|
|
|
|
ভল্ট ভেঙে লুঠের চেষ্টা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিবাড়ি |
রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে ব্যাঙ্কের টাকা লুঠের ঘটনার চার দিনের মাথায় ফের কোচবিহারের হলদিবাড়িতে একটি ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করল একদল দুষ্কৃতী। ব্যাঙ্কের গ্রিল, দরজার তালা ভেঙে ভল্টের একদিকের দেওয়ালও ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতীরা। দেওয়াল ভাঙার শব্দে ঘুম ভেঙে যায় এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলার আগেই দুষ্কৃতীরা অন্ধকারে গা ঢাকা দেয়। ভল্ট ভেঙে ফেললেও সময়মতো পুলিশ চলে যাওয়ায় দুষ্কৃতীরা ভল্টে গচ্ছিত সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা অবশ্য নিতে পারেনি। শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে হলদিবাড়ি থানার দেওয়ানগঞ্জে উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কে। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ব্যাঙ্কটিতে ডাকাতির চেষ্টা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ সময়মত পৌঁছে যায়। দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তদন্তের কাজ চলছে।” |
|
লুঠের চেষ্টা হলদিবাড়িতে |
গত মঙ্গলবার হলদিবাড়ি সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের কর্মীরা ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে গাড়িতে ব্যাঙ্কে ফেরার সময়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার সর্দারপাড়ার কাছে তা আটকে দেয় দুষ্কৃতীরা। তার পরে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা ভর্তি ট্রাঙ্ক নিয়ে দুষ্কৃীতারা চম্পট দেয়। সেই ঘটনার জের কাটতে না-কাটতেই ফের একটি ব্যাঙ্কে ডাকাতির চেষ্টায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার উমেশ বর্মন বলেন, “রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা সতর্ক না-থাকলে সোমবারের আগে আমরা ঘটনাটি জানতেই পারতাম না। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি।” ওই ব্যাঙ্কে রাতে কেন নৈশ প্রহরী ছিল না সেই প্রশ্নও উঠেছে। ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক বলেন, “ব্যাঙ্কে নৈশ প্রহরীর কোনও পদই নেই। সন্ধ্যান কাজ শেষ করে কর্মীরা তালা দিয়ে বাড়িতে ফিরে যান।” দেওয়ানগঞ্জ জুনিয়ার বেসিক স্কুল এবং পার্কের উল্টোদিকে রাস্তার পাশে ব্যাঙ্কটি ভাড়া বাড়িতে চলে। রাতে রাস্তায় কোনও আলোও ছিল না। পুলিশ জানায়, রাত আড়াইটা নাগাদ ডাকাতরা ব্যাঙ্কের কোলাপসিবল গেট, তালা, মূল দরজায় লাগানো আরও দুটি তালা ভেঙে ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢোকে। তারপর ভল্টের দরজার পাশের দেওয়াল ভাঙার চেষ্টা করে। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। খবর পেয়ে দেওয়ানগঞ্জ পুলিশ আউটপোস্ট থেকে পুলিশ কর্মীরা যান। দেওয়ানগঞ্জ আউটপোস্টের পুলিশ কর্মীরা হলদিবাড়ি থানায় খবর দেন। হলদিবাড়ি থানা থেকে আইসি গৌতম ঘোষালের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী সেখানে যায়। তার আগেই ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকে কাউকেই পায়নি। তবে ভল্টে রাখা সাড়ে চার লক্ষ টাকা মিলেছে। |
|
|
|
|
|