিল বলে অভিযোগ করলেন স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। ফের খাতা দেখানোর পরে বৃহস্পতিবার ওই পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। চিত্তবাবু এ দিন বলেন, “লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল গত জানুয়ারিতে। আমি জুনে কমিশনের দায়িত্ব নিই। তার পরে সুপ্রিম কোর্ট তথ্যের অধিকার আইনে খাতা দেখানোর রায় দিয়েছে। তাই খাতা দেখায় ত্রুটি থেকে গিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিই। বেশ কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি নজরে আসে। তাই ন’লক্ষেরও বেশি খাতার পুনর্মূল্যায়ন করানো হয়েছে।” নতুন পরীক্ষকদের দিয়ে খাতা দেখানো হয়। আর তাতেই ২০ শতাংশ খাতায় ত্রুটি ধরা পড়ে বলে অভিযোগ চিত্তরঞ্জনবাবুর। লিখিত পরীক্ষার সময় কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন রণজিৎ বসু। এ দিন তিনি বলেন, “পরীক্ষায় রচনাধর্মী প্রশ্নও থাকে। তাই এক জনের দেখা খাতা অন্য জন দেখলে নম্বরে হেরফের হতেই পারে। একে মূল্যায়নের ত্রুটি বলা যায় না।”
|
রাজ্যের আদিবাসী, খেতমজুর, বন্ধ কারখানা ও চা-বাগানের শ্রমিক,হকার, মৎস্যজীবী-সহ প্রান্তিক মানুষদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে ৪২টি সংগঠনের একটি যৌথ মঞ্চ বৃহস্পতিবার মেট্রো চ্যানেলে অবস্থান করে। অবস্থান চলবে কাল পর্যন্ত। যৌথ মঞ্চের পক্ষে নব দত্ত বলেন, “আইনে এই সব প্রান্তিক মানুষকে যে-সব অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেগুলি থেকে তাঁরা এখনও বঞ্চিত।” মেট্রো চ্যানেলে হাজির হন রাজ্যের নানা প্রান্তের অসংগঠিত ও বন্ধ কারখানার শ্রমিকও। |