|
|
|
|
শৌচালয় তৈরি করা নিয়ে ঝামেলা স্কুলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
প্রধান শিক্ষককের তত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছিল শৌচালয় তৈরির কাজ। কিন্তু ‘স্টাফ রুম’ সংস্কারের কাজ আগে করতে হবে, এই দাবি তুলে স্কুলে অবস্থান-বিক্ষোভে বসলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের বালিবেলা হাইস্কুলে। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে চলে বিক্ষোভ। ছাত্রছাত্রীদের অবশ্য কোনও অসুবিধায় পড়তে হয়নি। বরং শিক্ষকদের কাণ্ড-কারখানা তারা বেশ ‘উপভোগ’ই করেছে। বিব্রত প্রধান শিক্ষক নবকুমার বসাক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করায় বিক্ষোভ প্রশমিত হয়।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষকদের স্টাফ রুমের ঠিক সামনেই মহিলা শৌচাগার নিয়ে ছাত্রীদের দীর্ঘ দিন ধরেই আপত্তি ছিল। ইদানীং সেই শৌচালয়ের অবস্থা অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ায় শিক্ষকেরাও সমস্যা সমাধানের দাবি করেছিলেন। এ নিয়ে স্কুল পরিচালন কমিটি বার তিনেক বৈঠকে বসে। ছাত্রীদের শৌচালয়ে দরজা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব ওঠে। প্রয়োজনে ছাত্রীদের কমন রুম তৈরিরও কথা হয়। শিক্ষকদের তরফে (পরিচালন কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি) রাজীব চক্রবর্তী বলেন, “প্রধান শিক্ষক বৈঠকে নেওয়া কোনও সিদ্ধান্ত না মেনে পৃথক একটি জায়গায় কয়েকটি প্রস্রাবাগার তৈরির কাজ শুরু করিয়েছেন। তাতে আমাদের স্টাফ রুম এবং বালিকাদের শৌচালয়ের সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। সমস্যা সুরাহার দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ হয়েছে। অন্য দিকে, প্রধান শিক্ষক নবকুমারবাবুর বক্তব্য, “শিক্ষকদের দাবি, এক্ষুনি স্টাফ রুম করে দিতে হবে। অথচ, আমার হাতে শৌচালয় তৈরির টাকা (গ্রান্ট) এসেছে। সেই টাকায় একটি পৃথক জায়গায় শৌচালয় তৈরির কাজ চলছিল। স্কুলে কোনও অতিথি বা অভিভাবকদের কথা ভেবেও এই ব্যবস্থা। তা ছাড়া, বালিকাদের শৌচালয়ের নিকাশি বন্ধ হয়েছিল বলেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। নতুন নিকাশি ব্যবস্থা করে দেওয়ায় এখন সমস্যা নেই। স্থায়ী সমাধানও করা হবে।” সমস্ত বিষয়টি নিয়ে পরিচালন কমিটি ফের বৈঠকে বসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। |
|
|
|
|
|