|
|
|
|
জল আসে না কলে, ভোগান্তি বহু মানুষের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আমতা |
জলপ্রকল্প রয়েছে। রয়েছে রাস্তার ধারে জলের কলও। তা সত্ত্বেও পানীয় জল পাচ্ছেন না কয়েক হাজার গ্রামবাসী। ঘটনাটি হাওড়ার আমতা ১ পঞ্চায়েত সমিতির অধীন বসন্তপুর পঞ্চায়েত এলাকার।
এই এলাকায় বছর কুড়ি আগে ‘কানপুর ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম ফর বসন্তপুর জিপি’ নামে প্রকল্পটি গড়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। প্রকল্পের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় পঞ্চায়েত সমিতিকে। প্রকল্পটির জলধারণ ক্ষমতা ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার লিটার। বসন্তপুর পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি গ্রামেই প্রকল্পটি থেকে জলের জোগান দেওয়ার কথা। সেই মতো সর্বত্রই রাস্তার ধারে জলের কল বসানো হয়। কিন্তু মারিকপাড়া, শিবতলা, টকালপাড়া এবং উত্তর রায়পাড়ায় যে সব জলের কল বসানো হয়েছিল, শুরু থেকেই সেই সব কল থেকে জল পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন পড়ে থেকে কলগুলি বিকল হয়েছে। এখানে আছে একটি অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্র। জল না-থাকায় তা চালাতেও অসুবিধা হয়।
এ দিকে, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর জলপ্রকল্প করে দেওয়ার ফলে এই এলাকায় নলকূপের সংখ্যা কম। সেই হিসাবেই মারিকপাড়া, শিবতলা, টকালপাড়া এবং উত্তর রায়পাড়াতেও নলকূপের সংখ্যা তুলনায় কম। এই এলাকাগুলির বাসিন্দাদের সব চাপ পড়ে এই স্বল্পসংখ্যক নলকূপের উপরে। গ্রীষ্মকালে বেশির ভাগ কল খারাপ হয়ে যায়। বহু দূরে অন্য গ্রামে জল আনতে যেতে হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু বার তাঁরা পঞ্চায়েত সমিতি-সহ বিভিন্ন মহলে জলের কলগুলি মেরামত করার আবেদন জানালেও কোনও কাজ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা নীলোৎপল হাজরা বলেন, “আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্লক থেকে বাস্তুকারেরা এসে একাধিকবার জলের কলগুলি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। কিন্তু ফল হয়নি।” আমতা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মানবেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “এই স্কিমের জলধারণের যা ক্ষমতা, তাতে সব এলাকায় জল যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন পড়ে থেকে জলের কলগুলিও বিকল হয়ে পড়েছে। সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর।” |
|
|
|
|
|