এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নতি ও সেতু সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু রাস্তা বা সেতুর ব্যাপারে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতিবাদে কিছু দিন আগে একটি সেতু সঙ্গে যোগাযোগকারী রাস্তা কেটে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। ঘটনাটি মহম্মদবাজার থানার পাঁচামি ও তালবাঁধ এলাকার। এর ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে পাঁচামি এলাকার পাথর শিল্পে। রাস্তা কাটাকে সমর্থন না করলেও রাস্তা ও সেতু সংস্কারের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন পাঁচামি মাইন অ্যান্ড ওনার অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, পাঁচামি এলাকায় গণ্ডগোলের পরে প্রশাসনের তরফে যে সব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে রাস্তাঘাটের সার্বিক উন্নয়ন ও সেতুগুলি সংস্কার করা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম জাতীয় সড়কের সোঁতশাল মোড় থেকে পাঁচামি, গিড়িজোড়, জেঠিয়া, হাবড়াপাহাড়ি, ইচেডাঙা হয়ে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে দামড়া পর্যন্ত। ওই রাস্তাটি দৈর্ঘ্যে ১২-১৩ কিলোমিটার। তার মধ্যে সোঁতশাল থেকে পাঁচামি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পিচের। বাকি রাস্তা মাটি বা মোরামের। এই পাঁচামি থেকেই সাগরবাঁধি, বারমেসিয়া, তালবাঁধ, কুয়েপাড়া, শালবাদরা হয়ে ৮ কিলোমিটারের একটি বাইপাস গিয়ে মিশেছে ঢোলকাটিতে। |
ওই ঢোলকাটিতে একটি ছোট খালের উপরে ভগ্নপ্রায় সেতুটি সারানোর দাবিতে এলাকার লোকেরা সেতু সংযোগকারী রাস্তা কেটে দিয়েছেন। আদিবাসী নেতা সুনীল সোরেন ও গাঁওতার সম্পাদক রবিন সোরেন বলেন, “পাঁচামি এলাকায় শুধু ওই দু’টি রাস্তা বা তিনটি সেতু নয়, আরও যে সব বড় রাস্তা আছে সেগুলিও চলাচলের অযোগ্য।” তাঁদের দাবি, “৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের রায়পুর থেকে মুরগাবনি, চাঁদপুর, হরিনসিঙা হয়ে ঢোলকাটা পর্যন্ত ১৫-১৬ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। দীর্ঘদিন আগে হরিনসিঙার আগে পর্যন্ত পিচের রাস্তা করা হয়েছিল। সংস্কারের অভাবে সেটিও বেহাল হয়ে পড়েছে।”
গিরিজোড়ের ডোমনা কিস্কু, সরমা কিস্কু, হাবড়া পাহাড়ির লাল মুর্মুরা বলেন, “রাস্তা বা সেতু সংস্কারের জন্য প্রশাসনের কাছে বার বার জানানো হয়েছে। কিছু কোনও সদুত্তর মেলেনি। আমরা চাই অবিলম্বে রাস্তা বা সেতু সংস্কার করা হোক।” পাঁচামি মাইন অ্যান্ড ওনার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজির হোসেন মল্লিক বলেন, “এলাকার অধিকাংশ পাথর খাদান বন্ধ। খাদান চালাতে গেলে বাইরে থেকে কাঁচামাল আনতে হয়। কিন্তু সেতু সংযোগকারী রাস্তা কেটে দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।” বিডিও সুতীর্থ দাস বলেন, “কালভার্ট তিনটি সংস্কারের জন্য ওয়াক অর্ডার হয়ে গিয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।” |