|
|
|
|
কোটি টাকার প্রতারণা |
হরিশ্চন্দ্রপুরে গ্রেফতার তিন, শিক্ষিকা পলাতক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
দশ মাসে টাকা দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক কোটি টাকারও বেশি প্রতারণার অভিযোগে ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার গভীর রাতে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের আঙ্গারমণি এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম, নেফাউর রহমান, বাবুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম। ওই প্রতারণার ঘটনায় এক প্রাথমিক শিক্ষিকাও জড়িত। তবে ওই শিক্ষিকা পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই শিক্ষিকা ধৃত নেফাউর রহমানের স্ত্রী। প্রতারণার ওই ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৩ জনকে ধরলেও চাঁচলে শেয়ারে বিনিয়োগের নাম করে ২২ কোটি ও ৬ কোটি টাকার দুটি প্রতারণার ঘটনার কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ৩ বছর আগে ওই প্রতারণার ঘটনা দুটি ঘটে। পুলিশ জানায়, একটি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে ধৃতরা কাজ করতেন। ওই সংস্থায় লগ্নি করলে দশ মাসে টাকা দ্বিগুণ হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। টাকা লগ্নি করার কিছুদিন বাদেই ওই সংস্থার আর কোনও হদিস না-পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রতারিতরা। চার মাস আগে একই রকম প্রতারণার ঘটনায় চাঁচল থেকে একটি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। হরিশ্চন্দ্রপুরে ওই প্রতারণার ঘটনায়ও ধৃতদের জেরা করে চাঁচলেরই এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। ওই ব্যবসায়ীর কাছে তারা সংগৃহীত অর্থ জমা দিত বলে অভিযোগ। বিনিময়ে তারা কমিশন পেত। রাতেই ওই ব্যবসায়ীকে ধরতে বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তাকেও পাওয়া যায়নি। চাঁচলের এসডিপিও সন্দীপ মন্ডল বলেন, “প্রতারণার অভিযোগে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে ৩ জনকে ধরা হয়েছে। অভিযুক্তদের কাউকেই ছাড়া হবে না।” পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে শেয়ারে বিনিয়োগের নামে সংস্থা খুলে চাঁচল থেকে ২২ কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও হয় এক প্রতারক। কয়েক মাস বাদে একই ভাবে ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও হয় আরও এক প্রতারক। তাদের ধরা দূরের কথা, তাদের সঙ্গে কমিশনের ভিত্তিতে কেউ কাজ করত কি না তাদের খুঁজে জেরা করার কাজটুকুও পুলিশ করেনি বলে অভিযোগ। মালয়েশিয়ার সংস্থায় লগ্নি করে টাকা দ্বিগুণ করার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণার ঘটনাটি ঘটে গত বছরের শেষে। অভিযোগ পেয়ে হোসেন আলি নামে এক প্রধান শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই ব্যবসার সঙ্গে আর যারা জড়িত কিংবা যারা কমিশনের ভিত্তিতে কারা কাজ করত তা নিয়ে পুলিশি তদন্তও এককদম এগোয়নি বলে অভিযোগ। অথচ পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, টাকা দ্বিগুন করার চক্রের মূল চাইরা তো বটেই কমিশন এজেন্টরাও রীতিমতো ফুলে ফেঁপে উঠেছে। তাদের অনেকেই বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি ছাড়াও প্রচুর সম্পত্তিরও মালিক হয়েছেন। এই জন্যই পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রতারিতদের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল অবশ্য বলেছেন, “চাঁচলে বেশ কিছু প্রতারণার খবর আমাদের কাছে রয়েছে। অভিযোগ পেলেই মামলা করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তদের প্রত্যককেই ধরা হবে।” চাঁচলে অর্থলগ্নিকারী সমস্ত সংস্থাকে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যবসার বৈধ কাগজ জমা দিতে বলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পাইপগান উদ্ধার। রেলের কাজের জন্য মাটি কাটতে গিয়ে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া পাইপগান উদ্ধার হয়েছে। রবিবার ঘটনাটি ঘটে তুফানগঞ্জ থানার নাকাকাটিগছে। পুলিশ জানায়, নাককাটিগছের চামটায় স্টেশনের জন্য ঘর তৈরির মাটি কাটতে গিয়ে শ্রমিকরা পাইপগানটি পান। |
|
|
|
|
|