|
|
|
|
বিক্ষোভের মুখে হিতেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাথাভাঙা |
সরকারি সহায়ক মূল্যে চেকের মাধ্যমে ধান কেনা নিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। রবিবার নিজের ‘খাসতালুক’ কোচবিহারের মাথাভাঙার শিকারপুরে ওই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে মাথাভাঙা থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনায় রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে হইচই পড়েছে। কৃষকদের একাংশের অভিযোগ, ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট করতে অনেক ঝামেলা। তা ছাড়া চেক ভাঙাতে সময় লাগে। দুই চার কুইন্টাল ধান বিক্রি করে কবে টাকা মিলবে তার জন্য বসে থাকা মানে বাড়তি দুর্ভোগ। সে জন্যই তাঁরা চেকে ধান কেনার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বনমন্ত্রী বলেন, “চেকের বদলে নগদে ধান কেনার দাবি তুলে কৃষকেরা ক্ষোভ বিক্ষোভের কথা বলেছেন। ওই দাবি অন্যায্য কিছু নয়। কিন্তু নিয়ম মেনেই চেকের মাধ্যমে ধান কিনতে হচ্ছে। সেটা বোঝানোর পর সমস্যা হয়নি। তা ছাড়া বাসিন্দারা ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা তো আমাদেরই বলবেন।” হিতেনবাবু জানান, সহায়ক মূল্যে ধান কিনতে মিল মালিকদের দায়িত্ব দেওয়া হলেও কৃষকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা দেখতেই তিনি গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ১০ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান নগদে কেনার ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এখন নিয়ম মেনে চেকেই ধান কেনা হচ্ছে। মাথাভাঙার এসডিপিও সীতারাম সিংহ জানান, গোলমালের খবর পেয়ে আইসি-সহ পুলিশ কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি সামলান। কোচবিহার জেলা খাদ্য নিয়ামক মানিক সরকার বলেন, “চেকে ধান কেনা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঘটনায় কিছুটা দেরি হলেও পরে কাজ শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত চাষিদের থেকে সহায়ক মূল্যে ৩০০ কুইন্টাল ধান কেনাও হয়েছে। আরও অনেকে ধান বিক্রি করতে চান।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সহায়ক মূল্যে জেলায় প্রায় ৮ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে প্রশাসন। খাদ্য সরবরাহ দফতর থেকে ১০৮০ টাকা কুইন্টাল দরে সহায়ক মূল্যে ধান কিনতে দায়িত্ব দেওয়া হয় কোচবিহারের ৫ টি মিলকে। রবিবার মাথাভাঙা ১ ব্লকের শিকারপুরের প্রেমচাঁদেরহাট গ্রামে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হবে বলে ঘোষণা করে প্রশাসন। শতাধিক কৃষক পণ্য নিয়ে হাজির হন। বেলা ১২ টা নাগাদ নিশিগঞ্জের এক মিল মালিক কর্তৃপক্ষের লোকজন-সহ কোচবিহারের খাদ্য নিয়ামক এবং ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরাও সেখানে যান। নিজের এলাকায় সরকারের তরফে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ তদারকি করতে সেখানে পৌঁছন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনও। তাঁর সামনেই চেকে ধান কেনার প্রতিবাদে কৃষকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বনমন্ত্রীকে ঘিরে ধরে নগদে ধান কেনার দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। এমনকী সে সময় বনমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে বাসিন্দদের একাংশ কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। ধান কেনার প্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়। শেষ পর্যন্ত মাথাভাঙা থানার আইসি কার্তিক ভট্টাচার্য পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামলান। |
|
|
|
|
|