সম্পাদক সমীপেষু...
‘হাতুড়ে’রাই বাঁচিয়ে রাখেন গ্রামাঞ্চলকে
বেনাশুলি গ্রামের চিকিৎসক ভূদেব মাহাতোকে পুলিশ মাওবাদী সুচিত্রাকে চিকিৎসার জন্য গ্রেফতার করেছে। এই গ্রামীণ চিকিৎসককে স্রেফ ‘হাতুড়ে’ বলে আপনাদের সংবাদের বর্ণনা ও শিরোনাম পীড়াদায়ক। চিকিৎসাহীন গ্রামবাংলায় এই ‘হাতুড়ে’ চিকিৎসকরাই সাধারণ মানুষের ভরসা। যেখানে গ্রামের গরিব মানুষদের চিকিৎসা প্রদানের কোনও পরিকাঠামো নেই, সেখানে এই প্রথাগত চিকিৎসাশাস্ত্রের ডিগ্রিহীন চিকিৎসকদের অপমান করার অধিকার কি আমাদের আছে? তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথাগত ডিগ্রি না থাকলেও অনেকেই স্বাস্থ্য, পরিবেশ, পরমাণু, প্রযুক্তি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সংবাদপত্রে লিখে থাকেন, তা হলে তাঁদেরও কেন ‘হাতুড়ে’ বলে পরিচয় দেওয়া হয় না? এই বিশেষণ কি ভূদেব মাহাতোদের প্রাপ্য কেবল গ্রামীণ আদিবাসী মানুষ বলেই? টিভি-র পর্দায় ছবি দেখে মনে হল, ভূদেব মাহাতোর চিকিৎসালয়টিতেও পুলিশি তছনছ চালানো হয়েছে। বেনাশুলি গ্রামের অধিবাসীদের এর পর অসুখবিসুখ হলে তা দেখার ভার কোন এম বি বি এস বহন করবেন তা জানার ইচ্ছা রইল। আগামী দিনে এ ভাবে গ্রামীণ চিকিৎসকদের অপমান না-করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আলিপুর বার লাইব্রেরি
কর্মসূত্রে আমাকে প্রায়ই আলিপুর ফৌজদারি আদালতে যেতে হয়। সেখানে আমার আইনজীবীর সঙ্গে মামলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য আলিপুর বার লাইব্রেরিতে গিয়েও বসতে হয়। কিন্তু বৃথাই সেখানে বসা। এক শ্রেণির আইনজীবী সেখানে বসে আইন সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয়, বিশেষ করে রাজ্য-রাজনীতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে এমন উচ্চস্বরে তর্ক-বিতর্ক করেন যে, দিনের শুরুতেই সেটা মাছের বাজারে রূপান্তরিত হয়। তার সঙ্গে গালিগালাজও চলে সমান তালে।
মহৎ পেশার সঙ্গে যুক্ত এই ব্যক্তিরা কী করে এমন আচরণ করেন, ভেবে অবাক হই। খুব কম আইনজীবীকে আইনের বই বা জার্নাল পড়তে দেখেছি। লাইব্রেরির মধ্যে সব সময় একটা হই-হুল্লোড় চলে, যেটা স্থানটির গম্ভীর ভাবমূর্তির সঙ্গে সম্পূর্ণ বেমানান।
সত্তর-আশির দশকেও আলিপুর ফৌজদারি আদালতের এই করুণ দশা ছিল না। জুনিয়র আইনজীবীরা সিনিয়রের সঙ্গে সমীহ করে কথা বলতেন। আইন সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া সেই গ্রন্থাগারে অন্যান্য আলোচনা হত না বললেই চলে।
কেরি সাহেবের স্কুল
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘যা দেখি, যা শুনি, একা একা কথা বলি’ (২-১১) প্রসঙ্গে জানাই, কলকাতায় কেরি সাহেবের প্রতিষ্ঠিত দুটি স্কুল আছে। একটি মেয়েদের এবং একটি ছেলেদের। দুটিই ড. সুরেশ সরকার রোডে। একটি কেরি হাইস্কুল (ছেলেদের), অন্যটি ব্যাপটিস্ট মিশন (মেয়েদের)। দুটি স্কুলই বামফ্রন্ট সরকারের অধিগ্রহণের ফলে আজ ভগ্নস্তূপ। এক কালে মিশনারিদের তৈরি বাংলা মাধ্যমের এই স্কুল দুটি অতি উন্নত শিক্ষা মান বহন করত। আজ তার এই ভগ্নদশা কলকাতাবাসীর লজ্জা না বামফ্রন্ট সরকারের লজ্জা, না আমাদের সকলেরই লজ্জা?


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.