প্রথমে ভুল লাইনে চলে গেল কোলফিল্ড এক্সপ্রেস। সেটাকে নিজের লাইনে ফিরিয়ে এনে সবে যখন ঠিকঠাক করা হচ্ছে ট্রেন চলাচল, সেই সময়েই আবার বিপত্তি। এ বার কয়লা বোঝাই একটি মালগাড়ির আটটি কামরা ওই পথেরই রাজগ্রাম স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে গেল। ঘুরিয়ে দিতে হল উত্তরবঙ্গমুখী সব ট্রেন। সব মিলিয়ে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাওড়া ডিভিশনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। কোলফিল্ডের লাইন-বিভ্রাট এবং মালগাড়ির লাইন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া, দু’টি বিষয়েই তদন্ত চলছে।
রেল সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ কোলফিল্ড এক্সপ্রেস খানা থেকে ভুল লাইনে চলে গিয়ে বিপত্তি বাধায়। তার পরেই, রাত সওয়া ১২টা নাগাদ পূর্ব-মধ্য রেল থেকে আসা একটি মালগাড়ি সাগরদিঘি বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ওই লাইনেরই রাজগ্রাম স্টেশনের কাছে বেলাইন হয়ে যায়। মালগাড়িটির আটটি কামরা লাইন থেকে পড়ে যায় মাটিতে। |
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ পড়ে যাওয়া কামরাগুলির মধ্যে চারটিকে আবার লাইনে তুলে দেওয়া হলেও অন্যান্য কামরা তুলতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। ফলে খানা-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। কী কারণে মালগাড়িটি লাইনচ্যুত হল, রেলকর্তারা তা পরীক্ষা করে দেখছেন।
সোমবার রাতে কোলফিল্ড এক্সপ্রেস কী ভাবে অন্য লাইনে চলে গিয়েছিল, সেই বিষয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। রেল সূত্রের খবর, লাইনের ক্রসিংয়ে ‘পয়েন্ট সেট’ করার আগে পূর্ববর্তী স্টেশন থেকে ‘লাইন ক্লিয়ার’ নেওয়া হয়েছিল কি না বা কেবিনম্যান পয়েন্টটি পাল্টেছিলেন কি না অথবা কেবিনের প্যানেল বোর্ড কাজ করেছিল কি না সবই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এক রেলকর্তা জানান, প্যানেল বোর্ডে পয়েন্ট সেট না-হলে সিগন্যাল হবে না। আর সিগন্যাল কোন লাইনের জন্য দেওয়া হয়েছে, সেটা ট্রেনচালকের বুঝতে পারার কথা। এ ক্ষেত্রে চালক ট্রেনটি পয়েন্টের আগে থামাননি। তাই ধরে নেওয়া যায়, সিগন্যালেও ভুল ছিল। অথবা চালকও হয়তো লক্ষ করেননি। চালকের ভূমিকাও যাচাই করা হবে। |