কোতুলপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিকের বিরুদ্ধে বেনিয়ম করার অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলা পরিষদে সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ তোলেন জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সিপিএমের সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “নিয়ম ভেঙে ওই বিএমওএইচ এক খাতের টাকা অন্য খাতের কাজে খরচ করেছেন। কোতুলপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নবকুমার দিগার জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে লিখিতভাবে অক্টোবর মাসে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আমরা তদন্ত করে দেখেছি অভিযোগ সত্য। স্বাস্থ্য দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছি।”
কোতুলপুর পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের সভাপতির অভিযোগ, “আমাদের ব্লকে মোট ৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে গোপীনাথপুর ও মির্জাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও কর্মীদের আবাসন সংস্কারের জন্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এ ছাড়া ওই ৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সার্বিক সংস্কারের জন্য ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর কোতুলপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির বৈঠকে বিএমওএইচ জানান, বরাদ্দ করা টাকা প্রস্তাবিত প্রকল্পে খরচ না করে তিনি কোতুলপুর গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজে খরচ করেছেন। বিএমওএইচ নিজের ইচ্ছামতো দরপত্র ছাড়া টাকা খরচ করেছেন। টাকা তছরূপ করা হয়েছে।” অভিযুক্ত বিএমওএইচ রঞ্জিত বেসরার মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও এ দিন কথা বলা যায়নি। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ দিন্দা বলেন, “এক খাতের টাকা অন্য খাতে খরচ করে ওই বিএমওএইচ নিয়ম ভেঙেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।” বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে। তারাই দেখবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি পার্থপ্রতিম মজুমদার বলেন, “স্বাস্থ্য ভবন এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি। আমাদের দাবি দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” |