|
|
|
|
ফের পিছোল জ্ঞানেশ্বরী মামলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের পিছিয়ে গেল জ্ঞানেশ্বরী মামলা। মঙ্গলবার এই মামলায় জেলবন্দি ১৯ জনকে মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ‘পিটিশন’ করে দাবি করেন, চার্জশিটের সঙ্গে যে সব কাগজপত্র আদালতে পেশ করেছে সিবিআই, তা আসলে ‘ফটো-কপি’। মামলার জন্য আসল কাগজপত্র জমা দেওয়া প্রয়োজন। এর পরেই বিচারক মধুমতী মিত্র জানান, আগামী ১১ জানুয়ারি এই ‘পিটিশন’ সংক্রান্ত শুনানি হবে।
জ্ঞানেশ্বরী মামলা দায়রায় সোপর্দ হওয়ার পরে গত ২২ নভেম্বর ধৃত ১৯ জনকে মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। হাজির ছিলেন জামিনে মুক্ত বিমল মাহাতোও। ওই দিনই মামলার ‘চার্জ’ গঠন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সব আসামির আইনজীবী না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। ধৃত লক্ষ্মীকান্ত রায় ও বাবলু রানা ওই দিন আদালতকে জানিয়েছিলেন, আইনজীবী দাঁড় করানোর মতো সামর্থ্য তাঁদের নেই। সরকারের পক্ষ থেকেই আইনজীবী দেওয়া হোক। অন্য তিন বন্দি--জলধর মাহাতো, তপন মাহাতো ও সমীর মাহাতোও আইনজীবী দাঁড় করানোর জন্য সময় চেয়ে আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন। তা মঞ্জুর করে ১৩ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করে আদালত। সেই মতো জেলবন্দি ১৯ জনকে এ দিন মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়। বিমলবাবু শারীরিক অসুস্থতার কারণে এ দিন হাজির হতে পারেননি। লক্ষ্মীকান্ত ও বাবলুর হয়ে সওয়াল করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবীর নাম চূড়ান্ত করেছে আদালত। জলধর ও সমীর ব্যক্তিগত ভাবে আইনজীবী দাঁড় করিয়েছেন। তপনবাবুর হয়ে এ দিনও আদালতে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা মামলায় মোট ২৩ জনের নামে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন ২০ জন। সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থ তপস্বী বলেন, “আসামিপক্ষ একটি পিটিশন দাখিল করেছে। আগামী ১১ জানুয়ারি এর প্রেক্ষিতে শুনানি হবে। আমরা চাই, দ্রুত মামলার বিচার শুরু হোক।”
|
|
|
|
|
|