|
|
|
|
সমস্যা ভগবানপুরে |
রেশন তুলছেন না ক্ষুব্ধ ডিলারেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
এক ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করার প্রতিবাদে রেশনের মাল না তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেশন ডিলারদের সংগঠন। ফলে সমস্যায় পড়েছেন ভগবানপুর-২ ব্লকের রেশন গ্রাহকেরা। পশ্চিমবঙ্গ এম আর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের ভগবানপুর-২ ব্লক শাখার দাবি, ওই ডিলারকে লাইসেন্স ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে রেশনের মাল তুলবেন না তাঁরা। কাঁথি মহকুমা খাদ্য নিয়ামক জামিন আজিজ বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, তদন্ত ও প্রমাণের ভিত্তিতেই ওই ডিলারকে প্রথমে বরখাস্ত এবং পরে লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। রেশনের জিনিস না তুলে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেললে ডিলারদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মহকুমা খাদ্য নিয়ামক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপ মণ্ডল নাম ওই ডিলার গড়বাড়ি-১ পঞ্চায়েতের মধুসূদনচক ও পূর্বচক এবং গড়বাড়ি-২ পঞ্চায়েতের খিরিশবাড়ি গ্রামে রেশনের জিনিস বিলির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সংগঠনের ব্লক সম্পাদকও। খাদ্য দফতরের নির্দেশে মহকুমা খাদ্য নিয়ামক জামিন আজিজ, সার্কেল ইন্সপেক্টর অশ্রুরঞ্জন দাস ও ওই ব্লকের ফুড ইন্সপেক্টর গত ৮ সেপ্টেম্বর নাজিরবাজারে প্রদীপ মণ্ডলের রেশন দোকানে সরেজমিনে তদন্তে যান। নথিপত্র পরীক্ষার পর তাঁরা যান গুদামে। মহকুমা খাদ্য নিয়ামক জানান, গুদামে প্রায় ৮ কুইন্টাল গম বেশি ছিল। চাল, আটা ও চিনি কম ছিল। ছিল না মাথাপিছু বরাদ্দের পরিমাণ ও মূল্য লেখা বোর্ড। ছিল আরও অনিয়ম। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে শো’কজ করা হয় ডিলারকে। ডিলারের উত্তর পাওয়ার পর ৩ অক্টোবর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর গত ২০ অক্টোবর মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের দফতরে শুনানি হয়। ১২ ডিসেম্বর ওই ডিলারের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়। অন্য দিকে, ডিলার প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “আধিকারিকেরা যে দিন তদন্তে এসেছিলেন, সে দিন আমি মায়ের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় ছিলাম। ডিলার সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছি বলে কোনও ত্রুটি না থাকা সত্ত্বেও অন্যায় ভাবে আমার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, “ওই অতিরিক্ত গম পঞ্চায়েতের ত্রাণ বিলির জন্য ছিল। তার নথিপত্রও দেখনো হয়েছে খাদ্য নিয়ামককে। চাল, চিনি ও আটা কম ছিল না। তদন্তকারীরা হিসেবে ভুল করেছেন।” ভগবানপুর-২ ব্লকে আছেন ২৮ জন ডিলার। তাঁদের কথায়, “রেশন ব্যবস্থায় অনেক ত্রুটি আছে। তা সত্ত্বেও আমরা নানা দিক সামলে কাজ করি। মহকুমা খাদ্য নিয়ামক কারও কোনও অভিযোগ ছাড়াই অন্যায় ভাবে লাইসেন্স বাতিল করেছেন। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে। চলতি সপ্তাহে জিনিস তুলিনি। প্রয়োজনে অনির্দিষ্টকাল রেশন তুলব না।” এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রদীপ কয়াল বলেন, “গোটা ব্লকে রেশন নিয়ে অচলাবস্থা চলছে। চাল পাচ্ছেন না দুঃস্থ মানুষগুলি। উভয়পক্ষের গোটা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা উচিত।”
|
|
|
|
|
|