|
|
|
|
৮ মৃত্যুর বছর পার, ‘চোলাই’ চলছেই দাসপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
গত বছর ডিসেম্বরে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে বিষ-মদে মৃত্যু হয়েছিল ৮ জনের। তার পরেই জেলা আবগারি দফতর ঘোষণা করেছিলজেলা জুড়ে জোরদার অভিযান হবে চোলাই-ঠেকের বিরুদ্ধে। তল্লাশি-অভিযান হয়েও ছিল কয়েক দিন। কিন্তু ওই কয়েক দিনই। বছর ঘুরতে ছবিটা ফের আগের মতোই। অলি-গলি, স্কুল-কলেজের পাশে, জুতো-চায়ের দোকান, এমনকী হাসপাতালের পাশেও দিব্যি চলছে চোলাইয়ের কারবার। মগরাহাট-কাণ্ডের পরে বৃহস্পতিবার থেকে অবশ্য আবার শুরু হয়েছে পুলিশ-আবগারি তৎপরতা।
এ দিন সকাল থেকেই ঘাটালের একাধিক জায়গায় অভিযান চলে। কয়েক জায়গায় মদের ভাটি ভেঙে দেওয়া হয়। বেশ কয়েক হাজার লিটার মদ এবং মদ তৈরির সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছেএ বার এই অভিযানের মেয়াদ কত দিনের! গত বছর দাসপুরের ভুতা, সেকেন্দ্রারি গ্রামের ৮ জনের মৃত্যুর পরেও কী ভাবে এত দিন দিব্যি চলতে পারল চোলাই ভাটি, মদের ঠেকগুলি? আবগারি দফতরের ওসি সুধাকর দোলইয়ের অবশ্য দাবি, “মাঝে-মধ্যেই অভিযান চলে। কিন্তু কর্মী-পরিকাঠামোর অভাবে নিয়মিত তল্লাশি চালানো সম্ভব হয় না।” স্থানীয় মানুষ অবশ্য এর পিছনে এক শ্রেণির আবগারি-কর্মী, পুলিশের যোগসাজশের দিকেই ইঙ্গিত করছেন। সে কারণেই দাসপুর, ঘাটাল ও চন্দ্রকোনায় প্রকাশ্যেই চলতে পারছে চোলাইয়ের কারবার। ঘাটাল মহকুমা জুড়ে পলিপ্যাকে চোলাই বিক্রিও লক্ষণীয় ভাবে বেড়েছে। প্রশাসন সেই নীরব দর্শক হয়েই রয়েছে। ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী অবশ্য জানিয়েছেন, অবৈধ মদের সমস্ত ঠেক বন্ধ করার জন্য আবগারি দফতর এবং পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চোলাইয়ের
বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে মহকুমা জুড়ে শিবির করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। |
|
|
|
|
|