একাধিক দাবিতে কোচবিহারে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার, অডিটর-সহ চার আধিকারিককে টানা দেড় দিন ধরে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) সমর্থকেরা। সোমবার বিকেল থেকে ওই বিক্ষোভ শুরু হয়। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত তা জারি রয়েছে। গোটা ঘটনা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আচার্য তথা রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভরত সাহা বলেন, “সব কিছু রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ করা হবে।’’ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর না দেওয়ায় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢোকেনি। তবে পুলিশ বিষয়টির উপরে নজর রাখছে।
দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসার জন্য প্রয়োজনীয় উপস্থিতি না থাকায় শতাধিক পড়ুয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সিদ্ধান্তে বহু ছাত্রছাত্রী আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন বলে দাবি টিএমসিপি-র স্থানীয় নেতৃত্বের। আন্দোলনকারীদের
দাবি, ওই জরিমানা প্রত্যাহার করতে হবে। তাঁদের অভিযোগ, ছাত্র সংসদের ভোটের দিন ঘোষণা-সহ অন্য কিছু দাবি পূরণের ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও কাজ হয়নি। ‘বাধ্য হয়েই’ উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে রেজিস্ট্রার-সহ ৪ জনকে ঘেরাও করে রাখা হয়। টিএমসিপি-র উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান বরুণ দত্তের বক্তব্য, “জরিমানা না করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের সতর্ক করতে পারতেন। তা ছাড়া, ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও ওঁরা গড়িমসি করছেন। এই পরিস্থিতির প্রতিবাদেই আমরা ঘেরাও করেছি। দাবি পূরণ না হলে আমরা ঘেরাও তুলব না।’’ |