শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠা - ১৮৫৪।
ছাত্রসংখ্যা ১৮০০।
শিক্ষক-শিক্ষিকা- ৩৭ জন।
পার্শ্বশিক্ষিক-২ জন।
শিক্ষাকর্মী-৫ জন।
২০১১ সালে মাধ্যমিকে ১৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৮৩ জন
উত্তীর্ণ হন। উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী ছিলেন ২১২। উত্তীর্ণ-১৭০। |
|
প্রথাগত শিক্ষাই একমাত্র উদ্দেশ্য নয় |
|
কিংশুক চক্রবর্তী
প্রধান শিক্ষিক |
|
১৮৫৪ সালে ত্রৈলোক্যনাথ লাহিড়ি-সহ কতিপয় শিক্ষানুরাগীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এই বিদ্যালয়ের। বর্তমানে নদিয়া জেলার ভাল স্কুলগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। ছাত্রদের প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার পাশাপাশি তাদের আধুনিক জগতের সঙ্গে তাল মেলাতে স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি থেক নবম শ্রেণি পর্যন্ত কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। |
এ ছাড়া ছাত্রদের খেলাধূলায় উৎসাহ দিতে স্কুলে ক্রিকেট ম্যাচ, ভলিবল, যোগাসন প্রভৃতির আয়োজন করা হয়। রয়েছে এনসিসি। পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রদের সংস্কৃতি মনস্ক করে তুলতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয় নিয়মিত। কবি করণানিধি বন্দ্যোপাধ্যায়, স্যার অতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কবি মোজামেমল হক-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। দেড়শো বছর পার হওয়া এই স্কুলকে হেরিটেজ হিসাবে গণ্য করার জন্য ইতিমধ্যেই স্কুলের তরফে হেরিটেজ কমিশনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
|
আমার চোখে |
অয়ন দত্ত
ক্লাস টেনের ফার্স্ট বয় |
|
পঞ্চম শ্রেণি থেকে আমি এই স্কুলের ছাত্র। প্রথম প্রথম স্কুলে এসে খুব ভয় করত। পরে ধীরে ধীরে শিক্ষকদের আন্তরিকতায় এবং সহপাঠীদের সাহচর্যে সেই ভয় কেটে যায়। যখন জানতে পারি আমাদের এই স্কুল থেকে বহু কৃতী ছাত্র বেরিয়েছেন, তখন স্কুলের একজন চাত্র হিসাবে গর্ব অনুভব করি। সেইসঙ্গে তাঁদের মতো হওয়ার প্রেরণাও পাই। শিক্ষকেরাও সব সময় ভাল ফল করার জন্য ছাত্রদের উৎসাহিত করেন। |