রাজ্যের সৈকত শহর দিঘায় এখন উৎসবের হাওয়া। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জানুয়ারি মাসে যে সৈকত উৎসব হচ্ছে তার প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে রাজি নয় নগরোন্নয়ন, পযর্টন ও মৎস্য দফতর। স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দিঘা সৈকত পরিচ্ছন্ন করে আলো দিয়ে সাজানো হচ্ছে। পর্যটকদের বসার জন্য আলাদা ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাস্তা সংস্কারেরও কাজ চলছে।
আবার চলতি ডিসেম্বর মাসেই দিঘায় রাজ্য যুবকল্যাণ দফতর ও রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির উদোগে দু’দিনের ‘রাজ্য সৈকত যুব উৎসব’ ও সাত দিনের ‘নন্দিনী মেলা’ হচ্ছে। রামনগর-১ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক রানা বিশ্বাস জানিয়েছেন, ২১ ডিসেম্বর সৈকত যুব উৎসব এবং নন্দিনী মেলার উদ্বোধন করবেন রাজ্যের যুবকল্যাণ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। নন্দিনী মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত দাস জানান, মেলায় পযর্টকদের বিনোদনের জন্য ওয়াটার স্কুটার-সহ নানা জলক্রীড়ার ব্যবস্থা থাকছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে প্রতি দিনই। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত ও স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীর স্টল থাকবে মেলায়।
এ দিকে, দিঘা লাগোয়া পযর্টনকেন্দ্র শঙ্করপুর ও তাজপুরকে ‘সৈকত উৎসব’-এ সামিল না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় হোটেল মালিকদের সংগঠন। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে সভা করে ‘সৈকত উৎসব’ কমিটি। সেখানে শঙ্করপুরকে উৎসবের আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। উৎসব চলাকালীন শঙ্করপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব দেয় দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে পুরাতন দিঘার দিশারী মাঠেই অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পালের বক্তব্য, “রাজ্য সরকার শুধুমাত্র দিঘাতেই ‘সৈকত উৎসব’ করতে চলেছে। অন্য কোনও পযর্টনকেন্দ্র এর আওতায় আসছে না। মন্দারমনিতে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও হোটেল মালিক সংগঠন অনুষ্ঠান করছে। পযর্টন দফতর তাদের কিছুটা আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।” সরকারি ভাবে উৎসবের আওতায় না এলেও তাজপুর সি কোস্ট হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন জানুয়ারি মাসে নিজেদের উদ্যোগে ‘তাজপুর বিচ কার্নিভাল’-এর আয়োজন করছে। তাজপুরের ওই অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামল দাস বলেন, “তাজপুরে পযর্টকদের যাতায়াতের রাস্তা খানাখন্দে ভরা। রাজ্যের যুবকল্যাণমন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস সম্প্রতি তাজপুরে এসে সমস্যার সমাধানে ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি।” |