নিজস্ব সংবাদদাতা • ফাঁসিদেওয়া |
উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করানোর দাবিতে স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে নেমেছে একদল ছাত্রী। মঙ্গলবার ফাঁসিদেওয়ার আবাসিক বালিকা বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। এ বার ওই স্কুলের ২০ জন ছাত্রী টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। কর্তৃপক্ষ তাঁদের টেস্টে পাশ করাতে রাজি না-হওয়ায় প্রথমে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে দুপুর ১২ টা থেকে তারা অনশনে বসেন। খবর পেয়ে স্কুলে যান ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রণবেশ মণ্ডল। তিনি অনশনরত ছাত্রীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ আন্দোলন প্রত্যাহার হয়। আগামী বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীদের অভিভাবক ও শিক্ষিকাদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তিনি বলেন, “পাশ ফেলের বিষয়টি স্কুলের আভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। বৃহস্পতিবার স্কুলের সমস্ত শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনা হবে। শিক্ষিকাদের সঙ্গে ছাত্রীদের সম্পর্ক যাতে খারাপ না হয়, সেজন্য স্কুলে গিয়ে সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।” এ বার মোট ৮৬ জন টেস্ট দিয়েছে। পাশ করেছে ৫৩ জন। তৃণমূল নেতা তথা ফাঁসিদেওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শিক্ষা সঞ্চালক কর্ণধর বাইন অভিযোগ করেন, “ওই স্কুলে পড়াশোনাই হয় না। শিক্ষিকারা ঠিকমতো ক্লাস নেন না। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে এমন চলছে। যাঁরা পরিচালন কমিটিতে রয়েছেন, তাঁদের এই ব্যাপারে মাথাব্যথা নেই। ছাত্রীরা টেস্টে খারাপ নম্বর পেলে শিক্ষিকারা দায় এড়াতে পারেন না।” পরিচালন সমিতির সম্পাদক সিপিএম নেতা স্বদেশ দেবনাথ দাবি করেছেন “ফাঁসিদেওয়ার অন্য স্কুলগুলোতে যেমন, এখানেও তেমন পড়াশোনা হয়। ওই ছাত্রীদের টেস্ট পরীক্ষার ফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। টেস্টে যদি পাশ করানোও হয়, ফাইনালে পাশ করবে কি না তার নিশ্চয়তা নেই। বরং একই ক্লাসে আরও এক বছর পড়াশোনা করলে ওই ছাত্রীদেরই মঙ্গল হবে ভেবে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।” একই দাবি করেন স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা মমতা চক্রবতী। তিনি বলেন, “আমরা ওই ছাত্রীদের ভাল চাই বলেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু অভিভাবক বিষয়টি বোঝার চেষ্টা না-করে অহেতুক আমাদের উপরে করছেন। এ দিন ওই ছাত্রীরা স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে অনশনে বসেন। শিক্ষিকারা দীর্ঘ সময় ভিতরে আটকে পড়েন।” |