টুকরো খবর
খড়্গপুরে কারখানায় বিক্ষোভ তৃণমূলের
নিজস্ব চিত্র।
শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে খড়্গপুরের একটি কারখানায় বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু করল শাসক তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। সোমবার ওই কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি দু’দিন ধরে ধর্নায় বসারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমআইন মানছেন না। সরকারি করও ফাঁকি দিচ্ছেন। তারই প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছে আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত ঠিকা-মজদুর ইউনিয়ন। ইউনিয়নের সভাপতি আবার যুব-তৃণমূলের জেলা সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী। দেবাশিসবাবুর অভিযোগ, “কারাখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের কম টাকা দিয়ে বেশি সময় কাজ করাচ্ছেন। পিএফের টাকা কাটা হচ্ছে অথচ পিএফ অ্যাকাউন্ট নম্বর জানানো হচ্ছে না। এক হাজারের বেশি অস্থায়ী শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। একই কাজে নানা রকম মাইনেও চালু রয়েছে।” রশ্মি মেটালিকস নামে ওই সংস্থার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (ওয়ার্কস) সুরেন্দ্রকুমার ঝা-র অবশ্য দাবি, “সরকারি সব নির্দেশিকা মেনেই কাজ চলছে।” তবে কারখানা বন্ধ করে যে আন্দোলনের পথে তাঁরা যাবেন না, সে আশ্বাস দিয়েছেন ইউনিয়ন নেতা।

বৃদ্ধা খুনে ধৃত তিন খড়্গপুরে
এক বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম শেখ কালু ওরফে সফিউল, শেখ সইফুল ও আনসার আলি খান। বাড়ি খড়্গপুর শহরের পাঁচবেড়িয়ায়। গত ২৮ নভেম্বর রেলশহরের বিদ্যাসাগরপুর থেকে মৃদুলা মিত্র নামে এক বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃদুলাদেবী বাড়িতে একাই থাকতেন। ওই দিন সকালে তাঁর বাড়ির দরজা খোলা ছিল। দুধ দিতে এসে এক জন ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। পরে স্থানীয় কয়েক জন এসে বাড়িতে ঢুকে দেখেন, খাটের উপর বৃদ্ধার দেহ পড়ে রয়েছে। মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছে। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। পরে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কী ভাবে বৃদ্ধার মৃত্যু হল, শুরুতে অবশ্য সে নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিল পুলিশ। পরে তদন্তে জানা যায়, চুরির উদ্দেশেই কয়েক জন ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে খুন করে। বৃদ্ধার হাতে, গলায় যে সব সোনার গয়না ছিল, তা চুরি করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরায় স্বীকার করেছে যে তারাই বৃদ্ধাকে খুন করেছে। সোমবার ধৃতদের মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হয়। ৬ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। খড়্গপুর টাউন থানার আইসি স্বপন দত্ত বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। আর কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

চন্দ্রকোনায় ডাকাতি বাড়িতে
রবিবার রাতে চন্দ্রকোনার ঝাঁকরা সংলগ্ন আমধেড়া গ্রামে এক আলু ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীরা প্রধান ফটকে লোহার সাটার ভেঙে বাড়িতে ঢুকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে লুঠপাট চালিয়ে নগদ টাকা এবং সোনার গহনা নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময়ে বোমাও ফাটায় তারা। দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছেন তরুণ মণ্ডল নামে ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রী বুলুদেবী। তরুণবাবুকে ধারালো অস্ত্র দিয়েও আঘাত করা হয়। রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ তিনটি গাড়িতে সশস্ত্র অবস্থায় কুড়ি জনের একটি দল আমধেড়া গ্রামে হানা দেয়। তারা ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির প্রধান ফটকের লোহার সাটার ভেঙে ভিতরে ঢোকে। দোতলায় ছিলেন ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রী। নীচে দোকানঘরে ঘুমোচ্ছিলেন তিন কর্মী। দুষ্কৃতীরা প্রথমে ওই কর্মীদের মারধর করে। তাঁদের বন্দুক দেখিয়ে উপরে নিয়ে যায়। কর্মীদের দিয়ে ডাকিয়েই তরুণবাবুর ঘরের দরজা খোলায়। দরজা খুলতেই ওই ব্যবসায়ীর মাথায় ভোজালির কোপ মারে দুষ্কৃতীরা। ঘণ্টাখানেক ধরে লুঠপাট চালিয়ে গাড়িতে চেপেই মেদিনীপুরগামী রাস্তা ধরে চম্পট দেয়। জানাজানি হতে গ্রামবাসীরা বেরিয়ে এসে খবর দেন থানায়। গ্রামবাসীরাই আহত তরুণবাবু ও তাঁর স্ত্রী বুলুদেবীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান।

ফের স্কুলভোটে গোষ্ঠীলড়াই তৃণমূলে
চন্দ্রকোনা-১ ব্লকে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রবিবার ওই ব্লকের জাড়া হাইস্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে দলের জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ উপেক্ষা করেই দলের দুই গোষ্ঠী আলাদা ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বিজেপি-সমর্থিতরাও নির্বাচনে থাকলেও মূল লড়াই হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সমর্থিতদের মধ্যেই। একটি গোষ্ঠী দলের যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীর নাম লেখা ফেস্টুন এবং অন্য গোষ্ঠী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত ফেস্টুন নিয়ে প্রচারে নামে। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীই (মমতা-নামাঙ্কিত ব্যানার ব্যবহারকারীরা) ৬টি আসনেই জয়ী হয়। কয়েক মাস আগে ক্ষীরপাই বালিকা বিদ্যালয়ের ভোটেও একই ভাবে লড়াই হয়েছিল শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।

জয়ী তৃণমূল, কংগ্রেস
একের পর এক স্কুল ভোটে জয় পাচ্ছে তৃণমূল ও কংগ্রেস। রবিবার সবংয়ের বসন্তপুর ঝাড়েশ্বর বানীভবন, চাউলকুড়ি হাইস্কুল ও রামবাড় হাইস্কুলে তৃণমূল ও কংগ্রেস জোট জয় পেয়েছে। হরিরহাট ও খাগড়াগেড়িয়া স্কুলে জোট হয়নি। যেখানে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল ও সিপিএমের বিরুদ্ধে। এই দু’টি স্কুলেই অবশ্য জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে ভেমুয়া স্কুল নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল।

জয়ী তৃণমূল
রবিবার শালবনি ব্লকের গোয়ালডিহি স্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৬টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন তৃণমূল-সমর্থিতরা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.