শেষ পর্যন্ত সন্তোষমোহন দেব, হেমপ্রভা শইকিয়া, কিরিপ চালিহাদের পিছনে ফেলে দিয়ে অসমে রাজ্যসভার শূন্য আসনটিতে নিজের ঘনিষ্ঠ নেতাকে প্রার্থী করাতে সক্ষম হলেন তরুণ গগৈ।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রীর ‘প্রেস উপদেষ্টা’ পঙ্কজ বরাকে রাজ্যসভার উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করল কংগ্রেস। গত ১০ অক্টোবর কংগ্রেস সাংসদ সিলভিয়াস কণ্ডোপানের মৃত্যুতে আসনটি খালি হয়। আজ বরা তাঁর মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এর আগে, বরা, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিসাবেও কাজ করেছেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর বরা কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভুবনেশ্বর কলিতাকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, “আমার উপরে যে আস্থা রাখা হল আশা করি তার মর্যাদা রাখতে পারব।”
আগামী ২২ ডিসেম্বর, রাজ্যসভার আসনের জন্য উপ-নির্বাচন। পঙ্কজবাবুর বিরুদ্ধে একটিমাত্র মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। নির্দল প্রার্থী হিসেবে সাংবাদিক জেসিম রাজা আজ মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৫ ডিসেম্বর।
এই শূন্য আসনটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেস দলের ভিতরে টানাপোড়েন চলছিল। সব মিলিয়ে ৩৭ জন কংগ্রেস নেতা রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েছিলেন। চা-গোষ্ঠীর খ্রিষ্টান নেতা সিলভিয়াসের মৃত্যুর পরে চা-গোষ্ঠী ও খ্রীষ্টান সমাজের তরফে জোরদার দাবি ওঠে, এই আসনটি চা-গোষ্ঠী বা খ্রিষ্টানদের জন্যই সংরক্ষিত রাখা হোক। খ্রিষ্টান নেতা তথা অসম রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অ্যালেন ব্রুকসের হয়ে বহু খ্রিষ্টান সংগঠন ও গির্জা কর্তৃপক্ষ কংগ্রেসের উপরে চাপ দিচ্ছিল। আবার সিলভিয়াসের বিধবা স্ত্রী টেরেসা ও ভাই আনন্দও রাজ্যসভার আসনের দাবিদার ছিলেন। এ ছাড়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর শইকিয়ার স্ত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ হেমপ্রভা শইকিয়া, প্রাক্তন মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেব, প্রাক্তন সাংসদ কিরিপ চালিহা-সহ বহু প্রবীণ নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী টিকিটটির জন্য লড়াইয়ে নামেন। হেমপ্রভা আবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের ‘ল্যান্ডলেডি’। তাঁর বাড়ির একটি অংশে অসম থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদ মনমোহন সিংহ ভাড়াটে।
তবে শেষ অবধি তরুণ গগৈ কংগ্রেসের রাজ্য-রাজনীতিতে তাঁর প্রাধান্য বজায় রাখলেন। হাইকম্যান্ড ও প্রদেশ নেতৃত্ব তুলনামূলকভাবে কম ‘ওজনদার’ ও অবিতর্কিত নেতা পংকজ বরাকে প্রার্থী করে দুই কূল বজায় রাখল। ১২৬ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা ৭৮। |