টুকরো খবর
ফল ঘোষণার আগে বিজয় মিছল, বিতর্ক
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিল ছিল শুক্রবার। অথচ তার আগের দিন বৃহস্পতিবার কলেজে বিজয় মিছিল করল ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এমনই দৃশ্য দেখা গেল দুবরাজপুরের হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজে। জোটের দাবি, এসএফআইয়ের তরফে কেউ মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ায় ওই কলেজের মোট ২৩টি আসনে জোটের প্রার্থীরাই জয়ী বলে ধরে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিজয় মিছিল করেন জোট সমর্থকেরা। এই মিছিল কতটা যুক্তি সঙ্গত সেই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ছাত্র পরিষদের তরফে সপ্তর্ষী মাহাতার দাবি, “ওই কলেজে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে শুধুমাত্র সিপি, টিএমসিপি জোটের ২৩ জন প্রতিনিধি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে জয় নিশ্চিত জেনেই ছাত্ররা বিজয় মিছিল করেছেন।” যদিও ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন জেলা সভাপতি পদ্মনীল মণ্ডল বলেন, “বিজয় মিছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পার হলেই করা বাঞ্চনীয় ছিল।” হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ সমীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “২৩টি আসনে ২৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। তারা কোন দলের সেটা যেমন সরকারি ভাবে বলা সম্ভব নয়, তেমনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন না পেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তাদেরকেও জয়ী বলে ঘোষণা করাও আমার পক্ষে সম্ভব নয়।” তবে বিজয় মিছিল নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

জনপ্রতিনিধিদের সই করা ফাঁকা শংসাপত্র উদ্ধার
পরিষেবার ক্ষেত্রে আর্থিক দিক থেকে ছাড় পাওয়ার জন্য দুঃস্থ, বিপিএল বা নিম্ন আয়ের রোগীরা বিধায়ক বা প্রধানদের সই করা সার্টিফিকেট জমা দেন। কিন্তু বিধায়ক ও প্রধানের সই করা ফাঁকা কাগজ জমা পড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। বৃহস্পতিবার ওই রকম ফাঁকা কাগজ রামপুরহাট মহকুমাশাসককে দেখালেন রামপুরহাট হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার। মহকুমাশাসক বলেন, “প্রধান বা বিধায়ক যেই হোক না কেন রোগীকে চিহ্নিত করার জন্য প্রধান বা বিধায়কের সই করা কাগজে রোগীর বাড়ির নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। এবং রোগীর ছবিতে প্রধান বা বিধায়কের সই-সহ স্ট্যাম্প থাকতে হবে। তবে সেটা কার্যকর করা হবে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার নম্বরও উল্লেখ থাকতে হবে।” তিনি জানান, প্রধান বা বিধায়কের সই করা ফাঁকা কাগজ দালালদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে কেন সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রধানদেরও সতর্ক করা হবে।” হাসপাতাল সুপার বলেন, “চাপে পড়ে বিধায়য়ক ও প্রধানদের সই করা কাগজে অনুমতি দিতে হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরে এ ধরনের কাগজ অনেকের কাছে পাওয়া যায়। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহকুমাশাসককে বলা হয়েছে।”

মারামারি, সাসপেন্ড বিশ্বভারতীর দুই ছাত্র
মদ্যপ অবস্থায় বিশ্ববারতীর ছাত্রাবাসে মারামারি করা, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করার অভিযোগে দুই আবাসিক ছাত্রকে সাসপেন্ড করল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন বিশ্বভারতীর কর্মসচিব মনিমুকুট মিত্র। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার রাতে পূর্বপল্লি ছাত্রাবাসে মদ্যপ অবস্থায় বিদ্যাভবনের দুই ছাত্র অভিনন্দন সুব্বা ও কেশব প্রধান কিছু আবাসিক ছাত্রদের মারধর করার অভিযোগ যায় নিরাপত্তা বিভাগে। কর্মসচিব মনিমুকুট মিত্র বলেন, “অভিযুক্ত দুই ছাত্রের ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। তারা নেশা করেছিল বলে রিপোর্টে এসেছে। বৃহস্পতিবার ওই দুই ছাত্রকে সাসপেন্ড করার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি।” অভিযুক্তদের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। বিশ্বভারতীর সহউপাচার্য উদয়নারাণ সিংহ বলেন, “অভিযুক্ত দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত দুই ছাত্র সাসপেন্ড থাকবে।”

পোস্টার উদ্ধার
কিষেনজিকে ‘খুন’ করার প্রতিবাদে এবং সেই আন্দোলনকে একই ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় দাবি জানিয়ে একাধিক পোস্টার ও লিফলেট পড়ল খয়রাশোল, রাজনগরে। সিপিআই (এমএল) নকশালবাড়ি সংগঠনের দেওয়া এই পোস্টার, লিফলেট বৃহস্পতিবার সকালে পড়ে থাকতে দেখেন রাজনগর ও খয়রাশোলের মানুষ। পরে পুলিশ গিয়ে সেই লিফলেট ও পোস্টারগুলি উদ্ধার করে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “যে সংগঠনটি পোস্টার ও লিফলেট দিয়েছে সেটি নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকায় পড়ে না। তবে এলাকায় বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্যই পুলিশ সেগুলিকে তুলে এনেছে।” জেলা পুলিশ সুপার নিশাত পারভেজ বলেন, “ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

গাড়ি আটক
শহরে ‘নো-এন্ট্রি’ চালু থাকাকালীন ভাঁড়শালা মোড় থেকে কামারপট্টি যাওয়ার দিকে তিনটি ট্রাক ঢুকে যাওয়ায় আটক করলেন খোদ মহকুমাশাসক। রামপুরহাট মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব বৃহস্পতিবার দুপুরে গাড়িগুলি আটক করে পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মহকুমাশাসক বলেন, “গাড়িগুলির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল না। ‘নো-এন্ট্রি’ চালু থাকাকালীন গাড়িগুলি শহরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এর জন্য আটক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলেছি।”

দুর্ঘটনায় জখম
দু’টি দুর্ঘটনায় চালক-সহ তিন জন জখম হন। বুধবার রাতে পানাগড়-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়কে, রামপুরহাটের জয়রামপুর সেতুর কাছে একটি সিমেন্ট ভর্তি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গর্তে পড়ে যায়। জখম হন ট্রাক চালক ও খালাসি। তাঁদেরকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অন্য দিকে, নলহাটির তেজহাটি মোড়ের কাছে রামপুরহাটমুখী সরকারি বাসের ধাক্কায় জখম হন এক ট্রাক খালাসি। তাঁদের রামপুরহাট থেকে বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.