|
|
|
|
বেহাল সেতু সংস্কারের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
পঞ্চায়েত, প্রশাসন ও সেচ দফতরের তরফে সংস্কারের কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। অগত্যা গুরুত্বপূর্ণ ওই ভাঙা সেতুতে বাঁশ বেঁধে বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করছিলেন দুবদা পঞ্চায়েত এবং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার স্কুলে যাওয়ার সময় এগরা-২ ব্লকের মগেশপুর-খাগদা খালের দুবদা সেতু থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছে এক ছাত্র। বেতা হাইস্কুলের ছাত্র শিবু মণ্ডলকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। |
|
ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
বছর দুয়েক ধরে বেহাল হয়ে পড়ে আছে সেতুটি। মাস দুয়েক আগে সেটি ভেঙে পড়ার পর থেকে বাঁশ বেঁধে ঝুঁকির পারাপার করছেন এলাকাবাসী। সেতুটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতে বারবার আবেদন জানিয়েছেন বাসিন্দারা। টনক নড়েনি পঞ্চায়েত, প্রশাসনের কর্তাদের। অথচ বেতা-পানিপারুল রাস্তার ওই সেতু দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন ব্লকের দুবদা, সর্বোদয়, পানিপারুল পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পণ্য পরিবহনের জন্য ওই কাঠের সেতুর উপরেই নির্ভরশীল গ্রামবাসীরা। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল, ব্যাঙ্ক-সহ নানা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের জন্য ট্রেকার-সহ ছোট গাড়ি চলাচল করে।
এ দিকে, প্রতি বছর বর্ষায় জলের তোড়ে কাঠের সেতুটি ভেঙে যায়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “গত দু’বছর ধরে জীর্ণ সেতুটি অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। সেচ দফতরের কাছে নতুন সেতু তৈরির ব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতি-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার আবেদন জানালেও কাজ হয়নি।” তিনি জানান, এলাকার লোক যাতে আপাতত নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারেন, সে জন্য পঞ্চায়েত সমিতি ও সেচ দফতরের উদ্যোগে পুজোর আগে সামান্য সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু পুজোর পরেই সেতু পারাপারের অনুপযুক্ত হয়ে যায়। তারপর থেকে ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ। সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে সেতুতে বাঁশ বেধে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। সেচ দফতরের কাঁথি বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র স্বপন পণ্ডিত বলেন, “ওই কাঠের সেতুর পরিবর্তে কংক্রিটের বড় সেতু তৈরির পরিকল্পনা দীর্ঘ দিন আগে নেওয়া হয়েছে। প্রথমে আরআইডিএফ (ত্রয়োদশ) পরিকল্পনায় ১ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তার অনুমোদন মেলেনি। পরে একটি পরিবর্তিত এবং পরিবর্ধিত প্রকল্প অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।” স্বপনবাবুর কথায়, “এলাকার সেতু সংস্কারের তালিকায় প্রথম দিকে রয়েছে সেতুটি। প্রকল্প অনুমোদন হয়ে টাকা বরাদ্দ হলে দ্রুত কাজ শুরু হবে। তবে আপাতত সেতু সংস্কারের জন্য কিছু টাকা বরাদ্দ হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|