টুকরো খবর |
ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু ২ বাইক আরোহীর, জখম ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল মোটরবাইকের দুই আরোহীর। ওই বাইকেরই অন্য এক আরোহী গুরুতর জখম হয়েছেন। বুধবার বিকেলে জামবনি থানার দিঘলপাহাড়ি এলাকার শালতলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতেরা হলেন স্বপন মাহাতো (৩২) ও নিরঞ্জন মান্ডি (৪০)। স্বপনের বাড়ি বিনপুরের তুরা গ্রামে। বিনপুরেরই ধুয়াপাহাড়ি গ্রামে বাড়ি নিরঞ্জনের। জখম স্বদেশ লোহারের বাড়িও তুরায়। পুলিশ জানিয়েছে, একটি বেসরকারি আমানতকারী সংস্থার এজেন্ট স্বপন ও স্বদেশ বন্ধু নিরঞ্জনকে নিয়ে বুধবার ব্যক্তিগত কাজে ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়ায় গিয়েছিলেন। বিকেলে মোটরবাইকে ফিরছিলেন। বাইক চালাচ্ছিলেন স্বপন। জামবনির শালতলের কাছে উল্টোদিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইকটিকে ধাক্কা মারলে ছিটকে পড়েন তিন আরোহীই। দুর্ঘটনাস্থলেই নিরঞ্জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম স্বপন ও স্বদেশকে ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে হাসপাতালে স্বপনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে স্বদেশকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ডাম্পারটিকে আটক করেছে পুলিশ। চালক, খালাসি অবশ্য পলাতক।
|
ধান কাটা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই এগরায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
ধান কাটা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাগুলির লড়াইকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তেজনা ছড়াল এগরা ২ ব্লকের দেশবন্ধু পঞ্চায়েত এলাকার হুড়কুচিয়া গ্রামে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। হুড়কুচিয়া গ্রামের ওই ২১ একর ৪৬ ডেসিমেল জমি নিয়ে গণ্ডগোল চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। সিপিএম ওই জমি খাস ঘোষণা করে পাট্টা দিয়েছিল। ওই জমির মালিকেরা আদালতের দ্বারস্থ হয়। আদালত জমিমালিকদের পক্ষে রায় দিলেও সিপিএম গায়ের জোরে ওই জমি কয়েকজন পাট্টাচাষিকে দিয়ে চাষ করাত বলে অভিযোগ। রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পরে ওই পাট্টাচাষিরা তৃণমূলে যোগ দেন। এখন তাঁদের নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল কমিটির সভাপতি অলোক মহাপাত্র। অন্য দিকে, জমি মালিকদের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ধর্মদেব মাইতি। এ দিন সকালে উভয়পক্ষই লোকজন নিয়ে মাঠে ধান কাটতে যান। এরপরেই গণ্ডগোল বাধে। তৃণমূল নেতা তথা এগরা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা জটিল। আলোচনা করে উভয়পক্ষকেই ওই জমিতে সমানাধিকার দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও এমন ঘটনা ঘটছে। পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক।
|
বাবাকে কুপিয়ে মেরে ধৃত ছেলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
পারিবারিক বচসার জেরে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে খুন করার অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম থানার পুকুরিয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম দিলীপ মাহাতো (৪৭)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন দিলীপবাবু। মায়ের পক্ষ নিয়ে বাবার সঙ্গে বচসায় জড়ায় বছর বাইশের রাজু। রাগের মাথায় রাজু ছুরি দিয়ে দিলীপবাবুকে কোপায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই দিলীপবাবুর মৃত্যু হয়। এলাকাবাসীই রাজুকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। বুধবার রাতে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। রক্তমাখা ছুরিও বাজেয়াপ্ত করে। দিলীপবাবুর ভাই বিদ্যুৎ মাহাতোর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজুকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত ধৃতকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
|
সতীশ সামন্ত স্মরণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
|
বিপ্লবী সতীশ সামন্তের ১১২ তম জন্মদিবস পালন।—নিজস্ব চিত্র। |
বিপ্লবী সতীশ সামন্তের ১১২তম জন্ম-জয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হল হলদিয়া মহকুমার নানা জায়গায়। সকালে সতীশ সামন্তের জন্মভিটে মহিষাদলের গোপালপুরে সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সাংসদের উপস্থিতিতেই হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদেও (চেয়ারম্যান শুভেন্দুই) বিপ্লবীর জন্মদিন পালন করা হয়। হলদিয়া টাউনশিপের হাতিবেড়িয়ায় সতীশ সামন্ত উদ্যানেও দিনটি পালন করা হয়। বিপ্লবীর মূর্তিতে মাল্যদান করেন উপ-পুরপ্রধান নারায়ণচন্দ্র প্রামাণিক। মহিষাদলের সতীশ সামন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বিকেলের অনুষ্ঠানে ছিলেন পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার।
|
মহরম-সম্মান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মহরমের শ্রেষ্ঠ আখরাগুলিকে পুরস্কৃত করল মেদিনীপুরের এক কেবল সংস্থা। বুধবার রাতে এই উপলক্ষে শহরের কলেজ মাঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের জেলা-দায়রা বিচারক মির দারা শিকো, মহকুমাশাসক সুরজিৎ রায়-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সব মিলিয়ে ৪৩টি মহল্লার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এর আগে সাদা পায়রা ওড়ান উদ্যোক্তারা। উদ্যোগী সংস্থার কর্তা সুবীর সামন্ত বলেন, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির লক্ষ্যেই এই আয়োজন।” মেদিনীপুর টাউন মুসলিম কমিটি ও মহরম কমিটির সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান নাজিম আহমেদ। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে রাতে ছিল কাওয়ালির আসর।
|
সর্বশিক্ষার ভ্রমণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পে গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের কলকাতা ভ্রমণের ব্যবস্থা করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। তফসিলি ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার স্কুলের ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানা ও সায়েন্স সিটি দেখানো হচ্ছে। মোট ১৩টি স্কুলকে বেছে নিয়েছে সর্বশিক্ষা দফতর। প্রতিটি স্কুল থেকে ৪০ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১০টি স্কুলের ভ্রমণ শেষ। আজ, শুক্রবার বাকি তিনটি স্কুলের (দণ্ডীপুর এমএইচ বিদ্যামন্দির, নোহারি হাইস্কুল ও বড়াগেড়িয়া আরএএমএস স্কুল) ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হবে বলে সর্বশিক্ষার প্রকল্প আধিকারিক শাশ্বতী দাস জানিয়েছেন। বেজায় খুশি ছাত্রছাত্রীরা।
|
ক্ষুদিরাম মেলা শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
দশম ক্ষুদিরাম মেলার উদ্বোধন হল বৃহস্পতিবার। পটাশপুর থানার খাড় এলাকায় এগরা মহকুমা স্টেডিয়ামে এই মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। মেলা চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর। সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সচেতনতা শিবির, স্বাস্থ্য শিবির, আলোচনাসভা, শীতবস্ত্র বিলির আয়োজন ছিল।
|
‘বিবেকানন্দ সম্মেলন ও জাতীয় যুব-দিবস ২০১১-১২’ অনুষ্ঠিত |
|
ছবি তুলেছেন দেবরাজ ঘোষ। |
বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির এবং সেখানকার প্রাক্তনী সংসদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে ঝাড়গ্রাম আঞ্চলিক শাখার ‘বিবেকানন্দ সম্মেলন ও জাতীয় যুব-দিবস ২০১১-১২’ অনুষ্ঠিত হল। সহযোগিতায় ছিলেন মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। উপস্থিত ছিলেন বেলুড় বিদ্যামন্দিরের অধীক্ষক স্বামী অভীষ্টানন্দ, মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের প্রধান শিক্ষক স্বামী সুনিষ্ঠানন্দ, বিশিষ্ট চিকিৎসক দীপেন্দু সর্বাধিকারী। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক দীপংকর পাল জানান, এ দিন ঝাড়গ্রাম মহকুমার বিভিন্ন স্কুলের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির চারশো ছাত্রছাত্রী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
|
মোমবাতি মিছিল |
আমরি-র অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের উদ্যোগে মোমবাতি মিছিল হল হলদিয়া টাউশিপে। সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে মাখনবাবুর বাজার পর্যন্ত যায় এই মিছিল। |
|