টুকরো খবর
কেশিয়াড়ির বাড়িতে ডাকাতি
ডাকাতির ঘটনা ঘটল কেশিয়াড়ি থানার কুকাই বাজারের একটি বাড়িতে। সব মিলিয়ে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও প্রায় ১০ ভরি সোনা ও রূপার গয়না ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুষ্কৃৃতীরা ৫ জন ছিল। ২টি মোটর সাইকেলে চেপে তারা ঘটনাস্থলে এসেছিল। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীরেজ খালেদ বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অবশ্য এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, কুকাই বাজার এলাকায় বাড়ি রয়েছে মানস মহাপাত্রের। মানসবাবু পোস্টমাস্টার। ওই বাড়িতেই পোস্ট অফিস। সোমবার রাত আটটা নাগাদ ৫ দুষ্কৃতী মানসবাবুর বাড়িতে চড়াও হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করলেই মারধর শুরু হয়। প্রহৃত হন মানসবাবুর স্ত্রী বকুলদেবীও। পরে বাড়ি ও পোস্ট অফিস থেকে নগদ প্রায় ৬০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি গহনা নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা সকলেই সশস্ত্র ছিল। অভিযোগ, তারা নিজেদের মাওবাদী পরিচয় দিয়ে বলে, “আমরা মাওবাদী। ঝাড়গ্রাম থেকে এসেছি। এ বার থেকে প্রতি মাসে তোলা দিতে হবে।’’ পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, ঘটনার সঙ্গে মাওবাদীদের যোগাযোগ নেই। বিভ্রান্ত করতেই মিথ্যা কথা বলেছে দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

সিপিএম নেতাকে অপহরণের নালিশ
সিপিএমের এক লোকাল কমিটির সদস্যকে মারধর করে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক বলেন, “এমন একটি খবর আমাদের কাছে এসেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কেউ এখনও অভিযোগ দায়ের করেনি।” ‘অপহৃত’ মণিশঙ্কর জানা কাঁথি থানা এলাকার নামালডিহা লোকাল কমিটির সদস্য। তাঁর বাড়ি উমাপতিবাড় গ্রামের। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রামের মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে এক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রশান্ত পাত্রের অভিযোগ, “মঙ্গলবার বিকেলে বৈঠকে চড়াও হয় তৃণমূলের লোক। মারধর করে বৈঠকে উপস্থিত সিপিএমের সমর্থকদের।” বেশ কিছুক্ষণ অজ্ঞান হয়ে সেখানেই পড়েছিলেন মণিশঙ্করবাবু। খবর পেয়ে বাড়ির লোক গিয়ে তাঁকে নিয়ে আসেন। প্রশান্তবাবু বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই ওই লোকাল কমিটির সদস্যকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তৃণমূলের লোকজন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।” তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনের কথায়, “এলাকায় সিপিএমের অস্তিত্বই নেই। মিথ্যা অভিযোগ করে নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করার অপচেষ্টা করছে সিপিএম।”

কারখানায় বিক্ষোভ
কাজের দাবিতে মঙ্গলবার হলদিয়ার জয়নগরে সিইএসসি-র হলদিয়া এনার্জি লিমিটেডের গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, “উদ্বাস্তু ও স্থানীয় বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে না।” কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকা এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা মুজাম্মেল মল্লিক বলেন, “আমরা চাই শিল্প হোক। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মী থেকে সাধারণ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের সুযোগ দিচ্ছেন না কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাই এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। দাবি না মানা হলে আমরা লাগাতার আন্দোলন যাব।” প্রকল্পের জনসম্পদ ও প্রশাসনিক আধিকারিক বাহাদুর বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্য দিকে রেনুকা সুগার মিলে অচলাবস্থা চলছেই। কর্তৃপক্ষের কাজের দিন ও মজুরি কমানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ দিনও বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী শ্রমিকেরা। আজ, বুধবার সব পক্ষ মিলে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসবে।

টাকা আত্মসাৎ, এজেন্ট গ্রেফতার
ডাকঘরে গচ্ছিত গ্রাহকদের লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের এক মহিলা এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম বাণী রাউত। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়াধরায়। পুলিশ সূত্রের খবর, বাণীদেবীর মাধ্যমে ঝাড়গ্রাম মুখ্য-ডাকঘরে টাকা গচ্ছিত রাখতে দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন বলে একাধিক গ্রাহক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। গত বছর অগস্টে এক গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বাণীদেবীকে গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। জামিনের আবেদন খারিজ করে বাণীদেবীকে চোদ্দো দিনের জন্য জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সোমবার অর্থ-আত্মসাতের অন্য একটি মামলায় ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছিলেন বাণীদেবী। বাণীদেবীর স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের এজেন্সি-লাইসেন্স বাতিল করেছে স্বল্প সঞ্চয় দফতর।

জিতল তৃণমূল
চুবকার বল্লা বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের পরিচালন কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৬ টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ঝাড়গ্রাম ব্লকের ওই স্কুলে রবিবার নির্বাচন হয়। আগে ওই পরিচালন কমিটি বামপন্থীদের দখলে ছিল। তৃণমূলের সঙ্গে আসন-সমঝোতা না হওয়ায় এ বার নির্বাচনে কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরাও মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। বামপন্থীরা প্রার্থী দেননি। যদিও তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ ব্লক-সভাপতি অনিল মণ্ডলের দাবি, “এ বার কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের বোঝাপড়া হয়েছিল। সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ করে আমাদের প্রার্থীরা ৬টি আসনেই জয়ী হয়েছেন।” অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস ও সিপিএম।

বেতনের দাবি, বিক্ষোভ
নির্ধারিত সময়ে বেতন না মেলায় মঙ্গলবার বিকেলে হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। কলেজের ডিরেক্টর এ কে মুখোপাধ্যায় বলেন, “ব্যাঙ্কে সমস্যার কারণে বেতন দেওয়া যায়নি। বুধবারই সকলে বেতন পেয়ে যাবেন।” কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ উঠে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক কর্মী বলেন, “কোনও মাসেই নির্ধারিত সময়ে বেতন পাই না। সোমবারও কলেজে এই নিয়ে গণ্ডগোল হয়। তখন মঙ্গলবারই বেতন পেয়ে যাব বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা না হওয়ায় এ দিন ফের বিক্ষোভ দেখানো হয়।”

রবিবার থেকে সাইকেল বিলি
রবিবার থেকে সাইকেল বিলি শুরু হবে পশ্চিম মেদিনীপুরে। তফসিলি সম্প্রদায়ের অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের আগেও সাইকেল দেওয়া হয়েছিল। তখন অবশ্য রাজ্যে ছিল বামফ্রন্ট সরকার। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সাইকেল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। রবিবার লালগড় থেকে সাইকেল দেওয়া শুরু হবে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা ছাত্রীদের হাতে সাইকেল তুলে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তারপর ধীরে ধীরে মাওবাদী প্রভাবিত বাকি ব্লকগুলিতেও ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হবে। মোট ১৮ হাজার সাইকেল বিলি হবে।

বি আর অম্বেডকর পুরস্কার
এ বার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১১০ জন ছাত্রছাত্রীকে বি আর অম্বেডকর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতীদেরই এই পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন স্কুলের মোট ১১০ জনকে এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার কৃতীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রতি ছাত্র-ছাত্রীকে ৫ হাজার টাকাও দেওয়া হবে। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের পাশাপাশি বিধায়কদেরও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সরঞ্জাম চুরি
ওএনজিসি-র পড়ে থাকা যন্ত্রাংশ ও অব্যবহৃত সরঞ্জাম চুরির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ভূপতিনগর থানা এলাকার হরিপুরের। এখানে বছর আটেক ধরে রয়েছে ওএনজিসি-র পরীক্ষাকেন্দ্র। ওএনজিসির তরফে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, দরপত্র দিয়ে বিক্রির কোনও নির্দেশ নেই বলে ওএনজিসি চত্বরে পড়ে রয়েছে সরঞ্জামগুলি। সেই সুযোগে গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় লোক দিনে-রাতে লক্ষ লক্ষ টাকার লোহার সরঞ্জাম চুরি করছে বলে অভিযোগ।

রূপনারায়ণে মৃত্যু
রূপনারায়ণে জেগে ওঠা নতুন চরে গিয়েছিলেন একই পরিবারের তিন জন। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ আসা জোয়ারের জলে ভেসে যান এক শিশু-সহ ওই দুই মহিলা। তাঁরা নিজেরাই সাঁতরে আসার চেষ্টা করছিলেন। তা দেখতে পেয়ে তমলুক থানার সাইরা গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করতে যান। তিন জনকে উদ্ধার করা গেলেও কিছুক্ষণ পরে মারা যান বুলু রানি (৪০)। অন্য এক মহিলাকে অসুস্থ অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।

জয়ী শালবনির ক্লাব
বরদা বিশালাক্ষী স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে গত ৬ নভেম্বর ৮ দলীয় নক-আউট ফুটবলের আয়োজন করা হয়। হলবরদা বানীপীঠ হাইস্কুল মাঠে ফাইনালে জয়ী হয় শালবনী মার্শাল গাঁওঘাটাল। শহরের ওয়ান স্টার ক্লাবকে ৪-১ গোলে হারায় তারা। সংগঠকদের পক্ষে নিমাই বাগ জানান, ১৪ বছর ধরে ক্লাবের উদ্যোগে প্রতিযোগিতাটি হচ্ছে।

গোষ্ঠী সংঘর্ষ
আবার কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। সোমবার রাতে আনন্দপুর থানা এলাকার রণপাড়াতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দু’জন জখম হয়েছেন। আহত মুজিবর রহমান ও আব্দুল সাত্তারকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আহত দু’জন দুই গোষ্ঠীর সমর্থক। পুলিশি টহল রয়েছে।

বার্ষিক ক্রীড়া
ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শুরু হল ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ঘাটালের মহকুমা শাসক অংশুমান অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান জগন্নাথ গোস্বামী, স্কুলের সম্পাদক অজিত দে, প্রধান শিক্ষক দুলাল কর-সহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। দু’দিনের এই প্রতিযোগিতায় শুধু ছাত্র-ছাত্রীরাই নন, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও অংশ নিয়েছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.