স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও কংগ্রেস জোটের ফাটল প্রকাশ্যে চলে এল কালনার নান্দাই পঞ্চায়েত এলাকায়।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কালনা ১ ব্লকের এই পঞ্চায়েতটি রয়েছে তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোটের হাতে। কিন্তু স্থানীয় পারদুপমা গ্রামের কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্য খায়রুল মল্লিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের হয়ে প্রচার চালান মুজফ্ফর শেখ নামে দলেরই এক নেতা। ছ’টি আসনেই প্রার্থী দাঁড় করায় কংগ্রেস ও তৃণমূল। বামেরা প্রার্থী দেননি। রবিবার রাতে ফল প্রকাশের পরে দেখা যায় ছ’টি আসনেই জয় পেয়েছে তৃণমূল।
মুজফ্ফর শেখ বলেন, “খায়রুল মল্লিক দুর্নীতিতে যুক্ত। ওঁর নেতৃত্বে স্কুল ভোটে লড়াই হচ্ছে জেনেই আমি প্রকাশ্যে তৃণমূলের সমর্থনে প্রচার করি। ওকে দলে রাখা হলে আগামী দিনে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।” নান্দাই পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ইদের আলি মোল্লা আবার বলেন, “ওঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তবে জয় এসেছে আমাদের প্রতি মানুষের আস্থা থেকেই। কংগ্রেসই আগে আলাদা প্রার্থী দিতে উদ্যোগী হয়েছিল। জোট ভাঙার দায় তো ওদেরই নিতে হবে।”
তিনি দুর্নীতিতে যুক্ত নন দাবি করে খায়রুল মল্লিক আবার দলের একাংশের বিশ্বাসঘাতকতা এবং বামপন্থীদের প্রার্থী না দেওয়াকেই ভরাডুবির কারণ হিসেবে দেখাতে চাইছেন। তাঁর বক্তব্য, “বামপন্থীরা প্রার্থী না দিয়ে তৃণমূলকে সমর্থন করে। ফলে ওরা সুবিধা পেয়েছে।”
নান্দাই পঞ্চায়েত এলাকায় প্রভাব রয়েছে সিপিআইয়ের। এলাকার বাসিন্দা তথা দলের জেলা কমিটির সদস্য সেলিম শেখের দাবি, “আমরা কাউকেই সমর্থন করিনি। খড়িনাল এলাকায় কিছুটা সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে আমরা প্রার্থী দিইনি।” কালনা-১ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি সুশীলকুমার পাকিড়ার বাড়িও নান্দাই পঞ্চায়েত এলাকায়। জোট ভাঙার প্রশ্নে অবশ্য তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |