গত রবিবার হারতে হয়েছিল কলকাতা লিগের সবচেয়ে নীচে থাকা পুলিশ এসি-র কাছে। আজ সুব্রত ভট্টাচার্যের পরীক্ষা আই লিগের ‘লাস্ট বয়’ হ্যালের বিরুদ্ধে।
পুলিশ দলের সঙ্গে হ্যালের মিলও আছে। হ্যাল এখনও পর্যন্ত আই লিগে কোনও ম্যাচ জিততে পারেনি। এমনকী ড্র করতে পেরেছে মাত্র একটি ম্যাচ। মোহনবাগানের এই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট হারানো মানে আবার তলিয়ে যাওয়া লিগ তালিকায়। ব্যারেটোদের পরের দু’টি ম্যাচ যথেষ্ট কঠিন। যুবভারতীতে পরপর খেলতে হবে স্পোর্টিং ক্লুব গোয়া এবং সালগাওকরের বিরুদ্ধে। তার আগে তাই তিন পয়েন্ট ছাড়া অন্য কিছুই দেখতে চান না সুব্রত। বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে বললেন, “ডিফেন্সিভ খেলার কোনও প্রশ্নই নেই। জেতার জন্য ঝাঁপাব।” আই লিগে বড় ম্যাচ জেতার পর থেকেই ক্রমশ পিছু হটছে মোহনবাগান। প্রয়াগের কাছে হার। ইম্ফলে শিলং লাজংয়ের সঙ্গে ড্র। কলকাতা লিগে মহমেডানকে হারাতে না পারা। তার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ। বেঙ্গালুরু থেকে তিন পয়েন্ট আনতে পারলে তবেই দিশেহারা অবস্থা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবে ব্যারেটোরা। হ্যাল কোচ মুরলীধরনও অবশ্য বলেছেন, “আমরা অল আউটই যাব।” |
একই লক্ষ্যে সুব্রত আবার শুরু থেকেই ওডাফা-ব্যারেটোকে নামাতে চান। সাফ কাপ ফাইনালে সুনীল ছেত্রী চোট পাওয়ায় দিল্লিতে রয়ে গিয়েছেন। তবে সোমবারই দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরু চলে এসেছিলেন রহিম নবি এবং জুয়েল রাজা। মোহনবাগান টিম বেঙ্গালুরু পৌঁছনোরও আগে। সাফ ফাইনালে মাথায় চোট পেয়ে তিনটি সেলাই হয়েছে নবির। রবিবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সোজা চলে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। রাত বারোটা পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকতে হয়েছিল তাঁকে। দলের খারাপ অবস্থায় অবশ্য বসে থাকতে চান না নবি। নিজেই বলেছেন খেলবেন।
গত আই লিগে মোহনবাগান মাত্র এক পয়েন্ট পেয়েছিল হ্যালের দু’টি ম্যাচ থেকে। সেই দলের মুরলী জোসেফ এখন সবুজ-মেরুন জার্সিতে খেলেন। মুরলীকে আজ সুব্রত খেলাতে পারেন ডিফেন্সিভ স্ক্রিন হিসাবে। নবি-জুয়েল হয়তো মাঝমাঠেই খেলবেন। বেঙ্গালুরুতে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের খেলতে হবে অ্যাস্ট্রোটার্ফে। মঙ্গলবার দুপুরে সেখানেই অনুশীলন করেছেন ওডাফারা।
মোহনবাগান হ্যালের বিরুদ্ধে জিতলে খুব হইচই হবে না। কিন্তু হারলে ফের নখ-দাঁত বের করবেন নিন্দুকরা। কলকাতা ডার্বির ঠিক পরের ম্যাচে বেঙ্গালুরুতেই তো টোলগের চার গোলের ঝড়। হ্যাল উড়ে গিয়েছিল ১-৮। দুর্বল প্রতিপক্ষকে পেয়ে কি জ্বলে উঠবেন ওডাফাও? নাকি গোলের সন্ধানেই কেটে যাবে আরও নব্বই মিনিট? |