ভারতের বিরুদ্ধে একটিও বল খেলার সুযোগ না-ও হতে পারে রিকি পন্টিং অথবা মাইকেল হাসির। সে রকমই ইঙ্গিত ভেসে আসছে অস্ট্রেলিয়ার অন্দরমহল থেকে। নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে ২৬ বছর পর টেস্ট ম্যাচে হেরে যাওয়ায় প্রাক্তনদের অভিযোগ আরও বেশি করে তাড়া করছে পন্টিংকে। একই সঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের আগে আরও সমস্যায় অস্ট্রেলিয়া। চোট থাকায় শন মার্শ খেলতে পারবেন না মেলবোর্নে। শেন ওয়াটসনের ফিটনেস পরীক্ষাও হবে। |
তাদের পাহাড়ে চড়ার অভিজ্ঞতা নেই। কেউ বা আবার মুকুটমণিপুর জলাধারই দেখেনি। তবে তাদের এই অপূর্ণতা পূর্ণ হয়ে গেল মুকুটমণিপুরে এসে। প্রিয়া, সঞ্চিতার মতো আরও অনেকে এখানে এসে পাহাড়ে চড়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, পাশাপাশি মুকুটমণিপুর জলাধার দেখতে পেয়ে বেশ খুশি তারা। অনেকে বলেই ফেলল, “জীবনে এটা একটা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।”
সর্বশিক্ষা মিশনের উদ্যোগে ‘অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ক্যাম্প’ শুরু হয়েছে খাতড়ার মুকুটমণিপুর লাগোয়া বারঘুটু এলাকায়। রবিবার এই ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মৌমিতা বসু। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালনায় এই ক্যাম্প চলবে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক ব্রিজিত সুচিতা কুজুর বলেন, “জেলার ২৫টি হাইস্কুলের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের নিয়ে এই ক্যাম্প করা হয়েছে। প্রতিটি স্কুল থেকে ৬০ জন করে ছাত্রীদের নেওয়া হয়েছে।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মৌমিতা বসু বলেন, “পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি পড়ুয়ারা যাতে প্রকৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারে তার জন্যই এই ক্যাম্পের আয়োজন। ক্যাম্পে পাহাড়ে চড়া থেকে শুরু করে সাঁতার কাটা সবই শেখানো হবে।”
ক্যাম্প পরিচালনাকারী ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি উদয়কুমার দাস জানান, জয়পুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও রানিবাঁধের পুরাণপানি হাইস্কুলের মোট ১২০ জন ছাত্রীকে নিয়ে এই ক্যাম্প শুরু হয়েছে। ছোট বড় মিলিয়ে কুড়িটি তাঁবু করা হয়েছে বারঘুটু পাহাড়ের গা ঘেঁষে। প্রতিটি ক্যাম্প চার দিন করে হবে। রক ক্লাইবিং, ওয়াটার স্পোর্টস থেকে গ্রাম সমীক্ষা কী ভাবে করতে হয় তাও শেখানো হবে প্রত্যেক ছাত্রীকে।
ক্যাম্পে আসা জয়পুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়া সূত্রধর, সপ্তম শ্রেণির সঞ্চিতা কুণ্ডু, শ্রেয়সী ঘোষরা খুশিতে ডগমগ হয়ে বলল, “পাহাড়ে চড়া তো দূরের কথা কোনও দিন সামনে থেকে পাহাড়ই দেখিনি। এখানে এসে পাহাড় দেখলাম। কী ভাবে চড়তে হয় তাও শিখলাম।” ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পূজা গরাই, পুরাণপানি হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুতপা পাইন, সপ্তম শ্রেণির সরস্বতী মাণ্ডিদের অভিজ্ঞতা, “খাড়া পাহাড় থেকে প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। শিক্ষকেরা সুন্দরভাবে আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন কী ভাবে পাহাড়ে চড়তে হয়। ভাবতে পারছি না কী ভাবে সহজে শিখে নিলাম।”
শাল-পিয়ালের জঙ্গলের পাশে পাহাড়ের গা ঘেঁষে তাঁবুতে রাত্রিবাস। সকালে পাহাড়ে ওঠা, কংসাবতীর জলে সাঁতার কাটা, বোটে ঘোরা। ‘অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ক্যাম্প’ থেকে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিয়েই বাড়ি ফিরল সোহিনী, অনিমা, শ্রেয়সীরা। |