আমাদের স্কুল
ঘুটিয়াবাজার মল্লিকবাটী পাঠশালা
প্রতিষ্ঠা: ১৮৩০।
ছাত্র সংখ্যা- ৬০০ জন।
শিক্ষক- ২৫ জন
পার্শ্বশিক্ষক- ২ জন।
অশিক্ষক কর্মী- ৪ জন।
২০১১ সালে মাধ্যমিকে পরীক্ষায় পাসের হার একশো শতাংশ।
গবেষণাধর্মী পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে বিদ্যালয়েই

সুখেন্দু পান
আমাদের প্রিয় বিদ্যালয় পাঠশালার পরিচয়ে ঘুটিয়াবাজার মল্লিক ঠাকুরবাড়ির বেদীতলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৩০ সালে। একশো আশি বছরের অতিক্রমণে নানা স্তরের পারম্পর্য ও স্থান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ছোট্ট পাঠশালাটি উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত।
আজ বিদ্যালয়ে আধুনিক শিক্ষার সব রকম ব্যবস্থা বিদ্যমান। ২০০৩ সাল হতে বিদ্যালয়ে চালু হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে (এখন পঞ্চম শ্রেণি) দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কম্পিউটার শিক্ষা। ২০০৪ শিক্ষাবর্ষ হতে কম্পিউটার বিষয়টি নবম ও দশম শ্রেণি এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমের মধ্যে চালু করা হয়েছে।
বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য অতি উন্নতমানের তিনটি বীক্ষণাগার রয়েছে। প্রতিটি বিষয়ে শিক্ষকেরা অতি যত্ন সহকারে পাঠদান করে থাকেন, যাতে বিদ্যালয় জীবনেই ছাত্রদের বিশেষ বিজ্ঞান চেতনার উন্মেষ ঘটে।
ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।
এলাকার বিভিন্ন বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে ছাত্ররা যোগদান করে। শিক্ষকদের সুচারু চালনায় উৎকর্ষে সমৃদ্ধ বিদ্যালয়ের ভূগোল বীক্ষণাগার। ছাত্ররা গবেষণাধর্মী পড়াশোনার সুযোগ বিদ্যালয় জীবনেই পেতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলিও শিক্ষকগণ ছাত্রদের অতি যত্ন সহকারে পাঠদান করে থাকেন।
শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন চলে থাকে। ছাত্র ও শিক্ষক প্রতিনিধিত্বে একটি মনিটর্স কাউন্সিল আছে যা বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক বিষয় সম্পর্কে বিশেষ ভাবে সচেতন। বিদ্যালয়ে ত্রিশ জনের একটি সুদক্ষ স্কাউট ‘টিম’ আছে যা জেলায় বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করে থাকে। আশা রাখি, সকলের আন্তরিক সহযোগিতা হতে বঞ্চিত হবে না আমাদের প্রিয় বিদ্যালয়। দৃষ্টি প্রসারিত থাকল ভবিষ্যতের প্রান্তে।

আমার চোখে

শুভজিৎ ঘোষ
আমি আমার এই বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। স্কুলের শিক্ষকেরা পড়াশোনায় খুবই সাহায্য করেন। যে কোনও বিষয় খুব সুন্দর বোঝান। আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মূল্যবান পরামর্শ আমাকে পড়াশোনার মতো জীবনে চলার পথেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার থেকে আমরা যে কোনও বিষয়ের বই প্রয়োজন মতো পেয়েছি। স্থানীয় বিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে আমরা যোগ দিই। প্রতি বছর সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বিজ্ঞান ও অঙ্কন প্রদর্শনী হয়, যা আমার বিশেষ প্রিয়। এ ছাড়া, বিদ্যালয়ের দুঃস্থ ছাত্রেরা ‘বিদ্যাসাগর ছাত্র ভাণ্ডার’ থেকে বহু ভাবে উপকৃত হয়। এই উদ্যোগ আমাকে উৎসাহিত করে। বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও ফুটবল প্রতিযোগিতা আমাদের শরীর ও মনের সুন্দর গঠনে সাহায্য করে। আমাদের ছাত্রদের থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া মনিটর্স কাউন্সিলের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও নিয়মানুবর্তী হওয়ার শিক্ষা পাই। বিদ্যালয়ের পত্রিকা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমাদের চেতনার সমৃদ্ধি ঘটায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.