|
|
|
|
প্রসূতির কাছে টাকা চাওয়ার অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে এক প্রসূতির কাছ থেকে ‘জোর করে’ টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই মর্মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই প্রসূতি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপার সুভাষ চন্দ্র।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, এ দিন সকালে ওই হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন রঘুনাথপুর এলাকারই বাসিন্দা মৌসুমী বাউরি। তাঁর দাবি, এর পরেই কিছু চতুর্থ শ্রেণির কর্মী তাঁর কাছে ৫০০ টাকা দাবি করেন। মৌসুমীদেবীর অভিযোগ, “ওই কর্মীদের বলি, আমার কাছে টাকা নেই। স্বামী আসার পরে দিতে পারব। কিন্তু ওই কর্মীরা জানিয়ে দেন, দাবিমতো টাকা না দিলে সদ্যোজাতের পরিচর্যা করা হবে না।” মৌসুমীদেবীর স্বামী সমীর বাউরির দাবি, “ওঁদের বলি, আমি দিনমজুরি করি। টাকা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু ওঁরা টাকার দাবিতে অনড় থাকেন।”
হাসপাতাল সূত্রের খবর, এই নিয়ে সমীরবাবুর সঙ্গে ওই কর্মীদের বচসাও বাধে। সমীরবাবুর অভিযোগ, “সরকারি কর্মী হয়েও কেন জোর জবরদস্তি টাকা চাইছেন, এই প্রশ্ন করতেই ওই কর্মীরা মারমুখী হয়ে ওঠেন।” প্রসূতি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার সঞ্জীব গোস্বামীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু ঘটনা হল, ওসার্ড মাস্টারকে সামনে পেয়ে ভবানী মণ্ডল নামে আর এক প্রসূতি অভিযোগ করেন, সোমবার সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে ওই কর্মীরাই তাঁর কাছেও ৩০০ টাকা জোর করে আদায় করেছিলেন। সেই সময়েই ভবানীদেবীকে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ ওয়ার্ড মাস্টার। অভিযুক্ত কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরতও দেন। ওয়ার্ড মাস্টার বলেন, “চতুর্থ শ্রেণির কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিষয়টি সুপারকে জানিয়েছি।”
সুপারের বক্তব্য, “এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে তদন্তকারী দল গড়ে বিশদে তদন্ত হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষী কর্মীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সংগঠনের সহকারী সম্পাদক জয়দেব মাজির মন্তব্য, “এই ধরনের অভিযোগ ওঠা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা কখনওই এই কাজকে সমর্থন করি না। অভিযোগ নিয়ে আমরাও সংগঠনগত ভাবে খোঁজ নেব।” |
|
|
|
|
|