|
|
|
|
টাটাদের সঙ্গ এড়ালেন শুভেন্দু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আমরি কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাকে রতন টাটা যতই প্রশংসা করুন, ‘টাটা’ প্রশ্নে ছুতমার্গ ছাড়ছে না তৃণমূলের নেতারা। আজ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় আবাসন ও শহুরে দারিদ্র্য দূরীকরণ মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে যৌথ ভাবে টাটা গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুরস্কার নেওয়ার কথা ছিল তৃণমূল সাংসদ তথা হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এইচডিএ)-এর চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু দিনভর রাজ্যেই রইলেন তিনি। শুভেন্দুবাবুর অনুপস্থিতিতে ওই পুরস্কার গ্রহণ করেন এইচডিএ-এর সিইও পি উলগানাথন। যথারীতি শুভেন্দুবাবুর অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকায় জল্পনা শুরু হয়েছে। আমরি কাণ্ডের পরে রতন টাটা টুইট করে মমতার পদক্ষেপকে প্রশংসা করায় মনে করা হচ্ছিল দু’পক্ষের মধ্যে বরফ কিছুটা গলেছে। কিন্তু টাটাদের সঙ্গে এক মঞ্চে থাকতে হবে বলে যে ভাবে আজ শুভেন্দু দিল্লির অনুষ্ঠানে গরহাজির রইলেন, তাতে স্পষ্ট টাটা প্রশ্নে তৃণমূলের অবস্থান আগের মতোই রয়েছে। প্রসঙ্গত, জওহরলাল নেহরু জাতীয় নগর পুনর্নবীকরণ (জেএনএনইউআরএম) প্রকল্পে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য সারা দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে হলদিয়া। |
|
নিজস্ব চিত্র |
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে ওই প্রকল্পে রয়েছে এইচডিএ, টাটা গোষ্ঠী ও মালয়েশিয়ার একটি সংস্থা। আজ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিতে যে ক’টি সংস্থা ওই পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করে, তাদের সকলকেই যৌথ ভাবে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই কারণেই এইচডিএ-সহ বাকি দু’টি বেসরকারি সংস্থাকেও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও শুভেন্দু অধিকারী দিল্লিতে আসেননি।
টাটার প্রতিনিধিরা রয়েছেন বলেই কি তিনি এলেন না? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি শুভেন্দুবাবু। শুধু বলেন, “আমার পরিবর্তে হলদিয়া অথরিটির সিইও উপস্থিত থাকবেন।” তৃণমূলের অন্য এক নেতা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, টাটা প্রশ্নে এখনও তাঁরা অনমনীয়। তাদের সঙ্গে এক মঞ্চে পুরস্কার নেওয়ার প্রশ্নই নেই। |
|
|
|
|
|